৪৩ সূরাঃ আয-যুখরুফ | Az-Zukhruf | سورة الزخرف - আয়াতঃ ৪৪
৪৩:৪৪ وَ اِنَّهٗ لَذِكۡرٌ لَّكَ وَ لِقَوۡمِكَ ۚ وَ سَوۡفَ تُسۡـَٔلُوۡنَ ﴿۴۴﴾
و انهٗ لذكر لك و لقومك و سوف تسـٔلون ﴿۴۴﴾

নিশ্চয় এ কুরআন তোমার জন্য এবং তোমার কওমের জন্য উপদেশ। আর অচিরেই তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করা হবে। আল-বায়ান

কুরআন হল অবশ্যই তোমার জন্য আর তোমার জাতির জন্য উপদেশ বাণী। আর এ সম্পর্কে অচিরেই তোমাদেরকে জওয়াবদিহি করতে হবে। তাইসিরুল

নিশ্চয়ই ইহা (কুরআন) তোমার এবং তোমার সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশ, তোমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে। মুজিবুর রহমান

And indeed, it is a remembrance for you and your people, and you [all] are going to be questioned. Sahih International

৪৪. আর নিশ্চয় এ কুরআন আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্য যিকর(১); এবং অচিরেই তোমরা জিজ্ঞাসিত হবে।

(১) আয়াতের এক অর্থ হচ্ছে, এ কুরআন আপনার ও আপনার কাওমের জন্য স্মরনিকাস্বরূপ। অপর অর্থ হচ্ছে, এ কুরআন আপনার ও আপনার কাওমের জন্য খুবই সম্মানের বস্তু। অর্থাৎ, সুখ্যাতির বিষয়। উদ্দেশ্য এই যে, কুরআন পাক আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্য মহাসম্মান ও সুখ্যাতির কারণ। [তাবারী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৪) নিশ্চয় তা তোমার এবং তোমার সম্প্রদায়ের জন্য উপদেশ;[1] আর অচিরেই তোমাদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে।

[1] এই নির্দিষ্টীকরণের অর্থ এই নয় যে, অন্যদের জন্য উপদেশ নয়। বরং সর্বপ্রথম সম্বোধন যেহেতু কুরাইশদেরকেই করা হয়েছে সেহেতু তাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নচেৎ কুরআন তো সারা বিশ্বের জন্য উপদেশ। মহান আল্লাহ বলেন, {وَمَا هُوَ إِلاَّ ذِكْرٌ لِّلْعَالَمِيْنَ} (القلم: ৫২) যেমন, রসূল (সাঃ)-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, {وَاَنْذِرْ عَشِيْرَتَكَ الْاَقْرَبِيْنَ} অর্থাৎ, তুমি তোমার নিকট আত্মীয়দেরকে সতর্ক কর। (সূরা শুআরা’ ২১৪ আয়াত) এর অর্থ এই নয় যে, আল্লাহর পয়গাম কেবল আত্মীয়দের কাছেই পৌঁছাতে হবে। বরং এর অর্থ হল, তবলীগের কাজ শুরু হবে নিজের আত্মীয়দের থেকেই। কেউ কেউ ‘যিকর’ অর্থ এখানে ‘সম্মান’ করেছেন। অর্থাৎ, এই কুরআন তোমার জন্য ও তোমার জাতির জন্য সম্মানের উৎস। এই কুরআন তাদের ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে। তাই এটাকে তারাই বেশী বুঝত এবং এরই মাধ্যমে তারা সারা বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্ব ও উচ্চ মর্যাদা পেতে পারে। কাজেই এদের উচিত এটাকে গ্রহণ করে এর দাবী অনুযায়ী সর্বাধিক আমল করা।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান