৫৫ সূরাঃ আর-রাহমান | Ar-Rahman | سورة الرحمن - আয়াত নং - ১৩ মাদানী
সুতরাং তোমাদের রবের কোন্ নিআমতকে তোমরা উভয়ে* অস্বীকার করবে ? আল-বায়ান
অতএব (হে জ্বিন ও মানুষ!) তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ নিয়ামতকে অস্বীকার করবে? তাইসিরুল
সুতরাং তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? মুজিবুর রহমান
So which of the favors of your Lord would you deny? Sahih International
*‘উভয়ে’ দ্বারা জিন ও মানুষকে বুঝানো হয়েছে।
১৩. অতএব তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহে(১) মিথ্যারোপ করবে?(২)
(১) মূল আয়াতে آلَاءِ শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে এবং পরবর্তী আয়াতসমূহে এ শব্দটি বার বার উল্লেখ করা হয়েছে। ভাষাভিজ্ঞ পণ্ডিত ও তাফসীর বিশারদগণ শব্দের অর্থ করেছেন। ‘নিয়ামতসমূহ’ বা ‘অনুগ্রহসমগ্র’। [কুরতুবী] তবে মুফাসসির ইবন যায়েদ বলেন, শব্দটির অন্য অর্থ হচ্ছে, শক্তি ও ক্ষমতা। [ফাতহুল কাদীর] আল্লামা আবদুল হামীদ ফারাহী এ অর্থটিকে অধিক প্রাধান্য দিতেন।
(২) আয়াতে জিন্ন ও মানবকে সম্বোধন করা হয়েছে। [ফাতহুল কাদীর]
তাফসীরে জাকারিয়া(১৩) অতএব (হে মানুষ ও জ্বিন সম্প্রদায়!) তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন্ কোন্ অনুগ্রহকে মিথ্যাজ্ঞান করবে?[1]
[1] এ সম্বোধন মানুষ ও জ্বিন উভয়কেই করা হয়েছে। মহান আল্লাহ তাঁর নিয়ামতসমূহ গনিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করছেন। আর এর বারবার পুনরাবৃত্তির ব্যাপারটা এমন ব্যক্তির মত, যে কারো প্রতি অব্যাহতভাবে অনুগ্রহ করে; কিন্তু সে তা অস্বীকার করে। যেমন বলে, আমি তোমার অমুক কাজটা করে দিয়েছি, তুমি কি তা অস্বীকার করছ? অমুক জিনিসটা তোমাকে দিয়েছি, তোমার কি স্মরণে নেই? অমুক অনুগ্রহটা তোমার প্রতি আমি করেছি, তোমার কি আমার ব্যাপারে একটুও খেয়াল নেই? (ফাতহুল ক্বাদীর)
তাফসীরে আহসানুল বায়ান