আর অপবিত্র বাক্যের উপমা নিকৃষ্ট বৃক্ষের ন্যায়, যাকে মাটির উপর থেকে সমূলে উপড়ে ফেলা হয়েছে, যার কোন স্থিতি নেই। আল-বায়ান
মন্দ বাক্য মন্দ বৃক্ষের সঙ্গে তুলনীয়, ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগেই যাকে মূল থেকে উপড়ে ফেলা হয়েছে, যার কোন স্থায়িত্ব নেই। তাইসিরুল
কু-বাক্যের তুলনা এক মন্দ বৃক্ষ যার মূল ভূ-পৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্ন, যার কোন স্থায়িত্ব নেই। মুজিবুর রহমান
And the example of a bad word is like a bad tree, uprooted from the surface of the earth, not having any stability. Sahih International
২৬. আর অসৎবাক্যের তুলনা এক মন্দ গাছ যার মূল ভূপৃষ্ঠ হতে বিচ্ছিন্নকৃত, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।(১)
(১) (كَلِمَةٍ خَبِيثَةٍ) এটি কালেমা তাইয়্যেবার বিপরীত শব্দ। এখানে কাফেরদের দৃষ্টান্ত দেয়া হয়েছে খারাপ বৃক্ষ দ্বারা। কালেমায়ে তাইয়্যেবার অর্থ যেমন লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ অর্থাৎ ঈমান, তেমনি কালেমায়ে খবীসার অর্থ কুফর বাক্য ও কুফর কাজকর্ম। [কুরতুবী] আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর তাফসীরে (كَشَجَرَةٍ خَبِيثَةٍ) অর্থাৎ খারাপ বৃক্ষের উদ্দিষ্ট অর্থ হানযল বৃক্ষ সাব্যস্ত করা হয়েছে। [কুরতুবী] কেউ কেউ রসুন ইত্যাদি বলেছেন। [বাগভী] কুরআনে এই খারাপ বৃক্ষের অবস্থা এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, এর শিকড় ভূগর্ভের অভ্যন্তরে বেশী যেতে পারে না। ফলে যখন কেউ ইচ্ছা করে, এ বৃক্ষকে সমূলে উৎপাটিত করতে পারে। [কুরতুবী] কাফেরের কাজকর্মকে এ বৃক্ষের সাথে তুলনা করার কারণ হচ্ছে, ইবন আব্বাস বলেন, শির্কের কোন মূল নেই, কোন প্রমাণ নেই যে, কাফের তা ধারণ করবে। আর আল্লাহ শির্ক মিশ্রিত কোন আমল কবুল করেন না। [তাবারী] অর্থাৎ কাফেরের দ্বীনের বিশ্বাসের কোন শিকড় ও ভিত্তি নেই। অল্পক্ষণের মধ্যেই নড়বড়ে হয়ে যায়। অনুরূপভাবে এ বৃক্ষের ফল-ফুল অর্থাৎ কাফেরের ক্রিয়াকর্ম আল্লাহর দরবারে ফলদায়ক নয়। গ্রহণযোগ্য নয়। [বাগভী; কুরতুবী ইবন কাসীর; ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(২৬) পক্ষান্তরে কুবাক্যের উপমা এক মন্দ বৃক্ষ; যার মূল ভূপৃষ্ঠ হতে বিছিন্ন, যার কোন স্থায়িত্ব নেই।[1]
[1] كَلِمَة خَبِيْثَة (কুবাক্য) থেকে কুফরী এবং شَجَرَة خَبِيْثَة (মন্দ বৃক্ষ) থেকে হানযাল (তেলাকচু বা মাকাল) গাছকে বুঝানো হয়েছে যার শিকড় মাটির উপরেই থাকে এবং একটু টান দিতেই উপড়ে যায়। অর্থাৎ কাফেরদের আমল একেবারেই মূল্যহীন; তা না আকাশে যায়, আর না আল্লাহর দরবারে তা গৃহীত হয়।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান