আর তোমরা যখন অঙ্গীকার কর তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর। তোমরা পাকাপোক্ত অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করো না এবং প্রকৃত পক্ষে তোমরা নিজদের জন্য আল্লাহকে জিম্মাদার বানিয়েছ। নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, যা তোমরা কর। আল-বায়ান
তোমরা পরস্পর অঙ্গীকারে আবদ্ধ হলে আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, নিজেদের অঙ্গীকার পাকা-পোখত করার পর তা ভঙ্গ করো না, যেহেতু তোমরা আল্লাহকে নিজেদের উপর সাক্ষী বানিয়ে নিয়েছ, তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে ওয়াকেফহাল। তাইসিরুল
তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা শপথ দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ করনা; তোমরা যা কর আল্লাহ তা জানেন। মুজিবুর রহমান
And fulfill the covenant of Allah when you have taken it, [O believers], and do not break oaths after their confirmation while you have made Allah, over you, a witness. Indeed, Allah knows what you do. Sahih International
৯১. আর তোমরা আল্লাহর অঙ্গীকার পূর্ণ কর যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর এবং তোমরা আল্লাহকে তোমাদের জামিন করে শপথ দৃঢ় করার পর তা ভঙ্গ করো না।(১) নিশ্চয় আল্লাহ জানেন, যা তোমরা কর।
(১) আয়াত থেকে বুঝা গেল যে, কোন ব্যাপারে শপথ করার পর তা রক্ষা করা জরুরী। কিন্তু যদি কেউ কোন কাজ করবে না বলে অথচ কাজটি হালাল ও ভাল। তখন কাজটি করা সুন্নাত, আর তার উচিত শপথের কাফফারা দেয়া। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, আল্লাহ চাহে তো যখনই এমন কোন কাজের শপথ করি তারপর এর বিপরীতে এর চেয়ে ভাল দেখি তখনই আমি ভাল কাজটি করি এবং শপথের কাফফারা দেই।” [বুখারী: ৬৬২১; মুসলিম: ১৬৪৯]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯১) তোমরা যখন পরস্পর অঙ্গীকার কর, তখন আল্লাহর অঙ্গীকার পূরণ করো এবং আল্লাহকে তোমাদের যামিন করে শপথ দৃঢ় করবার পর তোমরা তা ভঙ্গ করো না;[1] তোমরা যা কর, অবশ্যই আল্লাহ তা জানেন।
[1] এক প্রকার কসম বা শপথ হল, যা কোন কথা; অঙ্গীকার, প্রতিশ্রুতি, প্রতিজ্ঞা বা চুক্তিকে সুদৃঢ় করার জন্য করা হয়। আর দ্বিতীয় হল, যা অনেকে কোন সময় কসম করে বলে থাকে, ‘আমি এই কাজ করব বা আমি এই কাজ করব না।’ এখানে প্রথম অর্থে ব্যবহার হয়েছে। বলা হচ্ছে যে, তোমরা শপথ করে আল্লাহকে যামিন করেছ, অতএব এখন তা ভঙ্গ করো না। বরং সে অঙ্গীকার পূরণ কর, যার জন্য তুমি শপথ করেছ। কারণ, দ্বিতীয় শপথের ব্যাপারে হাদীসে আদেশ করা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি কোন কাজের জন্য শপথ করে সে যদি বুঝে যে বিপরীত করলে তার মঙ্গল হবে, তাহলে তার উচিত, যাতে মঙ্গল রয়েছে সে যেন সেই কাজ করে এবং শপথের কাফফারা দিয়ে দেয়। (মুসলিম ১২৭২নং) নবী (সাঃ)-এর আমলও অনুরূপ ছিল। (বুখারী ৬৬২৩, মুসলিম ১২৬৯নং)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান