১১ সূরাঃ হূদ | Hud | سورة هود - আয়াত নং - ৭৩ - মাক্কী

১১ : ৭৩ قَالُوۡۤا اَتَعۡجَبِیۡنَ مِنۡ اَمۡرِ اللّٰهِ رَحۡمَتُ اللّٰهِ وَ بَرَكٰتُهٗ عَلَیۡكُمۡ اَهۡلَ الۡبَیۡتِ ؕ اِنَّهٗ حَمِیۡدٌ مَّجِیۡدٌ ﴿۷۳﴾

তারা বলল, ‘আল্লাহর সিদ্ধান্তে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ? হে নবী পরিবার, তোমাদের উপর আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত। নিশ্চয় তিনি প্রশংসিত সম্মানিত’। আল-বায়ান

তারা বলল, ‘আল্লাহর কাজে তুমি আশ্চর্য হচ্ছ, ওহে (ইবরাহীমের) পরিবারবর্গ! তোমাদের উপর রয়েছে আল্লাহর দয়া ও বরকতসমূহ, তিনি বড়ই প্রশংসিত, বড়ই মহান।’ তাইসিরুল

তারা (মালাক) বললঃ আপনি কি আল্লাহর কাজে বিস্ময় বোধ করছেন? (হে) এই পরিবারের লোকেরা! আপনাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর রাহমাত ও বারাকাত; নিশ্চয়ই তিনি সমস্ত প্রশংসার যোগ্য, মহিমান্বিত। মুজিবুর রহমান

They said, "Are you amazed at the decree of Allah? May the mercy of Allah and His blessings be upon you, people of the house. Indeed, He is Praiseworthy and Honorable." Sahih International

৭৩. তারা বলল, আল্লাহর কাজে আপনি বিস্ময় বোধ করছেন? হে নবী পরিবার! আপনাদের প্রতি রয়েছে আল্লাহর অনুগ্রহ ও কল্যাণ।(১) তিনি তো প্রশংসার যোগ্য ও অত্যন্ত সম্মানিত।(২)

(১) এর মানে হচ্ছে, যদিও প্রকৃতিগত নিয়ম অনুযায়ী এ বয়সে মানুষের সন্তান হয় না তবুও আল্লাহর কুদরতে এমনটি হওয়া কোন অসম্ভব ব্যাপারও নয়। আর এ সুসংবাদ যখন তোমাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে তখন তোমার মতো একজন মুমিনা মহিলার পক্ষে এ ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করার কোন কারণ নেই। [তাবারী; কুরতুবী] মুজাহিদ বলেন, তখন সারার বয়স ছিল ৯৯ বছর। আর ইবরাহীমের বয়স ছিল ১০০ বছর, সে হিসেবে ইবরাহীমের বয়স তার স্ত্রী অপেক্ষা ১ বছর বেশি। [বাগভী; কুরতুবী] ইবন ইসহাক বলেন, তার বয়স ১২০ বছর এবং তার স্ত্রীর ৯০ বছর। এতে আরও মতামত রয়েছে। [বাগভী; কুরতুবী]

(২) বরকত শব্দের অর্থ, বৃদ্ধি ও প্রাচুর্যতা। এখানে যে বরকতের কথা বলা হয়েছে তা হচ্ছে পরবর্তী সমস্ত নবী-রাসূল ইবরাহীমের বংশধরদের থেকেই হয়েছে। [কুরতুবী] এ আয়াতে বর্ণিত রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু থেকে ইবন আব্বাস মত নিয়েছেন যে, সালামের সর্বশেষ শব্দ হবে, বারাকাতুহু। [মুয়াত্তা মালিক: ২/৯৫৯; কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(৭৩) তারা বলল, ‘তুমি কি আল্লাহর কাজে বিস্ময়বোধ করছ?[1] (হে নবীর) পরিবার! তোমাদের প্রতি তো আল্লাহর (বিশেষ) করুণা ও তাঁর বরকতসমূহ রয়েছে।[2] নিশ্চয় তিনি প্রশংসার যোগ্য মহিমান্বিত।’

[1] এটা অস্বীকৃতিসূচক প্রশ্ন। অর্থাৎ তুমি আল্লাহ তাআলার ফায়সালা ও ভাগ্যের উপর বিস্ময়বোধ করছ? অথচ তাঁর জন্য কোন বস্তুই দুষ্কর নয়। আর না তিনি প্রয়োজনীয় উপকরণের মুখাপেক্ষী, তিনি যা চান, তা كن (হও) শব্দ দ্বারা তৈরী করতে পারেন।

[2] ইবরাহীম (আঃ)-এর স্ত্রীকে এখানে ফিরিশতাগণ ‘আহলে বায়ত’ বলে সম্বোধন করেছেন এবং তার জন্য বহুবচন (আপনাদের) শব্দ ব্যবহার করেছেন। যাতে প্রথমতঃ এই কথা প্রমাণ হয় যে, স্ত্রী সর্বপ্রথম আহলে বায়তের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয়তঃ এ প্রমাণ হয় যে, ‘আহলে বায়তের’ জন্য বহুবচন পুংলিঙ্গ শব্দ ব্যবহার করাও ঠিক। যেমন সূরা আহযাবের ৩৩নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা নবী (সাঃ)-এর পবিত্রা স্ত্রীগণকেও ‘আহলে বায়ত’ বলেছেন এবং তাঁদেরকেও বহুবচন পুংলিঙ্গ শব্দ দ্বারা সম্বোধন করেছেন।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান