কুরআনের আয়াতের অনুবাদ/তাফসীর 'টি ইমেইলে পাঠাতে নিচের ফর্মটি পূরণ করুন
security code

৩৮ সূরাঃ সোয়াদ | Ṣād | سورة ص - আয়াত নং - ১৭ - মাক্কী

৩৮ : ১৭ اِصۡبِرۡ عَلٰی مَا یَقُوۡلُوۡنَ وَ اذۡكُرۡ عَبۡدَنَا دَاوٗدَ ذَا الۡاَیۡدِ ۚ اِنَّهٗۤ اَوَّابٌ ﴿۱۷﴾

তারা যা বলে সে ব্যাপারে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদকে স্মরণ কর; সে ছিল অধিক আল্লাহ অভিমুখী। আল-বায়ান

এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর, আর আমার বান্দাহ দাঊদের কথা স্মরণ কর, সে ছিল শক্তি-সামর্থ্যের অধিকারী আর বড়ই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী। তাইসিরুল

তারা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্য ধারণ কর। আর স্মরণ কর, আমার শক্তিশালী বান্দা দাঊদের কথা; সে ছিল অতিশয় আল্লাহর অভিমুখী। মুজিবুর রহমান

Be patient over what they say and remember Our servant, David, the possessor of strength; indeed, he was one who repeatedly turned back [to Allah]. Sahih International

১৭. তারা যা বলে তাতে আপনি ধৈর্য ধারণ করুন এবং স্মরণ করুন আমাদের শক্তিশালী বান্দা দাউদের কথা; তিনি ছিলেন খুব বেশী আল্লাহ অভিমুখী।(১)

(১) এক হাদীসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সর্বাধিক পছন্দনীয় সালাত ছিল দাউদ আলাইহিস সালাম এর সালাত এবং সর্বাধিক পছন্দনীয় সাওম ছিল দাউদ আলাইহিস সালাম-এর সাওম। তিনি অর্ধারাত্রি নিদ্রা যেতেন, এক তৃতীয়াংশ ইবাদত করতেন এবং পুনরায় রাত্রির ষষ্ঠাংশে নিদ্রা যেতেন এবং তিনি একদিন পর পর রোযা রাখতেন। [বুখারী: ১১৩১, মুসলিম: ১১৫৯] অন্য বর্ণনায় এসেছে, শক্রর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি কখনও পশ্চাদপসরণ করতেন না। [বুখারী: ১৯৭৭, মুসলিম: ১১৫৯] অন্য বর্ণনায় এসেছে, “তিনি কখনো ওয়াদা খেলাফ করতেন না, শক্রর মোকাবেলায় অবতীর্ণ হয়ে তিনি কখনও পশ্চাদপসরণ করতেন না।’ [মুসনাদে আহমাদ:২/২০০]

তাফসীরে জাকারিয়া

(১৭) এরা যা বলে তাতে তুমি ধৈর্যধারণ কর এবং স্মরণ কর আমার বলবান[1] দাস দাঊদের কথা; নিশ্চয় সে ছিল অতিশয় আল্লাহ-অভিমুখী।

[1] এখানে أَيْدٍ - يَدٌ (হাত) এর বহুবচন নয়। বরং এটা آدَ يَئِيْدُ এর মাসদার (ক্রিয়ামূল) যার অর্থ ‘শক্তি ও প্রবলতা’। এ থেকেই تأييد - تقويت অর্থে ব্যবহার হয়েছে। এখানে শক্তির অর্থ হল দ্বীনি শক্তি ও সুদৃঢ়তা। যেমন হাদীসে বর্ণনা হয়েছে যে, ‘‘আল্লাহর তাআলার নিকট সর্বাধিক পছন্দনীয় (রাতের) নামায হল, দাউদ (আঃ)-এর নামায এবং সর্বাধিক পছন্দনীয় রোযা হল দাউদ (আঃ)-এর রোযা। তিনি অর্ধরাত্রি নিদ্রা যেতেন, অতঃপর এক তৃতীয়াংশ নামায পড়তেন এবং পুনরায় রাত্রির ষষ্ঠাংশে নিদ্রা যেতেন। আর তিনি একদিন পর পর রোযা রাখতেন এবং যুদ্ধে গিয়ে কখনও পশ্চাদপসরণ করতেন না। (বুখারী)

তাফসীরে আহসানুল বায়ান