যেমন, আপনি হয়ত ২ নং সূরার ২০ নং আয়াত এবং ১০ নং সূরার ৫ নং আয়াত এভাবে একসাথে আরো অন্য সূরার অন্য আয়াত সার্চ করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে উপরের সার্চ বক্সে
২:২০, ১০:৫ এভাবে অথবা ২/২০, ১০/৫ এভাবে লিখে সার্চ করতে হবে।
আপনি সূরা ও আয়াত নং বাংলা অথবা ইংরেজিতে লিখতে পারেন।
নিশ্চয় এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের* আনিত বাণী। আল-বায়ান
এ কুরআন নিশ্চয়ই সম্মানিত রসূলের (অর্থাৎ জিবরাঈলের) আনীত বাণী। তাইসিরুল
নিশ্চয়ই এই কুরআন সম্মানিত বার্তাবহের আনীত বাণী। মুজিবুর রহমান
[That] indeed, the Qur'an is a word [conveyed by] a noble messenger Sahih International
*জিবরীল (আলাইহিস সালাম)।
১৯. নিশ্চয়ই এ কুরআন সম্মানিত রাসূলের আনীত বাণী(১)
(১) এখানে সম্মানিত বাণীবাহক (رَسُولٍ كَرِيمٍ) বলতে অহী আনার কাজে লিপ্ত ফেরেশতা জিবরীল আলাইহিস সালামকে বোঝানো হয়েছে। পরবর্তী আয়াতে এ-কথাটি আরো সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। নবী-রাসূলগণের মতো ফেরেশতাগণের বেলায়ও রাসূল শব্দ ব্যবহৃত হয়। উল্লেখিত সবগুলো বিশেষণ জিবরীল আলাইহিস সালাম এর জন্যে বিনা দ্বিধায় প্রযোজ্য। তিনি যে শক্তিশালী, তা অন্যত্রও বলা হয়েছে, (عَلَّمَهُ شَدِيدُ الْقُوَىٰ) “তাঁকে শিক্ষা দান করে শক্তিশালী” [সূরা আন-নাজম: ৫]। তিনি যে আরাশ ও আকাশবাসী ফেরেশতাগণের মান্যবর তা মিরাজের হাদীস দ্বারা প্ৰমাণিত আছে; তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাথে নিয়ে আকাশে পৌছলে তাঁর আদেশে ফেরেশতারা আকাশের দরজাসমূহ খুলে দেয়। তিনি যে أمين তথা বিশ্বাসভাজন তা বর্ণনার অপেক্ষা রাখে না; আল্লাহ্ তা'আলা নিজেই তার আমানত বা বিশ্বস্ততার ঘোষণা দিয়েছেন, তাকে অহীর আমানত দিয়েছেন। [ইবন কাসীর, কুরতুবী]
আর কুরআনকে “বাণীবাহকের বাণী” বলার অর্থ এই নয় যে, এটি ঐ সং ফেরেশতার নিজের কথা। বরং “বাণীবাহকের বাণী” শব্দ দুটিই একথা প্ৰকাশ করছে যে, এটি সেই সত্তার বাণী যিনি তাকে বাণীবাহক করে পাঠিয়েছেন। সূরা ‘আল হাক্কার ৪০ আয়াতে এভাবে কুরআনকে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী বলা হয়েছে। সেখানেও এর অর্থ এই নয় যে, এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিজের রচনা। বরং একে “রাসূলে করীমের” বাণী বলে একথা সুস্পষ্ট করা হয়েছে যে, আল্লাহর রাসূল হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এটি পেশ করছেন, মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ হিসেবে নয়। উভয় স্থানে বাণীকে ফেরেশতা ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাথে সম্পর্কিত করার কারণ হচ্ছে এই যে, আল্লাহর বাণী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে বাণীবহনকারী ফেরেশতার মুখ থেকে এবং লোকদের সামনে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মুখ থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল। [বাদায়িউত তাফসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া১৯। নিশ্চয়ই এ (কুরআন) সম্মানিত বার্তাবহ (জিবরীলের) আনীত বাণী, [1]
[1] যেহেতু তিনি আল্লাহর নিকট থেকে তা মহানবী (সাঃ)-এর নিকট আনয়ন করেছেন। এ রসূল (বার্তাবহ) থেকে উদ্দেশ্য হল জিবরীল (আঃ)।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান