২০ সূরাঃ ত্ব-হা | Ta-Ha | سورة طه - আয়াত নং - ৪৯ - মাক্কী

২০ : ৪৯ قَالَ فَمَنۡ رَّبُّكُمَا یٰمُوۡسٰی ﴿۴۹﴾

ফির‘আউন বলল, ‘হে মূসা, তাহলে কে তোমাদের রব’? আল-বায়ান

ফেরাউন বলল, ‘হে মূসা! কে তোমাদের প্রতিপালক?’ তাইসিরুল

ফির‘আউন বললঃ হে মূসা! কে তোমাদের রাব্ব? মুজিবুর রহমান

[Pharaoh] said, "So who is the Lord of you two, O Moses?" Sahih International

৪৯. ফিরআউন বলল, হে মূসা! তাহলে কে তোমাদের রব?(১)

(১) ফিরআউনের এ প্রশ্নের উদ্দেশ্য ছিল, তোমরা দু'জন আবার কাকে রব বানিয়ে নিয়েছে, মিসর ও মিসরবাসীদের রব তো আমিই। অন্যত্র এসেছে, সে বলেছিল, “আমি তোমাদের প্রধান রব।” [সূরা আন-নাযিআত: ২৪] অন্যত্র বলেছে, “হে আমার জাতি! মিসরের রাজত্বের মালিক কি আমি নই? আর এ নদীগুলো কি আমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে না?” [সূরা আয-যুখরুফ: ৫১] আরও বলেছিল, “হে জাতির সরদারগণ! আমি ছাড়া তোমাদের আর কোন ইলাহ আছে বলে আমি জানি না। হে হামান! কিছু ইট পোড়াও এবং আমার জন্য একটি উচু ইমারত নির্মাণ করো। আমি উপরে উঠে মূসার ইলাহকে দেখতে চাই।” [সূরা আল-কাসাস: ৩৮] অন্য সূরায় সে মূসাকে ধমক দিয়ে বলেঃ “যদি আমাকে ছাড়া আর কাউকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করলে আমি তোমাকে কয়েদিদের অন্তর্ভুক্ত করবো।” [সূরা আশ-শু'আরা: ২৯] এভাবে সে প্রকাশ্যে একজন ইলাহের অস্বীকার করছিল যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন, সবকিছুর মালিক। [ইবন কাসীর]

আসলে সে একথা মেনে নিতে প্ৰস্তুত ছিল না যে, অন্য কোন সত্তা তার উপর কর্তৃত্ব করবে, তার প্রতিনিধি এসে তাকে হুকুম দেবে এবং তার কাছে এ হুকুমের আনুগত্য করার দাবী জানাবে। মূলতঃ ফিরআউন সৰ্বেশ্বরবাদী লোক ছিল। সে মনে করত যে, তার মধ্যে ইলাহ ভর করেছে। আত্মগৰ্ব, অহংকার ও ঔদ্ধত্যের কারণে প্রকাশ্যে আল্লাহর অস্তিত্ব অস্বীকার করতো এবং নিজে ইলাহ ও উপাস্য হবার দাবীদার ছিল। [এর জন্য বিস্তারিত দেখুন, ইবন তাইমিয়্যা, ইকতিদায়ুস সিরাতিল মুস্তাকীম: ২/৩৯১; মাজমু ফাতাওয়া: ২/১২৪; ২/২২০; ৬/৩১৪; ৮/৩০৮] 

তাফসীরে জাকারিয়া

(৪৯) ফিরআউন বলল, ‘হে মূসা! কে তোমাদের প্রতিপালক?’

-

তাফসীরে আহসানুল বায়ান