তারা বলল, ‘তার শাস্তি হবে, যার মালপত্রের ভিতর ওটি পাওয়া যাবে, সে-ই হবে তার বিনিময়। এভাবেই আমরা যালেমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি’। আল-বায়ান
তারা বলল, ‘তার শাস্তি হল যার মালের ভিতর ওটা পাওয়া যাবে তাকেই ধরে রাখা হবে। সীমালঙ্ঘনকারীদেরকে আমরা এভাবেই শাস্ত দিয়ে থাকি।’ তাইসিরুল
তারা বললঃ এর শাস্তি এই যে, যার মালপত্রের মধ্যে পাত্রটি পাওয়া যাবে, সে’ই তার বিনিময়, এভাবে আমরা সীমালংঘনকারীদের শাস্তি দিয়ে থাকি। মুজিবুর রহমান
[The brothers] said, "Its recompense is that he in whose bag it is found - he [himself] will be its recompense. Thus do we recompense the wrongdoers." Sahih International
৭৫. তারা বলল, এর শাস্তি যার মালপত্রের মধ্যে পাত্রটি পাওয়া যাবে, সে-ই তার বিনিময়। এভাবে আমরা যালেমদেরকে শাস্তি দিয়ে থাকি।(১)
(১) অর্থাৎ ইউসুফ ভ্রাতাগণ বললঃ যার আসবাবপত্র থেকে চোরাই মাল বের হবে; সে নিজেই দাসত্ব বরণ করবে। আমরা চোরকে এমনি ধরণের সাজা দেই। উল্লেখ্য, এ ভাইয়েরা ছিল ইবরাহিমী পরিবারের সন্তান। কাজেই চুরির ব্যাপারে তারা যে আইনের কথা বলে তা ছিল ইবরাহিমী শরীয়াতের আইন। এ আইন অনুযায়ী চোরের শাস্তি ছিল, যে ব্যক্তির সম্পদ সে চুরি করেছে তাকে তার দাসত্ব করতে হবে। উদ্দেশ্য, ইয়াকুব আলাইহিস সালাম-এর শরীআতেও চোরের শাস্তি এই যে, যার মাল চুরি করে সে চোরকে গোলাম করে রাখবে। [কুরতুবী; ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৭৫) তারা বলল, ‘এর শাস্তি এই যে, যার মালপত্রের মধ্যে পাত্রটি পাওয়া যাবে, সেই হবে তার বিনিময়।[1] এভাবে আমরা সীমালংঘনকারীদের শাস্তি দিয়ে থাকি।’ [2]
[1] অর্থাৎ চোরকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঐ ব্যক্তির হাতে দাসরূপে সঁপে দেওয়া হতো, যার সে চুরি করতো। এটা ইয়াকূব (আঃ)-এর শরীয়তে শাস্তি ছিল, তাই সেই মোতাবেক ইউসুফ (আঃ)-এর ভায়েরা এই শাস্তির প্রস্তাব পেশ করলেন।
[2] এই উক্তিটিও ইউসুফ (আঃ)-এর ভাইদের। কতক ব্যাখ্যাকারীদের নিকট এ উক্তি ইউসুফ (আঃ)-এর কর্মচারীদের। তারা বলেছিল, আমরাও যালিম (অপরাধী)-দেরকে এ ধরনেরই সাজা দিয়ে থাকি। কিন্তু পরবর্তী আয়াতের এই অংশ ‘রাজার আইনে তার সহোদরকে সে (দাস বানিয়ে) আটক করতে পারত না’ এ কথার খন্ডন করছে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান