লগইন করুন
৩০ সূরাঃ আর-রুম | Ar-Rum | سورة الروم - আয়াত নং - ৫২ - মাক্কী
নিশ্চয় তুমি মৃতকে শুনাতে পারবে না, না পারবে বধিরকে আহবান শুনাতে, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে ফিরে যায়। আল-বায়ান
তুমি তো মৃতকে শুনাতে পারবে না, বধিরকেও শুনাতে পারবে না আহবান, যখন তারা পেছন ফিরে চলে যায়। তাইসিরুল
তুমিতো মৃতকে শোনাতে পারবেনা, বধিরকেও পারবেনা আহবান শোনাতে, যখন তারা পৃষ্ঠ প্রদর্শন করে সরে পড়ে। মুজিবুর রহমান
So indeed, you will not make the dead hear, nor will you make the deaf hear the call when they turn their backs, retreating. Sahih International
৫২. সুতরাং আপনি তো মৃতকে(১) শুনতে পারবেন না, বধিরকেও পারবেন না ডাক শুনাতে, যখন তারা মুখ ফিরিয়ে চলে যায়।
(১) এখানে এমন সব লোককে মৃত বলা হয়েছে, যাদের বিবেক মরে গেছে, যাদের মধ্যে নৈতিক জীবনের ছিটেফোটাও নেই এবং যাদের আপন প্রবৃত্তির দাসত্ব, জিদ ও একগুয়েমি সেই মানবীয় গুণাবলীর অবসান ঘটিয়েছে যা মানুষকে হক কথা বুঝার ও গ্রহণ করার যোগ্য করে তোলে। কাতাদাহ বলেন, এ উদাহরণটি আল্লাহ তা'আলা কাফেরদের উদ্দেশ্য করে পেশ করেছেন। যেভাবে মৃতরা আহবান শুনতে পায় না, তেমনি কাফেররাও শুনতে পায় না। অনুরূপভাবে যেভাবে কোন বধির ব্যক্তি পিছনে ফিরে চলে গেলে তাকে পিছন থেকে ডাকলে শুনতে পায় না, তেমনি কাফের কিছুই শুনতে পায় না, আর শুনলেও সেটা দ্বারা উপকৃত হতে পারে না। [তাবারী]
হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের পর বদরের কুপের পাশে যেখানে কাফেরদের লাশ রাখা ছিল সেখানে দাঁড়িয়ে কাফেরদের সম্বোধন করে বললেন, তোমাদের মাবুদরা তোমাদেরকে যা দেবার ওয়াদা করেছে তা কি তোমরা পেয়েছ? তারপর তিনি বললেনঃ তারা এখন আমি যা বলছি তা শুনছে। তারপর এ হাদীসটি আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জানানো হলে তিনি বললেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তো এটাই বলেছেন যে, তারা এখন অবশ্যই জানছে যে, আমি তাদেরকে যা বলেছি তা-ই যথাযথ। তারপর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এ আয়াত তেলাওয়াত করলেন’৷ [বুখারী: ৩৯৮০, ৩৯৮১]
তাফসীরে জাকারিয়া(৫২) নিশ্চয় তুমি মৃতকে তোমার কথা শোনাতে পারবে না[1] এবং বধিরকেও তোমার আহবান শোনাতে পারবে না;[2] যখন ওরা মুখ ফিরিয়ে নেয়। [3]
[1] অর্থাৎ, যেমন মৃত ব্যক্তি কিছু বুঝতে অপারগ, অনুরূপ এরাও নবী (সাঃ)-এর দাওয়াত বুঝতে ও গ্রহণ করতে অপারগ।
[2] অর্থাৎ, তুমি যেমন কোন বধির বা কালা ব্যক্তিকে নিজের কথা শোনাতে পারবে না, তেমনি তোমার ওয়ায-নসীহত ওদের মধ্যে কোন প্রভাব ফেলবে না।
[3] এটা তাদের বৈমুখ্য ও সত্যচ্যুত হওয়ার আরো বিস্তারিত বর্ণনা যে, তারা মৃত ও বধির সদৃশ হওয়ার সাথে সাথে তারা পিঠ ফিরিয়ে পলায়নকারীও। সুতরাং সত্যের আহবান তাদের কর্ণকুহরে পৌঁছবে কিভাবে এবং কিভাবে তা তাদের মন-মস্তিষ্ক আশ্রয় গ্রহণ করবে?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান