যেমন, আপনি হয়ত ২ নং সূরার ২০ নং আয়াত এবং ১০ নং সূরার ৫ নং আয়াত এভাবে একসাথে আরো অন্য সূরার অন্য আয়াত সার্চ করতে চাইছেন, সেক্ষেত্রে আপনাকে উপরের সার্চ বক্সে
২:২০, ১০:৫ এভাবে অথবা ২/২০, ১০/৫ এভাবে লিখে সার্চ করতে হবে।
আপনি সূরা ও আয়াত নং বাংলা অথবা ইংরেজিতে লিখতে পারেন।
হে মুমিনগণ, তোমরা যখন রাসূলের সাথে একান্তে কথা বলতে চাও, তখন তোমাদের এরূপ কথার পূর্বে কিছু সদাকা পেশ কর। এটি তোমাদের জন্য শ্রেয়তর ও পবিত্রতর; কিন্তু যদি তোমরা সক্ষম না হও তবে আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। আল-বায়ান
হে মু’মিনগণ! তোমরা যখন রসূলের সঙ্গে গোপনে কথা বল, তখন গোপনে কথা বলার আগে সদাক্বাহ দাও, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম ও অতি পবিত্র পন্থা। আর যদি সদাক্বাহ জোগাড় করতে না পার, তাহলে আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, অতি দয়ালু। তাইসিরুল
হে মু’মিনগণ! তোমরা রাসূলের সাথে চুপি চুপি কথা বলতে চাইলে উহার পূর্বে সাদাকাহ প্রদান করবে, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় ও পরিশোধক। যদি তাতে অক্ষম হও তাহলে এ জন্য তোমাদেরকে অপরাধী গণ্য করা হবেনা। কেননা আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। মুজিবুর রহমান
O you who have believed, when you [wish to] privately consult the Messenger, present before your consultation a charity. That is better for you and purer. But if you find not [the means] - then indeed, Allah is Forgiving and Merciful. Sahih International
১২. হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন রাসূলের সাথে চুপি চুপি কথা বলতে চাও, তখন তোমাদের এরূপ কথার পূর্বে কিছু সাদাকাহ পেশ করা, এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় ও পরিশোধক(১); কিন্তু যদি তোমরা অক্ষম হও, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
(১) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জনশিক্ষা ও জন-সংস্কারের কাজে দিবারাত্র মশগুল থাকতেন। সাধারণ মজলিসসমূহে উপস্থিত লোকজন তাঁর অমিয় বাণী শুনে উপকৃত হতো। এই সুবাদে কিছু লোক তাঁর সাথে আলাদাভাবে গোপন কথাবার্তা বলতে চাইলে তিনি সময় দিতেন। বলাবাহুল্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে আলাদা সময় দেয়া যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনি কষ্টকর ব্যাপার। এতে মুনাফিকদের কিছু দুষ্টামিও শামিল হয়ে গিয়েছিল। তারা খাঁটি মুসলিমদের ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর কাছে একান্তে গমন ও গোপন কথা বলার সময় চাইত এবং দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত কথাবার্তা বলত। কিছু অজ্ঞ মুসলিমও স্বভাবগত কারণে কথা লম্বা করে মজলিসকে দীর্ঘায়িত করত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর এই বোঝা হালকা করার জন্যে আল্লাহ তা'আলা প্রথমে এই আদেশ অবতীর্ণ করলেন যে, যারা রাসূলের সাথে একান্তে কানকথা বলতে চায়, তারা প্রথমে কিছু সদকা প্ৰদান করবে। এ নির্দেশের পর অনেকেই কানকথা বলা থেকে বিরত থেকেছিল। এর পরই আল্লাহ তা’আলা পরবর্তী আয়াত নাযিল করে মুমিনদেরকে তা থেকে অব্যাহতি দিলেন। ফলে কারা সত্যিকার মুমিন আর কারা কপট তা ধরা পড়ে গেল। [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা রসূলের সাথে চুপিচুপি কথা বলতে চাইলে তার পূর্বে কিছু সাদকা প্রদান কর।[1] এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয় ও পবিত্রতর;[2] যদি তাতে অক্ষম হও, তাহলে নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
[1] প্রত্যেক মুসলিম নবী (সাঃ)-এর সাথে নির্জনে কথা বলার আশা রাখত। এতে রসূল (সাঃ)-এর বেশ কষ্ট হত। কেউ কেউ বলেন, মুনাফিকবরা খামখা নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে চুপিচুপি কথোপকথনে ব্যস্ত থাকত; যাতে মুসলিমরা কষ্ট অনুভব করতেন। এই জন্য মহান আল্লাহ এই নির্দেশ অবতীর্ণ করলেন। যাতে নবী করীম (সাঃ)-এর সাথে চুপিচুপি কথা বলার প্রবণতা শেষ হয়ে যায়।
[2] শ্রেয় ও উত্তম এই জন্য যে, সাদকায় তোমাদেরই অন্যান্য গরীব মুসলিম ভাইদের উপকার হয়। আর পবিত্রতর এই জন্য যে, এটা হল এক সৎকর্ম এবং আল্লাহর আনুগত্য, যার দ্বারা মানুষের আত্মা পরিশুদ্ধ হয়। এ থেকে এটাও জানা গেল যে, এ নির্দেশ ছিল ‘মুস্তাহাব’ (যা করা ভাল, না করলে কোন দোষ হয় না)এর পর্যায়ভুক্ত, ওয়াজেব ছিল না।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান