২০ সূরাঃ ত্ব-হা | Ta-Ha | سورة طه - আয়াতঃ ৯৯
২০:৯৯ كَذٰلِكَ نَقُصُّ عَلَیۡكَ مِنۡ اَنۡۢبَآءِ مَا قَدۡ سَبَقَ ۚ وَ قَدۡ اٰتَیۡنٰكَ مِنۡ لَّدُنَّا ذِكۡرًا ﴿ۖۚ۹۹﴾
كذلك نقص علیك من انبآء ما قد سبق و قد اتینك من لدنا ذكرا ﴿۹۹﴾

পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ এভাবেই আমি তোমার কাছে বর্ণনা করি। আর আমি তোমাকে আমার পক্ষ থেকে উপদেশ দান করেছি। আল-বায়ান

এভাবে পূর্বে যা ঘটে গেছে তার কিছু সংবাদ আমি তোমার কাছে বর্ণনা করছি, আর আমি আমার নিকট থেকে তোমাকে দান করেছি উপদেশ (বা কুরআন)। তাইসিরুল

পূর্বে যা ঘটেছে উহার সংবাদ আমি এভাবে তোমার নিকট বিবৃত করি এবং আমি আমার নিকট হতে তোমাকে দান করেছি উপদেশ। মুজিবুর রহমান

Thus, [O Muhammad], We relate to you from the news of what has preceded. And We have certainly given you from Us the Qur'an. Sahih International

৯৯. পূর্বে যা ঘটেছে তার কিছু সংবাদ আমরা এভাবে আপনার নিকট বর্ণনা করি। আর আমরা আমাদের নিকট হতে আপনাকে দান করেছি যিকর।(১)

(১) অর্থাৎ যেভাবে আপনার কাছে মূসা আলাইহিস সালামের কাহিনী বর্ণনা করলাম এবং তার সাথে ফিরআউন ও তার দলবলের ঘটনা বিবৃত করলাম। এভাবেই আমরা পূর্ববর্তী কালের সংবাদ আপনার কাছে কোন রূপ বৃদ্ধি বা কমতি না করে বর্ণনা করব। আর আপনার কাছে তো যিকর বা কুরআন তো আমাদের পক্ষ থেকেই প্রদান করা হয়েছে। এটা এমন কিতাব যার সামনে বা পিছনে কোথাও বাতিলের কোন হাত নেই। হিকমতওয়ালা ও প্রশংসিতের পক্ষ থেকে নাযিলকৃত। এ কুরআনের মত কোন কিতাব পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি। [ইবন কাসীর] এখানে কুরআনকে যিকর নাম দেয়া হয়েছে। কারণ এতে কর্তব্যকর্মসমূহ স্মরণিকা ও শিক্ষণীয়রূপে তুলে ধরা হয়েছে। অথবা যিকর বলতে এখানে সম্মান বোঝানো হয়েছে। যেমন অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, “আর নিশ্চয় এ কুরআন আপনার ও আপনার সম্প্রদায়ের জন্য সম্মান।” [সূরা আয-যুখরুফ: ৪৪] [ফাতহুল কাদীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৯৯) পূর্বে যা ঘটেছে তার সংবাদ আমি এইভাবে তোমার নিকট বর্ণনা করি[1] এবং নিশ্চয় আমি তোমাকে আমার নিকট হতে উপদেশ (কুরআন) দান করেছি। [2]

[1] অর্থাৎ, যেরূপ আমি ফিরআউন ও মূসার ঘটনা বর্ণনা করেছি, ঠিক অনুরূপ বিগত নবীদের ঘটনাও তোমার সামনে তুলে ধরছি; যাতে তুমি তাদের সম্পর্কে অবহিত হও এবং তার মধ্যে যে সব শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে তা লোকেদের সামনে প্রকাশ কর; যাতে লোকেরা তার আলোকে সঠিক পন্থা অবলম্বন করতে পারে।

[2] ذِكر (উপদেশ বা স্মরণ) বলতে (কুরআন আযীম)-কে বুঝানো হয়েছে। যা দ্বারা বান্দা নিজের প্রভুকে স্মরণ করে সরল পথের অনুসরণ করে, (উপদেশ গ্রহণ করে) মুক্তি তথা সুখ-সৌভাগ্যের পথ অবলম্বন করে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান