লগইন করুন
৩৯ সূরাঃ আয-যুমার | Az-Zumar | سورة الزمر - আয়াত নং - ৪৬ - মাক্কী
বল, ‘হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিকর্তা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী; তুমি তোমার বান্দাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবে যাতে তারা মতবিরোধ করছে’। আল-বায়ান
বল- হে আল্লাহ! আকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের জ্ঞানের অধিকারী, তুমি তোমার বান্দাহদের মাঝে মীমাংসা করে দেবে যে বিষয়ে তারা মতভেদ করছে. তাইসিরুল
বলঃ হে আল্লাহ! আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা! দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! আপনার বান্দারা যে বিষয়ে মতবিরোধ করে, আপনি তাদের মধ্যে ওর ফাইসালা করে দিবেন। মুজিবুর রহমান
Say, "O Allah, Creator of the heavens and the earth, Knower of the unseen and the witnessed, You will judge between your servants concerning that over which they used to differ." Sahih International
৪৬. বলুন, হে আল্লাহ, আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা, গায়েব ও উপস্থিত বিষয়াদির জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দাদের মধ্যে সে বিষয়ের ফয়সালা করে দিবেন যাতে তারা মতবিরোধ করছে।(১)
(১) আব্দুর রহমান ইবন আওফ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহাকে জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাহাজ্জদের সালাত কি দ্বারা শুরু করতেন? তিনি বললেন, তিনি যখন তাহাজ্জদের জন্যে উঠতেন তখন এ দো’আ পাঠ করতেনঃ
اللَّهُمَّ رَبَّ جِبْرِيلَ , وَمِيكَائِيلَ , وَإِسْرَافِيلَ فَاطِرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ , عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ ، اللَّهُمَّ اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنَ الْحَقِّ , إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ
হে আল্লাহ! জিবরীল, মীকাইল ও ইসরাফীলের প্রভু, আসমানসমূহ ও যমীনের প্রভু, গায়েব ও প্রত্যক্ষ সবকিছুর জ্ঞানী, আপনিই আপনার বান্দারা যে সব বিষয়ে মতবিরোধ করছে তাতে ফয়সালা করবেন। যে ব্যাপারে মতবিরোধ করা হয়েছে তাতে আপনার অনুমতিক্রমে আমাকে সত্য-সঠিক পথ দিন। নিশ্চয় আপনি যাকে ইচ্ছা তাকে সরল সোজা পথের হেদায়েত করেন। [মুসলিম: ৭৭০]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৬) বল, ‘আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর স্রষ্টা, দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা হে আল্লাহ! তোমার দাসগণ যে বিষয়ে মতবিরোধ করে, তুমি সে বিষয়ে তাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবে।’ [1]
[1] হাদীসে এসেছে যে, নবী করীম (সাঃ) রাতের তাহাজ্জুদ নামাযের শুরুতে এই দু’আ পড়তেন, (اللَّهُمَّ رَبَّ جَبْرَائِيلَ وَمِيكَائِيلَ وَإِسْرَافِيلَ، فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ، عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ، أَنْتَ تَحْكُمُ بَيْنَ عِبَادِكَ فِيمَا كَانُوا فِيهِ يَخْتَلِفُونَ، اهْدِنِي لِمَا اخْتُلِفَ فِيهِ مِنْ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ، إِنَّكَ تَهْدِي مَنْ تَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ ) অর্থাৎ, হে আল্লাহ! হে জিবরীল, মীকাঈল ও ইসরাফীলের প্রভু! হে আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃজনকর্তা! হে দৃশ্য ও অদৃশ্যের পরিজ্ঞাতা! তুমি তোমার বান্দাদের মাঝে মীমাংসা কর যে বিষয়ে ওরা মতভেদ করে। যে বিষয়ে মতভেদ করা হয়েছে সে বিষয়ে তুমি আমাকে তোমার অনুগ্রহে সত্য পথ দেখাও। নিশ্চয় তুমি যাকে ইচ্ছা সরল পথ দেখিয়ে থাক। (মুসলিম, আবূ দাঊদ ৭৬৭, মিশকাত ১২১২নং)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান