লগইন করুন
২০ সূরাঃ ত্ব-হা | Ta-Ha | سورة طه - আয়াত নং - ৮২ - মাক্কী
আর অবশ্যই আমি তার প্রতি ক্ষমাশীল, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে অতঃপর সৎ পথে চলতে থাকে। আল-বায়ান
আর যে তাওবাহ করে, ঈমান আনে ও সৎকাজ করে আর সৎপথে অটল থাকে, আমি তার জন্য অবশ্যই অতি ক্ষমাশীল। তাইসিরুল
এবং আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি যে তাওবাহ’ করে, ঈমান আনে, সৎ কাজ করে ও সৎ পথে অবিচল থাকে। মুজিবুর রহমান
But indeed, I am the Perpetual Forgiver of whoever repents and believes and does righteousness and then continues in guidance. Sahih International
৮২. আর আমি অবশ্যই ক্ষমাশীল তার প্রতি, যে তাওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে তারপর সৎপথে অবিচল থাকে।(১)
(১) অর্থাৎ মাগফিরাতের জন্য রয়েছে চারটি শর্ত। এক. তাওবা। অর্থাৎ বিদ্রোহ, নাফরমানী অথবা শির্ক ও কুফারী থেকে বিরত থাকা। দুই. ঈমান। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূল এবং কিতাব ও আখেরাতকে সাচ্চা দিলে মেনে নেয়া। তিন. সৎকাজ। অর্থাৎ আল্লাহ ও রাসূলের বিধান অনুযায়ী অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে ভালো কাজ করা। চার, সত্যপথাশ্রয়ী হওয়া। অর্থাৎ সত্য সঠিক পথে অবিচল থাকা এবং তারপর ভুল পথে না যাওয়া। ইবন আব্বাস বলেন, সন্দেহ না করা। সাঈদ ইবন জুবাইর বলেন, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা। কাতাদাহ বলেন, মৃত্যু পর্যন্ত ইসলামের উপর থাকা। সুফিয়ান আস-সাওরী বলেন, এর অর্থ সে জানল যে, এগুলোর সওয়াব আছে। [ইবন কাসীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(৮২) নিশ্চয় আমি তার জন্য বড় ক্ষমাশীল যে তওবা করে, বিশ্বাস স্থাপন করে, সৎকাজ করে ও সৎপথে অবিচল থাকে। [1]
[1] মহান আল্লাহর ক্ষমাযোগ্য হওয়ার জন্য চারটি জিনিস আবশ্যক; (ক) কুফর, শিরক ও পাপ হতে তওবা। (খ) ঈমান, (গ) সৎকর্ম ও (ঘ) সৎপথে অটল থাকা। অর্থাৎ উক্ত অবস্থায় অবিচল থাকা, যাতে ঈমানের অবস্থায় মৃত্যু আসে। অন্যথা স্পষ্ট যে, তওবা ও ঈমানের পর যদি কেউ কুফরী ও শিরকের রাস্তা অবলম্বন করে এবং সেই অবস্থায় তার মৃত্যু এসে যায়, তাহলে ক্ষমার পরিবর্তে শাস্তির যোগ্য হতে হবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান