৮১ . আত-তাকভীর
৮১:২৯ وَ مَا تَشَآءُوۡنَ اِلَّاۤ اَنۡ یَّشَآءَ اللّٰهُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ ﴿۲۹﴾

আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন। আল-বায়ান

তোমরা ইচ্ছে কর না যদি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ ইচ্ছে না করেন। তাইসিরুল

তোমরা ইচ্ছা করবেনা, যদি জগতসমূহের রাব্ব আল্লাহ ইচ্ছা না করেন। মুজিবুর রহমান

And you do not will except that Allah wills - Lord of the worlds. Sahih International

২৯. আর তোমরা ইচ্ছে করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছে করেন।(১)

(১) অর্থাৎ তোমরা সরল পথে চলতে চাইলে এবং আল্লাহর দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে চাইলেই থাকতে পারবে না। যতক্ষণ আল্লাহ ইচ্ছা না করবেন। সুতরাং তাঁর কাছেই তাওফীক কামনা করো। তবে এটা সত্য যে, কেউ যদি আল্লাহর পথে চলতে ইচ্ছে করে তবে আল্লাহ্ও তাকে সেদিকে চলতে সহযোগিতা করেন। মূলত আল্লাহর ইচ্ছা হওয়ার পরই বান্দার সে পথে চলার তাওফীক হয়। বান্দার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছা অনুসারেই হয়। তবে যদি ভাল কাজ হয় তাতে আল্লাহর সস্তুষ্টি থাকে, এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর শরীয়তগত ইচ্ছা’। পক্ষান্তরে খারাপ কাজ হলে আল্লাহর ইচ্ছায় সংঘটিত হলেও তাতে তাঁর সন্তুষ্টি থাকে না। এটাকে বলা হয় ‘আল্লাহর প্রাকৃতিক ইচ্ছা’। এ দু' ধরনের ইচ্ছার মধ্যে পার্থক্য না করার কারণে অতীতে ও বর্তমানে অনেক দল ও ফেরকার উদ্ভব ঘটেছে। [দেখুন: ইবন তাইমিয়্যাহ, আল-ইস্তেকামাহ: ১/৪৩৩; মিনহাজুস সুন্নাহ: ৩/১৬৪]

তাফসীরে জাকারিয়া

২৯। আর বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহর ইচ্ছা ব্যতীত তোমরা কোনই ইচ্ছা করতে পার না। [1]

[1] অর্থাৎ, তোমাদের ইচ্ছা আল্লাহর তওফীকের উপর নির্ভরশীল। যতক্ষণ পর্যন্ত তোমাদের ইচ্ছায় আল্লাহ ইচ্ছা এবং তাঁর তওফীক শামিল না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা সরল পথ অবলম্বন করতে পারবে না। এটা সেই বিষয় যা إنك لا تهدي من أحببت অর্থাৎ, ‘তুমি যাকে ইচ্ছা কর, তাকে হিদায়াত করতে পার না।’(সূরা কাসাস ৫৬ নং) প্রভৃতি আয়াতে বর্ণিত হয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১ পর্যন্ত, সর্বমোট ১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে