লগইন করুন
২ সূরাঃ আল-বাকারা | Al-Baqara | سورة البقرة - আয়াত নং - ২৪১ মাদানী
আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের জন্য থাকবে বিধি মোতাবেক ভরণ-পোষণ। (এটি) মুত্তাকীদের উপর আবশ্যক। আল-বায়ান
তালাকপ্রাপ্তা নারীদের সঙ্গতভাবে ভরণ-পোষণ করা মুত্তাকীদের কর্তব্য। তাইসিরুল
আর তালাক প্রাপ্তদের জন্য বিহিতভাবে ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করা ধর্মভীরুগণের কর্তব্য। মুজিবুর রহমান
And for divorced women is a provision according to what is acceptable - a duty upon the righteous. Sahih International
২৪১. আর তালাকপ্রাপ্তা নারীদের প্রথামত ভরণ-পোষণ করা মুত্তাকীদের কর্তব্য।(১)
(১) তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীলোকের জন্য (مَتَاعٌ) “মাতা” বা সংস্থান করে দেয়ার কথা এর পূর্ববর্তী আয়াতেও এসেছে। তবে তা ছিল শুধু দু’রকম তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য। সহবাস কিংবা নির্জনবাসের পূর্বে যাদেরকে তালাক দেয়া হয়েছে। বাকী রইল সে সমস্ত তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী যাদের সাথে স্বামী নির্জনবাস কিংবা সহবাস করেছে। তাদের মধ্যে যাদের মাহর ধার্য করা হয়েছে, তাদের “মাতা” বা সংস্থান করে দেয়ার এক অর্থ, তার ধার্যকৃত পূর্ণ মাহর দিয়ে দেয়া। আর যার মাহর ধার্য করা হয়নি, তার কিছু কাপড় বা আর্থিক দান বোঝানো হয়, তবে একজনকে তা দেয়া ওয়াজিব, যা পূর্বে বর্ণিত হয়েছে অর্থাৎ প্রথমোক্ত মহিলা যার সাথে স্বামীর সহবাসও হয়নি আর তার মাহরও নির্ধারিত হয়নি। আর অন্যান্যদের বেলায় তা মুস্তাহাব। আর যদি ‘মাতা’ শব্দের দ্বারা খোর-পোষ বোঝানো হয়ে থাকে, তবে যে তালাকের পর ইদ্দত অতিক্রান্ত করতে হয়, তাতে ইদ্দত পর্যন্ত তা দেয়া ওয়াজিব। তালাকে রাজয়ীই হোক আর তালাকে বায়েনই হোক, ব্যাপক অর্থে সব ধরনের তালাকই এর অন্তর্ভুক্ত।
তাফসীরে জাকারিয়া(২৪১) আর তালাকপ্রাপ্তা নারীগণও যথাবিহিত খরচপত্র (ক্ষতিপূরণ) পাবে। সাবধানীদের জন্য এ (দান) অবশ্য কর্তব্য।[1]
[1] এটা এক সাধারণ নির্দেশ, যাতে সকল তালাকপ্রাপ্তা মহিলারাই শামিল। এতে বিচ্ছেদের সময় (মহিলার সাথে) সদ্ব্যবহার এবং তার মানসিক খুশির প্রতি যত্ন নেওয়ার উপর তাকীদ করা হয়েছে। আর এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সামাজিক উপকারিতা। কতই না ভাল হত, যদি মুসলিমরা অতীব গুরুত্বপূর্ণ এই নির্দেশের উপর আমল করত; যা তারা একেবারে ভুলে বসেছে। ইদানিং কোন কোন তথাকথিত ‘মুজতাহিদ’ (?) (مَتَاعٌ) এবং (مَتِّعُوهُنَّ) (খরচপত্র দাও) থেকে সাব্যস্ত করতে চেষ্টা করেছেন যে, তালাকপ্রাপ্তা মহিলাকে নিজের সম্পদ থেকে অংশ দিতে হবে অথবা চিরজীবন তার ভরণ-পোষণ করতে হবে। অথচ এই উভয় কথাই ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। যে মহিলাকে স্বামী অপছন্দ করে নিজের জীবন থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে, চিরজীবন তার ব্যয়ভার বহন করার জন্য সে কিভাবে প্রস্তুত থাকতে পারে?
তাফসীরে আহসানুল বায়ান