১৩ সূরাঃ আর-রাদ | Ar-Ra'd | سورة الرعد - আয়াতঃ ৩৬
১৩:৩৬ وَ الَّذِیۡنَ اٰتَیۡنٰهُمُ الۡكِتٰبَ یَفۡرَحُوۡنَ بِمَاۤ اُنۡزِلَ اِلَیۡكَ وَ مِنَ الۡاَحۡزَابِ مَنۡ یُّنۡكِرُ بَعۡضَهٗ ؕ قُلۡ اِنَّمَاۤ اُمِرۡتُ اَنۡ اَعۡبُدَ اللّٰهَ وَ لَاۤ اُشۡرِكَ بِهٖ ؕ اِلَیۡهِ اَدۡعُوۡا وَ اِلَیۡهِ مَاٰبِ ﴿۳۶﴾
و الذین اتینهم الكتب یفرحون بما انزل الیك و من الاحزاب من ینكر بعضهٗ قل انما امرت ان اعبد الله و لا اشرك بهٖ الیه ادعوا و الیه ماب ﴿۳۶﴾

আর আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি, তোমার উপর যা নাযিল হয়, তাতে তারা উৎফুল্ল হয়। আর দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ এর কিছু অংশকে অস্বীকার করে। বল, ‘আমাকে কেবল আদেশ দেয়া হয়েছে, যেন আমি আল্লাহর ইবাদাত করি এবং তাঁর সাথে শরীক না করি। আমি তাঁরই দিকে দাওয়াত দেই এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তনস্থল’। আল-বায়ান

আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছিলাম তারা তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে উৎফুল্ল, কিন্তু কতক দল তার কোন কোন কথা মানে না। বল, ‘আমি আল্লাহর ‘ইবাদাত করার জন্য এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শারীক না করার জন্য নির্দেশপ্রাপ্ত হয়েছি, আমি তাঁর দিকেই আহবান জানাই, আর আমার প্রত্যাবর্তন তাঁর দিকেই। তাইসিরুল

আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ হয়েছে তাতে আনন্দ পায়, কিন্তু কোন কোন দল ওর কতক অংশ অস্বীকার করে। তুমি বলঃ আমিতো আল্লাহরই ইবাদাত করতে ও তাঁর কোন শরীক না করতে আদিষ্ট হয়েছি; আমি তাঁরই প্রতি আহবান করি এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন। মুজিবুর রহমান

And [the believers among] those to whom We have given the [previous] Scripture rejoice at what has been revealed to you, [O Muhammad], but among the [opposing] factions are those who deny part of it. Say, "I have only been commanded to worship Allah and not associate [anything] with Him. To Him I invite, and to Him is my return." Sahih International

৩৬. আর আমরা যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা যা আপনার প্রতি নাযিল হয়েছে তাতে আনন্দ পায়(১)। আর দলগুলোর(২) মধ্যে কেউ কেউ তার কিছু অংশকে অস্বীকার করে। বলুন, আমি তো আল্লাহর ইবাদাত করতে ও তার কোন শরীক না করতে আদেশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমি তারই দিকে ডাকি এবং তারই কাছে আমার ফিরে যাওয়া।

(১) আল্লাহ তা'আলা এখানে জানাচ্ছেন যে, যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে, তারা যা নাযিল হয়েছে তা দেখে খুশী হয়। এখানে ‘যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে’ বলে কি বোঝানো হয়েছে সে ব্যাপারে দু’টি মত রয়েছে। এক. কিতাবধারী বলে আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদী ও নাসারাদের মধ্যে যারা ঈমান এনেছে তাদের উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। তখন অর্থ হবে, কিতাবীদের মধ্যে যারা কিতাবের বিধানকে আঁকড়ে আছে, তার উপর প্রতিষ্ঠিত, তারা আপনার কাছে যা নাযিল হয়েছে অর্থাৎ কুরআন সেটা দেখলে খুশী হয়। কারণ, তাদের কিতাবে এ রাসূলের সত্যতা ও সুসংবাদ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য সন্নিবেশিত আছে। [ইবন কাসীর] যেমন, আব্দুল্লাহ ইবন সালাম, সালমান প্রমুখ। [কুরতুবী] দুই. কাতাদা বলেন, এখানে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথী তথা সাহাবীদের কথা বলা হয়েছে। তারা কুরআনের আলো নাযিল হতে দেখলেই খুশী হত। [তাবারী; কুরতুবী]

(২) দলগুলো বলে এখানে কাদের উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কয়েকটি মত রয়েছে, এক. তারা মক্কার মুশরিক কুরাইশরা এবং ইয়াহুদী ও নাসারাদের মধ্যে যারা ঈমান আনেনি তারা। [কুরতুবী] দুই. অথবা এখানে শুধু ইয়াহুদী ও নাসারাদেরকেই উদ্দেশ্য নেয়া হয়েছে। [ইবন কাসীর] তিন. অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিরুদ্ধে যারা জোট বেঁধেছিল তারা সবাই এখানে উদ্দেশ্য। [কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৩৬) আমি যাদেরকে কিতাব দিয়েছি তারা[1] যা তোমার প্রতি অবতীর্ণ করা হয়েছে তাতে আনন্দিত হয়,[2] আর কোন কোন দল ওর কতক অংশকে অস্বীকার করে।[3] তুমি বল, ‘আমি তো কেবল আল্লাহরই ইবাদত করতে এবং তাঁর কোন শরীক না করতে আদিষ্ট হয়েছি। আমি তাঁরই প্রতি আহবান করি এবং তাঁরই নিকট আমার প্রত্যাবর্তন।’

[1] এর অর্থ মুসলমান; যারা কুরআনের আদেশ মোতাবেক আমল করে।

[2] অর্থাৎ কুরআনের সত্যতার দলীল-প্রমাণ দেখে অধিক আনন্দিত হয়।

[3] এ থেকে ইয়াহুদী, খ্রিষ্টান, কাফের ও মুশরিকদেরকে বুঝানো হয়েছে। কতিপয় উলামার নিকট কিতাবের অর্থ তাওরাত ও ইঞ্জীল। তাদের মধ্যে যারা ইসলাম গ্রহণ করেছে তারা আনন্দিত হয়। অস্বীকারকারী সেই ইয়াহুদী ও খ্রিষ্টানরা, যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান