আর যদি তারা তালাকের দৃঢ় ইচ্ছা করে নেয় তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। আল-বায়ান
এবং তারা যদি তালাক দেয়ার দৃঢ়প্রত্যয় গ্রহণ করে, তবে আল্লাহ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ। তাইসিরুল
পক্ষান্তরে যদি তারা তালাক দিতেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয় তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ শ্রবণকারী, মহাজ্ঞানী। মুজিবুর রহমান
And if they decide on divorce - then indeed, Allah is Hearing and Knowing. Sahih International
২২৭. আর যদি তারা তালাক(১) দেয়ার সংকল্প করে তবে নিশ্চয় আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
(১) ইসলামী শরীআতে বিয়ে হচ্ছে, পরস্পরের সম্মতিক্রমে সম্পাদিত একটি চুক্তিস্বরূপ। যেমন, ক্রয়-বিক্রয়ের মধ্যে আদান-প্রদান হয়ে থাকে, অনেকটা তেমনি। দ্বিতীয় দিক হচ্ছে, এটি একটি ইবাদাত। সমগ্র উম্মত এতে একমত যে, বিয়ে সাধারণ লেন-দেন ও চুক্তির ঊর্ধ্বে একটা পবিত্র বন্ধনও বটে। যেহেতু এতে ইবাদাতের গুরুত্ব রয়েছে, সেহেতু বিয়ের ব্যাপারে এমন কতিপয় শর্ত রাখা হয়, যা সাধারণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে রাখা হয় না। আর তালাক; তা বিয়ের চুক্তি ও লেন-দেন বাতিল করাকে বোঝায়। ইসলামী শরীআত বিয়ের বেলায় চুক্তির চাইতে ইবাদাতের গুরুত্ব বেশী দিয়ে একে সাধারণ বৈষয়িক চুক্তি অপেক্ষা অনেক উর্ধ্বে স্থান দিয়েছে। তাই এ চুক্তি বাতিল করার ব্যাপারটিও সাধারণ ব্যাপারের চাইতে কিছুটা জটিল। যখন খুশী, যেভাবে খুশী তা বাতিল করে অন্যের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা চলবে না, বরং এর জন্য একটি সুষ্ঠ আইন রয়েছে। এ আয়াত থেকে পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে এরই বর্ণনা দেয়া হয়েছে।
তাফসীরে জাকারিয়া(২২৭) আর যদি তারা তালাকই দিতে (বিবাহ বিচ্ছেদ করতে) সংকল্পবদ্ধ হয়,[1] তবে আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
[1] এই শব্দগুলো থেকে প্রতীয়মান হয় যে, চার মাস হয়ে গেলেই আপনা-আপনিই তালাক হয়ে যাবে না। (যেমন কোন কোন উলামার অভিমত।) বরং স্বামী তালাক দিলে তবেই তালাক হবে। আর এ কাজে আদালতও তাকে বাধ্য করবে। অধিকাংশ উলামার এটাই মত। (ইবনে কাসীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান