লগইন করুন
৭ সূরাঃ আল-আ'রাফ | Al-A'raf | سورة الأعراف - আয়াত নং - ১২৩ - মাক্কী
ফির‘আউন বলল, ‘আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগে তোমরা তার প্রতি ঈমান আনলে! নিশ্চয় এটা এমন এক চক্রান্ত যা তোমরা শহরে করেছ সেখান থেকে তার অধিবাসীদেরকে বের করার জন্য। সুতরাং তোমরা অচিরেই জানতে পারবে।’ আল-বায়ান
ফির‘আওন বলল, ‘আমি হুকুম দেয়ার আগেই তোমরা তার প্রতি ঈমান আনল? অবশ্যই এটা তোমাদের ষড়যন্ত্র যেটা নগরে বসে তোমরা পাকিয়েছ, এর বাসিন্দাদের বহিস্কৃত করার উদ্দেশে। এর পরিণাম শীঘ্রই টের পাবে। তাইসিরুল
ফির‘আউন বললঃ আমি অনুমতি দেয়ার আগেই তোমরা তার উপর ঈমান আনলে? নিশ্চয়ই তোমরা এক চক্রান্ত পাকিয়েছ শহরবাসীদের সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়ার জন্য। কিন্তু সত্ত্বরই তোমরা এর পরিণাম জ্ঞাত হবে। মুজিবুর রহমান
Said Pharaoh, "You believed in him before I gave you permission. Indeed, this is a conspiracy which you conspired in the city to expel therefrom its people. But you are going to know. Sahih International
১২৩. ফিরআউন বলল, কি! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেয়ার আগে তোমরা তাতে ঈমান আনলে? এটা তো এক চক্রান্ত; তোমরা এ চক্রান্ত করেছ নগরবাসীদেরকে এখান থেকে বের করে দেয়ার জন্য(১)। সুতরাং তোমরা শীঘ্রই এর পরিণাম জানতে পারবে।
(১) অর্থাৎ এটা একটা ষড়যন্ত্র যা তোমরা প্রতিদ্বন্দিতার মাঠে আসার পূর্বেই শহরের ভেতরে নিজেদের মধ্যে স্থির করে রেখেছিল। তারপর জাদুকরদেরকে লক্ষ্য করে বললঃ তোমরা কি আমার অনুমতির পূর্বেই ঈমান গ্রহণ করে ফেললে। অস্বীকৃতিবাচক এই কৈফিয়তটি ছিল হুমকি ও তাম্বীহম্বরূপ। স্বীয় অনুমতির পূর্বে ঈমান আনার কথা বলে লোকেদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করল যে, আমারো কাম্য ছিল যে, মূসা আলাইহিস সালামের সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারটি যদি প্রতীয়মান হয়ে যায় তাহলে আমিও তাকে মেনে নেব এবং লোকদেরও মুসলিম হওয়ার জন্য অনুমতি দান করব। কিন্তু তোমরা তাড়াহুড়া করলে এবং প্রকৃত তাৎপর্য না বুঝে-শুনেই একটা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে গেলে।
এই চাতুর্যের মাধ্যমে একদিকে লোকের সামনে মূসা আলাইহিস সালামের মু'জিযা আর জাদুকরদের স্বীকৃতিকে একটা ষড়যন্ত্র সাব্যস্ত করে তাদেরকে বিভ্রান্তিতে ফেলে রাখার ব্যবস্থা করল। অপরদিকে রাজনৈতিক চালাকীটি করল এই যে, মূসা আলাইহিস সালামের কার্যকলাপ এবং জাদুকরদের ইসলাম গ্রহণ একান্তই একটা রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ে পরিণত করার উদ্দেশ্যে বলল, “তোমরা এই ষড়যন্ত্র এ জন্য করেছ যে তোমরা মিসর দেশের উপর জয়লাভ করে এ দেশের অধিবাসীদেরকে এখান থেকে বহিস্কার করতে চাও”। অথচ মূসা আলাইহিস্ সালামের কার্যকলাপ এবং জাদুকরদের ইসলাম গ্রহণ ফিরআউনের পথভ্রষ্টতাকে পরিস্কার করে তুলে ধরার জন্য অনুষ্ঠিত হয়েছিল, জাতি ও জনসাধারনের সাথে যার কোন সম্পর্কই ছিল না।
তাফসীরে জাকারিয়া(১২৩) ফিরআউন বলল, ‘কী! আমি তোমাদেরকে অনুমতি দেবার আগেই তোমরা ওতে বিশ্বাস করলে? নিশ্চয় এটি একটি চক্রান্ত; যা তোমরা এ নগরে চালিয়েছ, যাতে নগরবাসীদেরকে সেখান হতে বহিষ্কার করতে পার। অতএব শীঘ্রই তোমরা এর (পরিণাম) জানতে পারবে। [1]
[1] এসব যা কিছুই ঘটল, তা ফিরআউনের জন্য বড় আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর ছিল। সেই জন্য সে কিছু না বুঝে বলে ফেলল, ‘তোমরা সকলেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমার রাজত্ব শেষ করতে চাও। আচ্ছা! তোমরা অচিরেই এর পরিণাম জানতে পারবে।’
তাফসীরে আহসানুল বায়ান