তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের উপর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে লাঞ্ছনা, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন প্রতিশ্রুতি এবং মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলে আলাদা কথা। আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে গযব নিয়ে ফিরে এসেছে। আর তাদের উপর দারিদ্র্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং নবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তা এ জন্য যে, তারা নাফরমানী করেছে, আর তারা সীমালঙ্ঘন করত। আল-বায়ান
আল্লাহর অনুকম্পা ও মানুষের আশ্রয় ছাড়া যেখানেই তারা অবস্থান করুক, সেখানেই তারা হয়েছে লাঞ্ছিত, তারা আল্লাহর গযবে পরিবেষ্টিত এবং তাদের উপর পতিত হয়েছে দারিদ্রের কশাঘাত। এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ প্রত্যাখ্যান করত এবং নাবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত, এটা এজন্য যে, তারা অবাধ্যতা এবং সীমালঙ্ঘন করত। তাইসিরুল
আল্লাহর নিকট আশ্রয় গ্রহণ এবং মনুষ্যগণের নিকট অত্মসমর্পণ ব্যতীত তারা যেখানেই অবস্থান করুক না কেন, লাঞ্ছনায় আক্রান্ত হয়েছে, আল্লাহর কোপে নিপতিত হয়েছে এবং গলগ্রহতা ওদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর প্রতি অবিশ্বাস করেছিল এবং নাবীগণকে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছিল; যেহেতু তারা বিরুদ্ধাচরণ করেছিল ও সীমা অতিক্রম করেছিল। মুজিবুর রহমান
They have been put under humiliation [by Allah] wherever they are overtaken, except for a covenant from Allah and a rope from the Muslims. And they have drawn upon themselves anger from Allah and have been put under destitution. That is because they disbelieved in the verses of Allah and killed the prophets without right. That is because they disobeyed and [habitually] transgressed. Sahih International
১১২. আল্লাহর প্রতিশ্রুতি ও মানুষের প্রতিশ্রুতির বাইরে যেখানেই তাদেরকে পাওয়া গেছে সেখানেই তারা লাঞ্ছিত হয়েছে। আর তারা আল্লাহ্র ক্রোধের পত্র হয়েছে এবং তাদের উপর দারিদ্র নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এটা এ জন্যে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করত এবং অন্যায়ভাবে নবীগণকে হত্যা করত; তা এ জন্যে যে, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমালংঘন করত।
-
তাফসীরে জাকারিয়া(১১২) আল্লাহ ও মানুষের আশ্রয় ছাড়া[1] যেখানেই তারা অবস্থান করুক না কেন, সেখানেই তাদের ভাগ্যে লাঞ্ছনা নির্ধারিত করা হয়েছে, তারা আল্লাহর ক্রোধের পাত্র হয়েছে এবং তাদের জন্য দারিদ্র্য বিধিবদ্ধ করা হয়েছে। এ জন্য যে, তারা আল্লাহর নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করত এবং অন্যায়রূপে নবীগণকে হত্যা করত। আর এ কারণে যে, তারা অবাধ্য হয়েছিল এবং সীমালংঘন করেছিল। [2]
[1] আল্লাহর গযবের ফল স্বরূপ ইয়াহুদীদের উপর যে লাঞ্ছনা ও দরিদ্রতা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা থেকে সাময়িকভাবে বাঁচার দু’টি উপায় বলা হয়েছে। এক হল, তাদেরকে আল্লাহর আশ্রয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ, হয় তারা ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা ইসলামী দেশে কর বা ট্যাক্স দিয়ে আশ্রিত হয়ে থাকা পছন্দ করবে। দ্বিতীয় হল, তারা মানুষের আশ্রয় লাভ করবে। আর এর দু’টি ব্যাখ্যা করা হয়েছে, (ক) ইসলামী দেশের সরকার নয়, বরং কোন সাধারণ মুসলিম তাদের আশ্রয় দেবে। আর এই অধিকার প্রত্যেক মুসলিমের আছে এবং দেশের সরকারকে তাকীদ করা হয়েছে যে, সে যেন কোন নিম্ন পর্যায়ের মুসলিমের দেওয়া আশ্রয়কেও প্রত্যাখ্যান না করে। (খ) তারা বড় কোন অমুসলিম শক্তির সহায়তা লাভ করবে। কারণ, ‘নাস’ (মানুষ) সাধারণ শব্দ যা মুসলিম ও অমুসলিম সকলকেই শামিল করে।
[2] এ হল তাদের কুকর্ম, যার প্রতিফল স্বরূপ তাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান