আর যদি আমি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে রহমত আস্বাদন করাই, অতঃপর তার থেকে তা কেড়ে নেই, নিশ্চয় সে তখন (হয়ে পড়বে) নিরাশ, অকৃতজ্ঞ। আল-বায়ান
আমি যদি মানুষকে আমার পক্ষ থেকে রহমত আস্বাদন করাই অতঃপর তা তার থেকে ছিনিয়ে নেই, তখন সে অবশ্যই হতাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে। তাইসিরুল
আমি যদি মানুষকে আমার পক্ষ হতে করুণার স্বাদ গ্রহণ করাই, অতঃপর তার রাশ টেনে ধরি তাহলে সে নিরাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে যায়। মুজিবুর রহমান
And if We give man a taste of mercy from Us and then We withdraw it from him, indeed, he is despairing and ungrateful. Sahih International
৯. আর যদি আমরা মানুষকে আমাদের কাছ থেকে রহমত আস্বাদন করাই(১) ও পরে তার কাছ থেকে আমরা তা ছিনিয়ে নেই তবে তো নিশ্চয় সে হয়ে পড়ে হতাশ ও অকৃতজ্ঞ।
(১) অন্য আয়াতেও আল্লাহ্ তা'আলা এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, “আর যদি দুঃখ-দৈন্য স্পর্শ করার পর আমরা তাকে আমার পক্ষ থেকে অনুগ্রহের আস্বাদন দেই তখন সে অবশ্যই বলে থাকে, এ আমার প্রাপ্য এবং আমি মনে করি না যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমি যদি আমার রবের কাছে ফিরে যাইও তার কাছে নিশ্চয় আমার জন্য কল্যাণই থাকবে। অতএব, আমরা কাফিরদেরকে তাদের আমল সম্বন্ধে অবশ্যই অবহিত করব এবং তাদেরকে অবশ্যই আস্বাদন করাব কঠোর শাস্তি।” [সূরা ফুসসিলাত: ৫০] আরও বলেন, “আর আমরা যখন মানুষকে আমাদের পক্ষ থেকে কোন রহমত আস্বাদন করাই তখন সে এতে উৎফুল্ল হয় এবং যখন তাদের কৃতকর্মের জন্য তাদের বিপদ-আপদ ঘটে তখন তো মানুষ হয়ে পড়ে খুবই অকৃতজ্ঞ।” [সূরা আশ-শূরা: ৪৮]
তাফসীরে জাকারিয়া(৯) আর যদি আমি মানুষকে স্বীয় অনুগ্রহ আস্বাদন করিয়ে তার নিকট হতে তা ছিনিয়ে নিই, তাহলে সে নিরাশ ও অকৃতজ্ঞ হয়ে পড়ে।[1]
[1] সাধারণতঃ মানুষের মধ্যে যে খারাপ গুণ পাওয়া যায়, এই আয়াতে ও পরের আয়াতে তারই বর্ণনা রয়েছে। হতাশা ভবিষ্যতের সাথে সম্পৃক্ত আর অকৃতজ্ঞতা অতীত ও বর্তমানের সাথে সম্পৃক্ত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান