৬৬ সূরাঃ আত-তাহরীম | At-Tahrim | سورة التحريم - আয়াত নং - ১২ মাদানী
(আল্লাহ আরো উদাহরণ পেশ করেন) ইমরান কন্যা মারয়াম-এর, যে নিজের সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তাতে আমার রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছিলাম। আর সে তার রবের বাণীসমূহ ও তাঁর কিতাবসমূহের সত্যতা স্বীকার করেছিল এবং সে ছিল অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। আল-বায়ান
আর (দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ‘ইমরান-কন্যা মারইয়ামের যে তার লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে আমার রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী ও তাঁর কিতাবসমূহে (তাওরাত, যবূর ও ইঞ্জীলে) বিশ্বাস স্থাপন করেছিল। সে ছিল অনুগত ও বিনতদের অন্তর্ভুক্ত। তাইসিরুল
আরও দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন ইমরান তনয়া মারইয়ামের, যে তার সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে রূহ ফুঁকে দিয়েছিলাম এবং সে তার রবের বাণী ও তাঁর কিতাবসমূহ সত্য বলে গ্রহণ করেছিল; সে ছিল অনুগতদের একজন। মুজিবুর রহমান
And [the example of] Mary, the daughter of 'Imran, who guarded her chastity, so We blew into [her garment] through Our angel, and she believed in the words of her Lord and His scriptures and was of the devoutly obedient. Sahih International
১২. আরও দৃষ্টান্ত পেশ করেন ইমরান-কন্যা মারইয়ামের—যে তার লজ্জাস্থানের পবিত্ৰতা রক্ষা করেছিল, ফলে আমরা তার মধ্যে ফুঁকে দিয়েছিলাম আমাদের রূহ হতে। আর সে তার রবের বাণী ও তার কিতাবসমূহ সত্য বলে গ্রহন করেছিল এবং সে ছিল অনুগতদের অন্যতম।(১)
(১) এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ “পুরুষদের মধ্যে অনেকেই কামেল বা পরিপূর্ণ হয়েছেন, কিন্তু নারীদের মধ্যে কেবল ফিরআউন-পত্নী আসিয়া ও ইমরান তনয়া মারইয়াম পরিপূর্নতা লাভ করেছেন।” [বুখারী: ৩৪১১, মুসলিম: ২৪৩১]
তাফসীরে জাকারিয়া(১২) আর (তিনি আরো দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন) ইমরান তনয়া মারয়্যাম,[1] যে তার সতীত্ব রক্ষা করেছিল, ফলে আমি তার মধ্যে আমার রূহ হতে ফুঁকে দিয়েছিলাম। সে তার প্রতিপালকের বাণী[2] ও তাঁর কিতাবসমূহ সত্য বলে বিশ্বাস করেছিল; আর সে ছিল অনুগতদের একজন। [3]
[1] মারয়্যাম (আলাইহাস্ সালাম)-কে উল্লেখ করার উদ্দেশ্য হল, এ কথা বর্ণনা করা যে, তিনি ভ্রষ্ট এক জাতির মধ্যে থাকতেন, তা সত্ত্বেও আল্লাহ তাঁকে দুনিয়া ও আখেরাতে মর্যাদা ও সম্মান দানে ধন্য করেন এবং বিশ্বের সমস্ত নারীদের উপর তাঁকে বিশেষ মর্যাদা দান করেন।
[2] ‘প্রতিপালকের বাণী’ বলতে আল্লাহ প্রদত্ত বিধি-বিধানকে বুঝানো হয়েছে।
[3] অর্থাৎ, তিনি এমন লোকদের অথবা এমন গোত্রের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন, যারা আনুগত্যে, ইবাদতে এবং নেকীর কাজে শ্রেষ্ঠত্বের দাবী রাখত। হাদীসে বর্ণিত যে, ‘‘জান্নাতী মহিলাদের মধ্যে সব থেকে উত্তম হলেন খাদীজা, ফাতেমা, মারয়্যাম এবং ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া।’’ (রায্বিয়াল্লাহু আনহুন্না।) (আহমাদ ১/২৯৩, মাজমাউয্ যাওয়ায়েদ ৯/২২৩, আস্স্বাহীহাহ ১৫০৮নং) অপর এক হাদীসে এসেছে, ‘‘পুরুষদের মধ্যে পূর্ণতা তো অনেকেই অর্জন করেছে। কিন্তু মহিলাদের মধ্যে পূর্ণতার অধিকারিণী হয়েছে কেবল, ফিরআউনের স্ত্রী আসিয়া, মারয়্যাম বিনতে ইমরান এবং খাদীজা বিনতে খুয়াইলিদ।’’ (রায্বিয়াল্লাহু আনহুন্না।) আর সমস্ত মহিলাদের মধ্যে আয়েশা (রায্বিয়াল্লাহু আনহুর)র মর্যাদা ঐরূপ, যেমন সমস্ত খাদ্যের মধ্যে ‘সারীদ’ (গোশত মিশ্রিত রুটির পলান্ন) সর্বাধিক বৈশিষ্ট্যের দাবী রাখে।’’ (বুখারীঃ সৃষ্টির সূচনা অধ্যায়, মুসলিমঃ ফাযায়েল অধ্যায়, খাদিজা (রাঃ)র ফযীলত পরিচ্ছেদ)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান