আর মাদইয়ানবাসীরা। আর অস্বীকার করা হয়েছিল মূসাকে। তাই কাফিরদেরকে আমি অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতএব কেমন ছিল আমার শাস্তি! আল-বায়ান
আর মাদইয়ানবাসীরাও [অস্বীকার করেছিল যারা ছিল শু‘আয়ব (আঃ)-এর সম্প্রদায়], আর মূসাকেও অস্বীকার করা হয়েছিল। আমি অস্বীকারকারীদেরকে সময়- সুযোগ দিয়েছিলাম, অতঃপর তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। কত ভীষণ ছিল আমাকে অস্বীকার করার পরিণতি! তাইসিরুল
এবং মাদইয়ানবাসী তাদের নাবীদেরকে অস্বীকার করেছিল; এবং অস্বীকার করা হয়েছিল মূসাকেও; আমি কাফিরদের অবকাশ দিয়েছিলাম এবং পরে তাদেরকে শাস্তি দিয়েছিলাম। অতঃপর কেমন ছিল আমার শাস্তি! মুজিবুর রহমান
And the inhabitants of Madyan. And Moses was denied, so I prolonged enjoyment for the disbelievers; then I seized them, and how [terrible] was My reproach. Sahih International
৪৪. আর মাদইয়ানবাসীরা; অনুরূপভাবে মিথ্যারোপ করা হয়েছিল মূসার প্রতিও। অতঃপর আমি কাফেরদেরকে অবকাশ দিয়েছিলাম, তারপর আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম। অতএব (প্রত্যক্ষ করুন) আমার প্রত্যাখ্যান (শাস্তি) কেমন ছিল।(১)
(১) এখানে যে শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে তা হলো, نكير এর অর্থ, কোন কিছুকে পূর্ণভাবে অস্বীকার করা। অর্থাৎ তাদের কর্মকাণ্ডের পরিণতি অস্বীকার করে আমার যে সমস্ত কর্মপ্রণালী ছিল তা কেমন হয়েছে তা দেখে নিন। তারা নবী-রাসূলদেরকে অস্বীকার করে, তাদেরকে মিথ্যা প্রতিপন্নের মাধ্যমে যে অন্যায় করেছিল আমি সে অন্যায়কে অস্বীকার করে তার প্রতিকার করেছি তাদেরকে প্রথমে ছাড় দিয়ে তারপর পাকড়াও করে শাস্তি বিধান করার মাধ্যমে। তাদের নেয়ামতসমূহ ধ্বংস করার মাধ্যমে। [দেখুন, ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৪) এবং মাদয়্যানবাসীরাও (তাদের নবীদেরকে মিথ্যা মনে করেছিল) এবং মিথ্যা মনে করা হয়েছিল মূসাকেও। আমি অবিশ্বাসীদেরকে অবকাশ দিয়েছিলাম এবং পরে তাদেরকে পাকড়াও করেছিলাম।[1] অতএব কেমন (ভয়ঙ্কর) ছিল আমার প্রতিকার (শাস্তি)! [2]
[1] এই আয়াতে নবী (সাঃ)-কে সান্তনা দেওয়া হয়েছে যে, যদি মক্কার কাফেররা তোমাকে মিথ্যা মনে করে, তাহলে এটা কোন নতুন কথা নয়, বরং সমস্ত বিগত জাতি তাদের নবীদের সাথে এরূপ ব্যবহারই করেছে। আমিও তাদেরকে ঢিল ও অবকাশ দিতে থেকেছি। অতঃপর যখন তাদের অবকাশের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তখন তাদেরকে ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছি। এতে মক্কার মুশরিকদের জন্য এই ইশারা ও ইঙ্গিত রয়েছে যে, মিথ্যাজ্ঞান করা সত্ত্বেও তোমরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে নিরাপদে আছ, আর তার অর্থ তোমরা এই বুঝো না যে, তোমাদেরকে কেউ পাকড়াও করবে না। বরং এ হল আল্লাহর পক্ষ হতে অবকাশ বা ঢিল; যা তিনি প্রত্যেক জাতিকে দিয়েছেন। অতঃপর তারা যদি এই অবকাশ সময়কে কাজে লাগিয়ে আনুগত্য ও বাধ্য হওয়ার রাস্তা অবলম্বন না করেছে, তাহলে তাদেরকে ধ্বংস কিংবা মুসলিম কর্তৃক পরাজিত ও লাঞ্ছিত ও অপমানিত করা হয়েছে। (অনুরূপ তোমাদেরও হবে।)
[2] অর্থাৎ, কেমন করে আমি তাদেরকে নিজ অনুগ্রহ হতে বঞ্চিত করে শাস্তি ও ধ্বংসের সম্মুখীন করেছিলাম।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান