বরং আমিই তাদেরকে ও তাদের পূর্বপুরুষদেরকে উপভোগ করতে দিয়েছিলাম; উপরন্তু তাদের হায়াতও দীর্ঘ হয়েছিল। তারা কি দেখে না যে, আমি চতুর্দিক থেকে তাঁদের দেশকে সঙ্কুচিত করে দিচ্ছি? তবুও কি তারা জয়ী হবে? আল-বায়ান
বরং আমিই তাদেরকে আর তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে পার্থিব ভোগ্যবস্তু দিয়েছিলাম আর তাদেরকে আয়ুও দেয়া হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চারপাশের (তাদের নিয়ন্ত্রিত) সীমান্ত হতে সংকুচিত করে আনছি? এরপরও কি তারা বিজয়ী হবে?’ তাইসিরুল
বস্তুতঃ আমিই তাদেরকে এবং তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে ভোগ সম্ভার দিয়েছিলাম; অধিকন্ত তাদের আয়ুস্কালও হয়েছিল দীর্ঘ; তারা কি দেখছেনা যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক হতে সংকুচিত করে আনছি; তবুও কি তারা বিজয়ী হবে? মুজিবুর রহমান
But, [on the contrary], We have provided good things for these [disbelievers] and their fathers until life was prolonged for them. Then do they not see that We set upon the land, reducing it from its borders? So it is they who will overcome? Sahih International
৪৪. বরং আমরাই তাদেরকে ও তাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগ-সম্ভার দিয়েছিলাম; তার উপর তাদের আয়ুষ্কালও হয়েছিল দীর্ঘ। তারা কি দেখছে না যে, আমরা যমীনকে চারদিক থেকে সংকুচিত করে আনছি।(১) তবুও কি তারা বিজয়ী হবে?
(১) এ আয়াতের প্রসিদ্ধ তাফসীর হলো, মক্কার কাফের মুশরিকরা কি এটা প্রত্যক্ষ করে না যে, আমরা চারদিক থেকে তাদেরকে সংকুচিত করে এনেছি। আর তা হচ্ছে, ইসলামের বিজয়ের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় ঘাটির পতন দেখে। ইসলামের বিজয় কেতন উড়ার মানেই হলো কুফারী ও শির্কী পতাকার অবনমিত হওয়া, তাদের শক্তির পতন হওয়া। এসব দেখেও তারা ঈমান আনতে কেন পিছপা হচ্ছে? [দেখুন, কুরতুবী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৪) বরং আমিই তাদেরকে এবং তাদের পিতৃ-পুরুষদেরকে ভোগ-সম্ভার দান করেছিলাম; অধিকন্তু তাদের আয়ুষ্কালও হয়েছিল দীর্ঘ।[1] তারা কি দেখছে না যে, আমি তাদের দেশকে চতুর্দিক হতে সংকুচিত করে আনছি; [2] তবুও কি তারাই বিজয়ী? [3]
[1] যদি তাদের বা তাদের পূর্বপুরুষদের জীবন সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও ভোগ-বিলাসে অতিবাহিত হয়, তাহলে কি তারা মনে করে যে, তারা সঠিক পথে আছে এবং ভবিষ্যতেও তাদের কোন কষ্ট হবে না? বরং তাদের ক্ষণস্থায়ী জীবনের সুখ-বিলাস তো আমার ‘ঢিল দেওয়া’ নীতির অংশবিশেষ। এতে কারো ধোকায় পড়া উচিত নয়।
[2] কুফরীর এলাকা দিন দিন সংকুচিত হচ্ছে এবং ইসলামের এলাকা বিস্তৃত হয়ে চলেছে। কুফরীর পায়ের তলা হতে মাটি সরে যাচ্ছে এবং ইসলামের বিজয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর মুসলিমরা দেশের পর দেশ জয় করে যাচ্ছে। (অনেকে এই আয়াত ও সূরা রা’দের ৪১নং আয়াত দ্বারা পৃথিবীর ভূমিক্ষয় ও তার কিছু অংশ সমুদ্রে নিমজ্জিত হওয়া বুঝেছেন। অল্লাহু আ’লাম। -সম্পাদক)
[3] কুফরীর অনগ্রসরতা ও ইসলামের অগ্রসরতা দেখেও কি কাফেররা মনে করে যে তারাই বিজয়ী? অস্বীকৃতিমূলক প্রশ্ন। অর্থাৎ তারা জয়ী নয়; বরং পরাজিত, বিজয়ী নয়; বরং বিজিত, সম্মানিত নয়; বরং অসম্মান ও অপমান তাদের ভাগ্য।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান