লগইন করুন
১১ সূরাঃ হূদ | Hud | سورة هود - আয়াত নং - ৪৮ - মাক্কী
বলা হল, ‘হে নূহ, তোমার ও তোমার সাথে যে উম্মত রয়েছে তাদের উপর আমার পক্ষ থেকে শান্তি ও বরকতসহ অবতরণ কর। আর আরো অনেক উম্মতকে আমি জীবন উপভোগ করতে দেব, তারপর আমার পক্ষ থেকে তাদেরকে স্পর্শ করবে যন্ত্রণাদায়ক আযাব’। আল-বায়ান
বলা হল, ‘হে নূহ! তুমি নেমে পড়, আমার পক্ষ হতে শান্তি ও বরকত তোমার প্রতি আর তোমার সঙ্গীদের মধ্যে অনেক দলের প্রতি, আর এ ছাড়া অন্য লোকেদের আমি জীবন উপভোগ করতে দেব, (কিন্তু) পরে আমার নিকট হতে মর্মান্তিক ‘আযাব তাদেরকে স্পর্শ করবে।’ তাইসিরুল
বলা হলঃ হে নূহ! অবতরণ কর, আমার পক্ষ হতে সালাম ও বারাকাতসমূহ নিয়ে, যা তোমার উপর নাযিল করা হবে এবং সেই দলসমূহের উপর যারা তোমার সাথে রয়েছে; আর অনেক দল এরূপও হবে যাদেরকে আমি কিছুকাল (দুনিয়ার) সুখ স্বাচ্ছন্দ্য দান করব, অতঃপর তাদের উপর পতিত হবে আমার পক্ষ হতে কঠিন শাস্তি। মুজিবুর রহমান
It was said, "O Noah, disembark in security from Us and blessings upon you and upon nations [descending] from those with you. But other nations [of them] We will grant enjoyment; then there will touch them from Us a painful punishment." Sahih International
৪৮. বলা হল, হে নূহ! অবতরণ করুন আমাদের পক্ষ থেকে শান্তি ও কল্যাণসহ এবং আপনার প্রতি ও যে সব সম্প্রদায় আপনার সাথে রয়েছে তাদের প্রতি; আর কিছু সম্প্রদায় রয়েছে আমরা তাদেরকে জীবন উপভোগ করতে দেব, পরে আমাদের পক্ষ থেকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে স্পর্শ করবে;(১)
(১) এখানে আদ জাতি এবং তাদের কাছে হুদ আলাইহিস সালামের ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। তারা কিছু দিন দুনিয়ার নে'আমত ভোগ করার পর আবার অবাধ্যতার কারণে কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হয়েছিল। অনুরূপভাবে পরবর্তী প্রত্যেক নবী ও তাদের জাতি যেমন সালেহ ও সামূদ জাতিও এ আয়াতে উল্লেখিত সম্প্রদায় বলে বুঝানো হয়েছে। মোটকথা, নূহ আলাইহিস সালামের সন্তানগণ যেহেতু পরবর্তী যাবতীয় সম্প্রদায়ের পূর্বপুরুষ তাই পরবর্তী সময়ে যারাই শির্ক ও অন্যায় করেছে এবং তাদের কাছে প্রেরিত নবীদের বিরোধিতা করে আল্লাহর শাস্তির হকদার হয়েছে, তাদের সবাইকে এ আয়াতে উদ্দেশ্য করা হয়েছে। [তাবারী]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৮) বলা হল, ‘হে নূহ! অবতরণ কর[1] আমার পক্ষ হতে শান্তিসহ এবং তোমার ও তোমার সাথে যে জাতিসকল[2] রয়েছে তাদের প্রতি কল্যাণসমূহ নিয়ে। আর অনেক জাতি এরূপও হবে যাদেরকে আমি কিছুকাল (দুনিয়ার) সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য দান করব। তারপর তাদেরকে স্পর্শ করবে আমার পক্ষ হতে কঠিন শাস্তি।[3]
[1] এই অবতরণ কিশতী থেকে ছিল অথবা সেই পর্বত থেকে ছিল, যেখানে কিশতী গিয়ে থেমেছিল।
[2] এর উদ্দেশ্য হয় সেই জাতি হবে, যারা নূহ (আঃ)-এর কিশতীতে সওয়ার ছিল, নতুবা ভবিষ্যতে আগমনকারী সেই জাতি উদ্দেশ্য, যারা পরবর্তীতে তাঁদের বংশ থেকে জন্ম নেবে। পরবর্তী বাক্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই দ্বিতীয় অর্থই অধিক সঠিক।
[3] এরা সেই (অবিশ্বাসী) জাতি, যারা কিশ্তীতে পরিত্রাণপ্রাপ্তদের বংশ থেকে কিয়ামত পর্যন্ত আসতে থাকবে। উদ্দেশ্য হল যে, সেই কাফেরদেরকে পার্থিব জীবন যাত্রার জন্য আমি ভোগ-সম্ভার অবশ্যই দেব। কিন্তু শেষে তারা কঠিন শাস্তি ভোগ করবে।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান