অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল সুদৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রাসূলগণ। আর তাদের জন্য তাড়াহুড়া করো না। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল, যেদিন তারা তা প্রত্যক্ষ করবে, মনে হবে তারা পৃথিবীতে এক দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছে। সুতরাং এটা এক ঘোষণা, তাই পাপাচারী কওমকেই ধ্বংস করা হবে। আল-বায়ান
কাজেই তুমি ধৈর্য ধর যেমনভাবে ধৈর্য ধারণ করেছিল দৃঢ় সংকল্পের অধিকারী রসূলগণ। আর এই লোকেদের ব্যাপারে তাড়াহুড়া করো না। কারণ যে বিষয়ে তাদেরকে সাবধান করা হয়েছে যেদিন তারা তা দেখবে, সেদিন তারা মনে করবে যে, একদিনের কিছু অংশের অধিক তারা দুনিয়াতে অবস্থান করেনি। (তোমার দায়িত্ব) পৌঁছানো, অতঃপর পাপাচারী সম্প্রদায় ছাড়া আর কে ধ্বংস হবে? তাইসিরুল
অতএব তুমি ধৈর্য ধারণ কর যেমন করেছিল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাসূলগণ এবং তাদের জন্য (শাস্তির) প্রার্থনায় তড়িঘড়ি করনা। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে সেদিন তাদের মনে হবে, তারা যেন দিনের এক দন্ডের বেশি পৃথিবীতে অবস্থান করেনি। এটা এক স্পষ্ট ঘোষণা, আল্লাহ হতে বিমুখ সম্প্রদায় ব্যতীত কেহকেও ধ্বংস করা হবেনা। মুজিবুর রহমান
So be patient, [O Muhammad], as were those of determination among the messengers and do not be impatient for them. It will be - on the Day they see that which they are promised - as though they had not remained [in the world] except an hour of a day. [This is] notification. And will [any] be destroyed except the defiantly disobedient people? Sahih International
৩৫. অতএব আপনি ধৈর্য ধারণ করুন যেমন ধৈর্য ধারণ করেছিলেন দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ রাসূলগণ। আর আপনি তাদের জন্য তাড়াহুড়ো করবেন না। তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে তা যেদিন তারা দেখতে পাবে, সেদিন তাদের মনে হবে, তারা যেন দিনের এক দণ্ডের বেশী দুনিয়াতে অবস্থান করেনি। এ এক ঘোষণা, সুতরাং পাপাচারী সম্প্রদায়কেই কেবল ধ্বংস করা হবে।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(৩৫) অতএব তুমি ধৈর্যধারণ কর, যেমন ধৈর্যধারণ করেছিল দৃঢ়-প্রতিজ্ঞ রসূলগণ এবং তাদের জন্য (শাস্তি প্রার্থনায়) তাড়াতাড়ি করো না।[1] তাদেরকে যে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে, তা যেদিন তারা প্রত্যক্ষ করবে, সেদিন তাদের মনে হবে, তারা যেন দিবসের এক দন্ডের বেশী পৃথিবীতে অবস্থান করেনি।[2] এ হল ঘোষণা।[3] সত্যত্যাগী সম্প্রদায় ব্যতীত অন্য কাউকেও ধ্বংস করা হবে না। [4]
[1] এখানে মক্কার কাফেরদের অশালীন আচরণের কারণে নবী করীম (সাঃ)-কে সান্ত্বনা দেওয়া হচ্ছে এবং তাঁকে ধৈর্য ধারণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে।
[2] কিয়ামতের ভয়াবহ শাস্তি দেখার পর তাদের কাছে পার্থিব জীবনটা এ রকম মনে হবে যে, সেখানে তারা কেবল দিনের একটি মুহূর্ত কাটিয়ে এসেছে।
[3] بلاغ হল مبتدأ محذوف (ঊহ্য উদ্দেশ্য পদ)এর বিধেয় পদ। অর্থাৎ, أَيْ: هَذَا الَّذِيْ وَعَظْتَهُمْ بِهِ بَلاَغٌ তুমি তাদেরকে যে উপদেশ দিলে, তা হল ঘোষণা।
[4] এই আয়াতেও ঈমানদারদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ ও উৎসাহবর্ধক বাণী যে, পরকালের ধ্বংস কেবল তাদের ভাগ্যেই আছে, যারা হবে আল্লাহর অবাধ্য ও তাঁর সীমা লঙ্ঘনকারী।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান