২৮ সূরাঃ আল-কাসাস | Al-Qasas | سورة القصص - আয়াতঃ ২২
২৮:২২ وَ لَمَّا تَوَجَّهَ تِلۡقَآءَ مَدۡیَنَ قَالَ عَسٰی رَبِّیۡۤ اَنۡ یَّهۡدِیَنِیۡ سَوَآءَ السَّبِیۡلِ ﴿۲۲﴾
و لما توجه تلقآء مدین قال عسی ربی ان یهدینی سوآء السبیل ﴿۲۲﴾

আর যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে রওয়ানা করল, তখন বলল, ‘আশা করি আমার রব আমাকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন’। আল-বায়ান

যখন সে মাদইয়ান অভিমুখী হল, সে বলল- ‘আশা করি আমার পালনকর্তা আমাকে সরল সোজা পথ দেখাবেন।’ তাইসিরুল

যখন মূসা মাদইয়ান অভিমুখে যাত্রা শুরু করল তখন বললঃ আশা করি, আমার রাব্ব আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করবেন। মুজিবুর রহমান

And when he directed himself toward Madyan, he said, "Perhaps my Lord will guide me to the sound way." Sahih International

২২. আর যখন মূসা মাদইয়ান(১) অভিমুখে যাত্রা করলেন তখন বললেন, আশা করি আমার রব আমাকে সরল পথ দেখাবেন।(২)

(১) মাদইয়ান নামক এ শহরটি মতান্তরে ইবরাহীম আলাইহিস সালামের ছেলে মাদইয়ানের নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে। জায়গাটি সম্পর্কে বলা হয় যে, সেটি ফেরা'আউনী রাষ্ট্রের বাইরে ছিল। মূসা আলাইহিস সালাম ফিরআউনের হাত থেকে বাঁচার জন্য স্বাভাবিক আশংকাবোধ করে মিশর থেকে হিজরত করার ইচ্ছা করলেন। বলাবাহুল্য, এই আশংকাবোধ নবুওয়ত ও তাওয়াক্কুল কোনটিরই পরিপন্থি নয়। মাদইয়ানের দিক নির্দিষ্ট করার কারণ সম্ভবতঃ এই ছিল যে, মাদইয়ানেও ইবরাহীম আলাইহিস সালামের বংশধরদের বসতি ছিল। মূসা আলাইহিসসালামও এই বংশের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। [দেখুন: কুরতুবী]

(২) অর্থাৎ এমন পথ যার সাহায্যে সহজে মাদয়ানে পৌছে যাবো। উল্লেখ্য, সে সময় মাদইয়ান ছিল ফেরাউনের রাজ্য-সীমার বাইরে। মূসা আলাইহিস সালাম সম্পূর্ণ নিঃসম্বল অবস্থায় মিশর থেকে বের হন। তার সাথে পাথেয় বলতে কিছুই ছিল না এবং রাস্তাও জানা ছিল না। এই সংকটময় অবস্থায় তিনি আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করে এ দো'আ করেছিলেন, আল্লাহ তা’আলা তার দো'আ কবুল করলেন। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২২) যখন মূসা মাদ্‌য়্যান অভিমুখে যাত্রা করল, তখন বলল, ‘আশা করি আমার প্রতিপালক আমাকে সরল পথ প্রদর্শন করবেন।’ [1]

[1] মহান আল্লাহ তাঁর এই দু’আ কবুল করলেন এবং এমন এক সোজা রাস্তা প্রদর্শন করলেন, যাতে তাঁর ইহকাল ও পরকাল উভয় সফল হল। তিনি হলেন নিজে সুপথপ্রাপ্ত ও অন্যদের পথপ্রদর্শক।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান