তারপর যখন তারা তার ব্যাপারে নিরাশ হল, তখন তারা পরামর্শ করতে একান্তে মিলিত হল। তাদের বড়জন বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন, আর ইতঃপূর্বে তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে যে অন্যায় করেছ? সুতরাং যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেবেন অথবা আল্লাহ আমার ব্যাপারে ফয়সালা করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আমি এদেশ ছেড়ে যাব না এবং তিনি সর্বোত্তম ফয়সালাকারী’। আল-বায়ান
যখন তারা ইউসুফের নিকট থেকে নিরাশ হয়ে গেল তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করল। তাদের মধ্যে বয়সে সবার বড় ভাইটি বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের থেকে আল্লাহর নামে শপথ গ্রহণ করেছেন, আর এর পূর্বেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে (তোমাদের কর্তব্য পালনে) ব্যর্থ হয়েছ, কাজেই আমি কিছুতেই এখান থেকে নড়বো না যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দিবেন কিংবা আল্লাহ আমার ব্যাপারে কোন নির্দেশ দিবেন, কেননা তিনি হলেন সর্বোত্তম ফায়সালাকারী। তাইসিরুল
যখন তারা তার নিকট হতে সম্পূর্ণ নিরাশ হল তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করতে লাগল, ওদের মধ্যে যে ছিল বয়োজ্যেষ্ঠ সে বললঃ তোমরা কি জাননা যে, তোমাদের পিতা তোমাদের নিকট হতে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং পূর্বেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে ক্রটি করেছিলে; সুতরাং আমি কিছুতেই এই দেশ ত্যাগ করবনা যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেন অথবা আল্লাহ আমার জন্য কোন ব্যবস্থা করেন এবং তিনিই বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। মুজিবুর রহমান
So when they had despaired of him, they secluded themselves in private consultation. The eldest of them said, "Do you not know that your father has taken upon you an oath by Allah and [that] before you failed in [your duty to] Joseph? So I will never leave [this] land until my father permits me or Allah decides for me, and He is the best of judges. Sahih International
৮০. অতঃপর যখন তারা তার(১) ব্যাপারে সম্পূর্ণ নিরাশ হল, তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করতে লাগল। তাদের মধ্যে বয়সে বড় ব্যক্তিটি বলল, তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের কাছ থেকে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং আগেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে অন্যায় করেছিলে। কাজেই আমি কিছুতেই এ দেশ থেকে যাব না যতক্ষন না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেন বা আল্লাহ আমার জন্য কোন ফয়সালা করেন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ ফয়সালাকারী।
(১) অর্থাৎ যখন তারা তাদের ভাই বিন ইয়ামীনকে ছাড়িয়ে নেয়ার যাবতীয় প্রচেষ্টা করে নিরাশ হয়ে গেল এবং বুঝতে পারল যে, আযীয মিশর কোনভাবেই তাকে ছাড়বে না। তখন তারা পরবর্তী করণীয় নিয়ে শলা পরামর্শের জন্য একত্রিত হলো। [সা’দী; মুয়াস্সার]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮০) যখন তারা তার নিকট হতে সম্পূর্ণ নিরাশ হল, তখন তারা নির্জনে গিয়ে পরামর্শ করতে লাগল।[1] ওদের মধ্যে যে বয়োজ্যেষ্ঠ ছিল সে বলল, ‘তোমরা কি জান না যে, তোমাদের পিতা তোমাদের নিকট হতে আল্লাহর নামে অঙ্গীকার নিয়েছেন এবং পূর্বেও তোমরা ইউসুফের ব্যাপারে ত্রুটি করেছিলে। সুতরাং আমি কিছুতেই এই দেশ ত্যাগ করব না, যতক্ষণ না আমার পিতা আমাকে অনুমতি দেন[2] অথবা আল্লাহ আমার জন্য কোন ব্যবস্থা করেন এবং তিনিই শ্রেষ্ঠ বিচারক। [3]
[1] কেননা বিনয়্যামীনকে ছেড়ে যাওয়া ভীষণ কঠিন ছিল, তাঁরা পিতাকে মুখ দেখানোর যোগ্য ছিলেন না। তাই তাঁরা পরস্পর পরামর্শ করতে লাগলেন যে, এখন কি করা যায়?
[2] তাঁদের বড় ভাই এই পরিস্থিতিতে নিজের মধ্যে পিতার সাথে সাক্ষাৎ করার শক্তি ও ক্ষমতা না পেয়ে স্পষ্ট বলে ফেললেন যে, আমি ততক্ষণ পর্যন্ত এখান থেকে যাব না; যতক্ষণ পর্যন্ত না আব্বাজান নিজে তদন্ত করে দেখে আমার নির্দোষ হওয়ার কথা বিশ্বাস করে নেবেন এবং আমাকে আসার অনুমতি দেবেন।
[3] ‘আল্লাহ আমার জন্য কোন ব্যবস্থা করেন’ এর অর্থ হলো যে, কোন প্রকারে আযীয (মিসরের বাদশা) বিনয়্যামীনকে ছেড়ে দিয়ে আমার সাথে যাওয়ার অনুমতি দিয়ে দেন। অথবা এর অর্থ হলো এই যে, আল্লাহ তাআ‘লা আমাকে এতটা শক্তি দান করুন যে, আমি বিনয়্যামীনকে তরবারির জোরে অর্থাৎ শক্তির জোরে মুক্ত করে আমার সাথে নিয়ে যাই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান