৪১:৫৩ سَنُرِیۡهِمۡ اٰیٰتِنَا فِی الۡاٰفَاقِ وَ فِیۡۤ اَنۡفُسِهِمۡ حَتّٰی یَتَبَیَّنَ لَهُمۡ اَنَّهُ الۡحَقُّ ؕ اَوَ لَمۡ یَکۡفِ بِرَبِّکَ اَنَّهٗ عَلٰی کُلِّ شَیۡءٍ شَهِیۡدٌ ﴿۵۳﴾
سنریهم ایتنا فی الافاق و فی انفسهم حتی یتبین لهم انه الحق او لم یکف بربک انهٗ علی کل شیء شهید ۵۳

বিশ্বজগতে ও তাদের নিজদের মধ্যে আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয় যে, এটি (কুরআন) সত্য; তোমার রবের জন্য এটাই যথেষ্ট নয় কি যে, তিনি সকল বিষয়ে সাক্ষী? আল-বায়ান

আমি তাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব দূর দিগন্তে (অর্থাৎ দূর পর্যন্ত ইসলামের আলো বিচ্ছুরিত হবে) আর তাদের নিজেদের মধ্যেও (অর্থাৎ কাফিররা নতজানু হয়ে ইসলাম কবূল করবে) যখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এ কুরআন সত্য। এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সব কিছুরই সাক্ষী। তাইসিরুল

আমি শীঘ্র তাদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী ব্যক্ত করব বিশ্বজগতে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে। ফলে তাদের নিকট সুস্পষ্ট হয়ে উঠবে যে ওটাই সত্য। এটা কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার রাব্ব সর্ব বিষয়ে অবহিত? মুজিবুর রহমান

We will show them Our signs in the horizons and within themselves until it becomes clear to them that it is the truth. But is it not sufficient concerning your Lord that He is, over all things, a Witness? Sahih International

৫৩. অচিরেই আমরা তাদেরকে আমাদের নিদর্শনাবলী দেখাব, বিশ্ব জগতের প্রান্তসমূহে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে; যাতে তাদের কাছে সুস্পষ্ট হয়ে উঠে যে, অবশ্যই এটা (কুরআন) সত্য। এটা কি আপনার রবের সম্পর্কে যথেষ্ট নয় যে, তিনি সব কিছুর উপর সাক্ষী?

-

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫৩) আমি ওদের জন্য আমার নিদর্শনাবলী বিশ্বজগতে ব্যক্ত করব এবং ওদের নিজেদের মধ্যেও; ফলে ওদের নিকট স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, এ (কুরআন) সত্য।[1] এ কি যথেষ্ট নয় যে, তোমার প্রতিপালক সর্ববিষয়ের প্রত্যক্ষদর্শী? [2]

[1] যার দ্বারা কুরআনের সত্যতা এবং এটা যে আল্লাহর পক্ষ হতে আগত, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ, أنه তে সর্বনামটি কুরআনের প্রতি ইঙ্গিত করে। কেউ কেউ বলেন, তা ইসলাম অথবা রসূল (সাঃ)-এর প্রতি ইঙ্গিত করে। সকল ক্ষেত্রেই অর্থের নিগূঢ়ত্ব একই। آفاق শব্দটি أفق এর বহুবচন, অর্থ হল কিনারা (দিকচক্রবাল)। উদ্দেশ্য হল, আমি নিজ নিদর্শনাবলী বিশ্বজাহানের দিকচক্রবালেও দেখাবো, আর মানুষের নিজ দেহের ভিতরেও। কেননা, আকাশ ও পৃথিবীর প্রান্তে-প্রান্তেও কুদরতের বড় বড় নিদর্শন বিদ্যমান রয়েছে। যেমন, সূর্য, চন্দ্র, নক্ষত্ররাজি, দিবারাত্রি, বৃষ্টি, বজ্র, বিদ্যুৎ, উদ্ভিদ, জড় পদার্থ, পাহাড়-পর্বত, নদী-নালা ও সমুদ্র প্রভৃতি। ‘নিজেদের মধ্যে’ বলতে যে সকল মিশ্রিত উপাদান ও পদার্থ দ্বারা মানুষের অস্তিত্ব ও কাঠামো গঠিত তাই উদ্দেশ্য; যার বিস্তারিত বিবরণ চিকিৎসা-বিজ্ঞানের একটি চিত্তাকর্ষী বিষয়। কেউ কেউ বলেন যে, آفاق (দিকচক্রবাল) থেকে পূর্ব ও পশ্চিমের সেই দূর-দূরান্ত এলাকা উদ্দেশ্য, যা জয় করা মুসলিমদের জন্য আল্লাহ সহজ করে দিয়েছিলেন। আর أنفس (নিজেদের মধ্যে) থেকে নিজেদের আরব্য ভূমির উপর মুসলিমদের উন্নতি ও সাফল্য উদ্দেশ্য। যেমন, বদর যুদ্ধ, মক্কা বিজয় প্রভৃতিতে মুসলিমদেরকে প্রভূত সম্মান ও মর্যাদা দান করা হয়েছে।

[2] এ প্রশ্ন হল স্বীকৃতিসূচক। অর্থাৎ, আল্লাহ তাআলা নিজ বান্দার কথা ও কর্মের সাক্ষী থাকার জন্য যথেষ্ট। আর তিনিই এ কথার সাক্ষ্য দেন যে, কুরআন আল্লাহর বাণী, যা তাঁর সত্য রসূল মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর উপর অবতীর্ণ  হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান