আর যদি তুমি উচ্চস্বরে কথা বল তবে তিনি গোপন ও অতি গোপন বিষয় জানেন। আল-বায়ান
যদি তুমি উচ্চকণ্ঠে কথা বল (তাহলে জেনে রেখ) তিনি গুপ্ত ও তদপেক্ষাও গুপ্ত বিষয় জানেন। তাইসিরুল
তুমি যদি উচ্চ কন্ঠে বল, তিনি যা গুপ্ত ও অব্যক্ত সবই জানেন। মুজিবুর রহমান
And if you speak aloud - then indeed, He knows the secret and what is [even] more hidden. Sahih International
৭. আর যদি আপনি উচ্চকণ্ঠে কথা বলেন, তবে তিনি তো যা গোপন ও অতি গোপন সবই জানেন।(১)
(১) মানুষ মনে যে গোপন কথা রাখে, কারো কাছে তা প্রকাশ করে না, তাকে বলা হয় سر পক্ষান্তরে أخفى বলে সে কথা বোঝানো হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত মনেও আসেনি, ভবিষ্যতে কোন সময় আসবে। আল্লাহ তা’আলা এসব বিষয় সম্পর্কেও সম্যক ওয়াকিফহাল। [ইবন কাসীর] অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, “বলুন, এটা তিনিই নাযিল করেছেন যিনি আসমানসমূহ ও যমীনের সমুদয় রহস্য জানেন; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।” [সূরা আল-ফুরকান: ৬] সমস্ত সৃষ্টি তাঁর কাছে একই সৃষ্টির মত। এ সবের জ্ঞান তাঁর পরিপূর্ণভাবে রয়েছে। আল্লাহ বলেন, “তোমাদের সবার সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটি প্রাণীর সৃষ্টি ও পুনরুত্থানেরই অনুরূপ। নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সম্যক দ্রষ্টা।” [সূরা লুকমান: ২৮] [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭) তুমি যদি উচ্চস্বরে কথা বল, তাহলে তিনি তো গুপ্ত ও অব্যক্ত সবই জানেন। [1]
[1] অর্থাৎ, আল্লাহর যিকর অথবা তাঁর নিকট দু’আ ও প্রার্থনা উচ্চশব্দে করার প্রয়োজন নেই। কারণ তিনি তো গোপন থেকে গোপনতর কথাও শুনেন ও জানেন। অথবা أَخفَى শব্দের অর্থ হল আল্লাহ তাআলা ঐ সমস্ত কথা সম্পর্কেও অবহিত যা তিনি তকদীরে লিখে দিয়েছেন, কিন্তু মানুষের নিকট এখনও প্রকাশ করেননি। অর্থাৎ কিয়ামত পর্যন্ত ঘটিতব্য সকল ঘটনা সম্পর্কে তিনি পরিজ্ঞাত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান