কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৭২ সূরাঃ আল-জ্বিন | Al-Jinn | سورة الجن - আয়াত নং - ২৮ - মাক্কী

৭২ : ২৮ لِّیَعۡلَمَ اَنۡ قَدۡ اَبۡلَغُوۡا رِسٰلٰتِ رَبِّهِمۡ وَ اَحَاطَ بِمَا لَدَیۡهِمۡ وَ اَحۡصٰی كُلَّ شَیۡءٍ عَدَدًا ﴿۲۸﴾

যাতে তিনি এটা জানতে পারেন যে, তারা* তাদের রবের রিসালাত পৌঁছিয়েছে কিনা। আর তাদের কাছে যা রয়েছে, তা তিনি পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি প্রতিটি বস্তু গুণে গুণে হিসাব করে রেখেছেন। আল-বায়ান

এটা জানার জন্য যে, রসূলগণ তাদের প্রতিপালকের বাণী সত্যিই পৌঁছে দিয়েছে কিনা। রসূলদের কাছে যা আছে তা তিনি (স্বীয় জ্ঞান দ্বারা) পরিবেষ্টন করে রেখেছেন আর প্রত্যেকটি জিনিসকে গুণে গুণে রেখেছেন। তাইসিরুল

রাসূলগণ তাদের রবের বাণী পৌঁছে দিয়েছেন কি না জানার জন্য। রাসূলগণের নিকট যা আছে তা তাঁর জ্ঞান গোচর এবং তিনি সমস্ত কিছুর বিস্তারিত হিসাব রাখেন। মুজিবুর রহমান

That he may know that they have conveyed the messages of their Lord; and He has encompassed whatever is with them and has enumerated all things in number. Sahih International

*রাসূলগণ।

২৮. যাতে তিনি প্রকাশ করেন যে, অবশ্যই তারা তাদের রবের রিসালাত পৌছে দিয়েছেন।(১) আর তাদের কাছে যা আছে তা তিনি জ্ঞানে পরিবেষ্টন করে রেখেছেন এবং তিনি প্রতিটি বস্তু গণনা করে হিসেব রেখেছেন।(২)

(১) এর কয়েকটি অর্থ হতে পারে। এক. রাসূল নিশ্চিতভাবে জানবেন যে, ফেরেশতারা তাঁর কাছে আল্লাহ তা'আলার বাণীসমূহ ঠিক ঠিক পৌঁছিয়ে দিয়েছে। দুই. আল্লাহ তা'আলা জানবেন যে, রাসূলগণ তাঁদের রবের বাণীসমূহ তাঁর বান্দাদের কাছে ঠিকমত পৌছিয়ে দিয়েছেন। [ইবন কাসীর] আয়াতটির শব্দমালা সবগুলো অর্থেরই ধারক।

(২) অর্থাৎ প্রত্যেক বস্তুর পরিসংখ্যান আল্লাহ্ তা'আলারই গোচরীভুত। তিনি প্রত্যেকটি বস্তু বিস্তারিতভাবে জানেন, আর সব কিছুই তিনি হিসেব করে রেখেছেন, কোন কিছুই তার অজানা নয়। [মুয়াস্‌সার, কুরতুবী]

তাফসীরে জাকারিয়া

(২৮) যাতে তিনি জেনে নেন, তারা তাদের প্রতিপালকের বাণী পৌঁছিয়ে দিয়েছে;[1] আর তাদের নিকট[2] যা আছে, তা তাঁর জ্ঞানায়ত্ত এবং তিনি প্রত্যেক জিনিসের সংখ্যা গুনে রেখেছেন। [3]

[1] لِيَعْلَمَ (যাতে তিনি বা সে---) এর সর্বনাম কার জন্য? কারো নিকট তা রসূল (সাঃ)-এর জন্য। অর্থাৎ, যাতে সে জেনে যায় যে, তার পূর্বের নবীরাও আল্লাহর পয়গাম ঐভাবেই পৌঁছিয়েছে, যেভাবে সে পৌঁছিয়েছে। অথবা দায়িত্বশীল ফিরিশতারা তাদের প্রতিপালকের পয়গাম পয়গম্বরের কাছে পৌঁছে দিয়েছে। আবার কারো নিকট সর্বনাম মহান আল্লাহর জন্য ব্যবহার হয়েছে। আর তখন এর অর্থ হবে, মহান আল্লাহ ফিরিশতাদের মাধ্যমে তাঁর নবীদের হিফাযত করেন, যাতে তারা নবুঅতের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে সক্ষম হয়। অনুরূপ নবীদের প্রতি কৃত অহীর হিফাযতও তিনি করেন, যাতে তিনি জেনে যান যে, তাঁর নবীরা তাদের প্রতিপালকের পয়গামগুলো ঠিকমত মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে অথবা ফিরিশতারা পয়গম্বরদের কাছে আল্লাহর অহী পৌঁছে দিয়েছে। মহান আল্লাহ যদিও প্রতিটি বিষয়ে পূর্ব থেকেই জ্ঞাত থাকেন, তবুও এই ধরনের স্থানগুলোতে তাঁর জানার অর্থ হল, বিষয় সংঘটিত হওয়ার বাস্তবরূপ দর্শন। যেমন, {لِنَعْلَمَ مَنْ يَتَّبِعُ الرَّسُولَ} (যাতে জানতে পারি যে, কে রসূলের অনুসরণ করে---।) (বাক্বারাহঃ ১৪৩) {وَلَيَعْلَمَنَّ اللهُ الَّذِينَ آمَنُوا وَلَيَعْلَمَنَّ المُنَافِقِينَ} (আল্লাহ অবশ্যই জেনে নেবেন কারা বিশ্বাসী এবং কারা মুনাফিক।) (আনকাবূতঃ ১১) ইত্যাদি আয়াতগুলোতে এসেছে। (ইবনে কাসীর)

[2] ফিরিশতাদের নিকট অথবা পয়গম্বরদের নিকট।

[3] কেননা, তিনিই হলেন অদৃশ্য বিষয়ে জ্ঞাতা। যা হয়ে গেছে এবং যা ভবিষ্যতে হবে, সব কিছুকে তিনি গণনা করে রেখেছেন। অর্থাৎ, সব কিছুই তাঁর জ্ঞানায়ত্ত রয়েছে।

তাফসীরে আহসানুল বায়ান