২০ সূরাঃ ত্ব-হা | Ta-Ha | سورة طه - আয়াত নং - ৫১ - মাক্কী

২০ : ৫১ قَالَ فَمَا بَالُ الۡقُرُوۡنِ الۡاُوۡلٰی ﴿۵۱﴾

ফির‘আউন বলল, ‘তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী’? আল-বায়ান

ফেরাউন বলল, ‘তাহলে আগের যুগের লোকেদের অবস্থা কী?’ তাইসিরুল

ফির‘আউন বললঃ তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি? মুজিবুর রহমান

[Pharaoh] said, "Then what is the case of the former generations?" Sahih International

৫১. ফিরআউন বলল, তাহলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কী?(১)

(১) অর্থাৎ ব্যাপার যদি এটাই হয়ে থাকে যে, যিনি প্রত্যেকটি জিনিসকে আকৃতি দিয়েছেন এবং তাকে দুনিয়ায় কাজ করার পথ বাতলে দিয়েছেন তিনি ছাড়া আর দ্বিতীয় কোন রব নেই, তাহলে এ আমাদের সবার বাপ দাদারা, যারা বংশ পরস্পরায় ভিন্ন প্ৰভু ও ইলাহর বন্দেগী করে চলে এসেছে তোমাদের দৃষ্টিতে তাদের অবস্থান কোথায় হবে? তারা সবাই কি গোমরাহ ছিল? তারা সবাই কি আযাবের হকদার হয়ে গেছে? এ ছিল ফিরআউনের কাছে মূসার এ যুক্তির জবাব। হতে পারে সে আসলেই তার পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। [ইবন কাসীর]

অথবা ফিরআউন আগের প্রশ্নের উত্তরে হতবাক হয়ে প্রসঙ্গ পাল্টানোর জন্য এ প্রশ্ন করেছিল। [ফাতহুল কাদীর] অথবা সে নিজের সভাসদ ও সাধারণ মিসরবাসীদের মনে মূসার দাওয়াতের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও বিদ্বেষ সঞ্চার করাও এর উদ্দেশ্য হতে পারে। সে মূসা আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে লোকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে চাচ্ছিল। কারণ, মানুষ তাদের পিতামাতার ব্যাপারে যখন এটা শুনবে যে, তারা জাহান্নামে গেছে, তখন তারা মূসা আলাইহিস সালামের বিরুদ্ধে জোট করতে দ্বিধা করবে না।

তাফসীরে জাকারিয়া

(৫১) ফিরআউন বলল, ‘তা হলে অতীত যুগের লোকদের অবস্থা কি?’ [1]

[1] ফিরআউন কথার মোড় অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই প্রশ্নটি করেছিল। অর্থাৎ অতীত কালের লোকেরা যারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের ইবাদত করেই পৃথিবী হতে বিদায় নিয়েছে, তাদের অবস্থা কি হবে?

তাফসীরে আহসানুল বায়ান