আর স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস ও যুল্ কিফল এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ধৈর্যশীল ছিল। আল-বায়ান
স্মরণ কর ইসমা‘ঈল, ইদরীস ও জুল-কিফল এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল। তাইসিরুল
আর স্মরণ কর ইসমাঈল, ইদরীস এবং যুলকিফল- এর কথা, তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল। মুজিবুর রহমান
And [mention] Ishmael and Idrees and Dhul-Kifl; all were of the patient. Sahih International
৮৫. এবং স্মরণ করুন ইসমাঈল, ইদরীসও যুলকিফলকে, তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন ধৈর্যশীল(১);
(১) আলোচ্য আয়াতদ্বয়ে তিন জন মনীষীর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ইসমাঈল ও ইদরীস যে নবী ও রাসূল ছিলেন, তা কুরআনের অনেক আয়াত দ্বারা প্রমাণিত আছে। কুরআনে তাদের কথা স্থানে স্থানে আলোচনাও করা হয়েছে। তৃতীয় জন হচ্ছেন। যুলকিফল। ইবনে কাসীর বলেনঃ তার নাম দু'জন নবীর সাথে শামিল করে উল্লেখ করা থেকে বাহ্যতঃ বোঝা যায় যে, তিনিও আল্লাহর নবী ছিলেন। কিন্তু কোন কোন বর্ণনা থেকে জানা যায় যে, তিনি নবীদের কাতারভুক্ত ছিলেন না; বরং একজন সৎকর্মপরায়ন ব্যক্তি ছিলেন। তবে সঠিক মত হলো এই যে, তিনি নবী ও রাসূলই ছিলেন। তার সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য জানা যায় না। ইসরাঈলী বৰ্ণনায় যে সমস্ত ঘটনা এসেছে সেগুলোর কোনটিই গ্রহণযোগ্য নয়। [এ ব্যাপারে ইবন কাসীর আরও তথ্য বর্ণনা করেছেন।]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮৫) আর (স্মরণ কর) ইসমাঈল, ইদরীস ও যুলকিফল[1] এর কথা; তাদের প্রত্যেকেই ছিল ধৈর্যশীল।
[1] যুলকিফল সম্পর্কে মতভেদ আছে যে, তিনি নবী ছিলেন কি না? কেউ কেউ বলেন, তিনি নবী ছিলেন। আবার কেউ বলেন, তিনি ওলী ছিলেন। ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) এ সম্পর্কে নিজের মতামত ব্যক্ত করতে বিরত থেকেছেন। ইমাম ইবনে কাসীর (রঃ) বলেছেন যে, নবীদের সঙ্গে তাঁর নাম উল্লেখ হওয়াই তাঁর নবী হওয়ার কথা স্পষ্ট করে। আর আল্লাহই ভালো জানেন।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান