‘হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী বানান এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও, হে আমাদের রব, আর আমার দো‘আ কবূল করুন’। আল-বায়ান
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও আর আমার সন্তানদেরকেও, হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি আমার প্রার্থনা কবূল কর। তাইসিরুল
হে আমার রাব্ব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও; হে আমাদের রাব্ব! আমার প্রার্থনা কবূল করুন। মুজিবুর রহমান
My Lord, make me an establisher of prayer, and [many] from my descendants. Our Lord, and accept my supplication. Sahih International
৪০. হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও। হে আমাদের রব! আর আমার দো'আ কবুল করুন।(১)
(১) প্রশংসা বর্ণনার পর আবার দোআয় মশগুল হয়ে যানঃ (رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلَاةِ وَمِنْ ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاءِ) এতে নিজের জন্য ও সন্তানদের জন্য সালাত কায়েম রাখার দোআ করেন। অতঃপর কাকুতি-মিনতি সহকারে আবেদন করেন যে, হে আমার পালনকর্তা! আমার দোআ কবুল করুন। এখানে সালাতে কায়েম রাখার অর্থ, সালাতের হিফাযতকারী এবং এর সীমারেখা যথাযথভাবে কায়েম করা বুঝানো হয়েছে। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪০) হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামায প্রতিষ্ঠাকারী বানাও এবং আমার বংশধরদের মধ্য হতেও।[1] হে আমাদের প্রতিপালক! আমার দুআ কবুল কর।
[1] নিজের সাথে স্বীয় সন্তানদের জন্যও দু’আ করলেন। ইতিপূর্বেও নিজের সাথে স্বীয় সন্তানদের জন্য দু’আ করলেন যে, তাদেরকে পাথরের মূর্তিপূজা থেকে বাঁচিয়ে রাখো। এ থেকে জানা গেল যে, দ্বীনের আহবায়কদেরকে স্বীয় পরিবারের হিদায়াত এবং তাদের দ্বীনী শিক্ষা-দীক্ষার ব্যাপারে উদাসীন থাকা উচিত নয়। বরং দাওয়াত ও তবলীগে তাদেরকে প্রাথমিক পর্যায়ে রাখা উচিত। যেমন মহান আল্লাহ স্বীয় শেষ নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)-কেও নির্দেশ দিয়েছেন: وَأَنذِرْ عَشِيرَتَكَ الْأَقْرَبِينَ অর্থাৎ, স্বীয় নিকটাত্মীয়দেরকে সতর্ক কর। (সূরা শু‘আরা ২১৪)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান