লগইন করুন
১০১ সূরাঃ আল-কারি'আ | Al-Qari'a | سورة القارعة - আয়াত নং - ১১ - মাক্কী
প্রজ্জ্বলিত অগ্নি। আল-বায়ান
জ্বলন্ত আগুন। তাইসিরুল
ওটা অতি উত্তপ্ত অগ্নি। মুজিবুর রহমান
It is a Fire, intensely hot. Sahih International
১১. অত্যন্ত উত্তপ্ত আগুন।(১)
(১) এখানে حامية বলে বুঝানো হয়েছে, আগুনটি হবে অত্যন্ত উত্তপ্ত ও লেলিহান। [ইবন কাসীর] হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আদম সন্তান যে আগুন ব্যবহার করে সেটি জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ উত্তপ্ততা সম্পন্ন, সাহাবায়ে কিরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, এটাই তো শাস্তির জন্যে যথেষ্ট, তিনি বললেন, জাহান্নামের আগুন তার থেকে উনসত্তর গুণ বেশী উত্তপ্ত”। [বুখারী: ৩২৬৫] অন্য হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “তোমাদের এ আগুন জাহান্নামের আগুনের সত্তর ভাগের একভাগ। তারপরও তাকে দু’বার সমুদ্রের মাধ্যমে ঠাণ্ডা করা হয়েছে, নতুবা এর দ্বারা কেউই উপকৃত হতে পারত না।” [মুসনাদে আহমাদ: ২/২৪৪]
অন্য হাদীসে এসেছে, “কিয়ামতের দিন সবচেয়ে হাল্কা আযাব ঐ ব্যক্তির হবে যাকে আগুনের জুতা পরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে তার কারণে তার মগজ উৎরাতে থাকবে।” [মুসনাদে আহমাদ: ২/৪৩২] হাদীসে আরও এসেছে, “জাহান্নাম তার রাবের কাছে অভিযোগ দিল যে, আমার একাংশ আরেক অংশকে খেয়ে ফেলছে। তখন তাকে দু'টি নিঃশ্বাস ফেলার অনুমতি দেয়া হলো, একটি শীতকালে অপরটি গ্ৰীষ্মকালে। সুতরাং যত বেশী শীত পাও সেটা জাহান্নামের ঠাণ্ডা থেকে আর যতি বেশী গরম অনুভব কর সেটাও জাহান্নামের উত্তপ্ততা থেকে।” [বুখারী: ৫৩৭, ৩২৬০, মুসলিম: ৬১৭] অন্য হাদীসে এসেছে, “তোমরা যখন দেখবে যে, গ্ৰীষ্মের উত্তপ্ততা বেশী হয়ে গেছে তখন তোমরা সালাত ঠাণ্ডা করে পড়ে; কেননা, কঠিন উত্তপ্ততা জাহান্নামের লাভা থেকে এসেছে।” [বুখারী: ৪৩৬, মুসলিম: ৬১৫]
তাফসীরে জাকারিয়া১১। তা অতি উত্তপ্ত অগ্নি।[1]
[1] যেমন হাদীস শরীফে আছে যে, দুনিয়াতে মানুষ যে আগুন ব্যবহার করে থাকে, তা জাহান্নামের ৭০ ভাগের এক ভাগ। জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার আগুন হতে উষ্ণতার দিক দিয়ে ৬৯ গুণ বেশী। (সহীহ বুখারী মখলুক সৃষ্টি অধ্যায়, জাহান্নামের বিবরণ পরিচ্ছেদ, মুসলিম জান্নাতের বিবরণ অধ্যায়, জাহান্নামের আগুনের উষ্ণতা বিবরণ পরিচ্ছেদ)
এক অন্য হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, জাহান্নামের আগুন আল্লাহর নিকট অভিযোগ করে বলল যে, ‘আমার এক অংশ অপর অংশকে খেয়ে ফেলছে।’ তখন আল্লাহ জাহান্নামকে দুটি নিঃশ্বাস নিতে আদেশ করলেন। প্রথম নিঃশ্বাস হল গরমকালে। আর দ্বিতীয় নিঃশ্বাস হল শীতকালে। সুতরাং শীতকালে যে প্রচন্ড শীত অনুভব হয়, তা জাহান্নামের ঠান্ডা নিঃশ্বাসের কারণে। আর গ্রীষ্মকালে যে প্রচন্ড গরম পড়ে, তা জাহান্নামের গরম নিঃশ্বাসের ফলে। (বুখারী, উল্লিখিত বাবে)
অন্য এক হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, ‘‘গরম যখন প্রচন্ড হয়, তখন নামায ঠান্ডা করে পড়। কেননা, গরমের প্রচন্ডতা জাহান্নামের উত্তেজনা থেকে হয়।’’ (প্রমাণ পূর্বে উল্লিখিত, মুসলিম মাসজিদ অধ্যায়)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান