২১ সূরাঃ আল-আম্বিয়া | Al-Anbiya | سورة الأنبياء - আয়াত নং - ২৭ - মাক্কী
তারা তাঁর আগ বাড়িয়ে কোন কথা বলে না, তাঁর নির্দেশেই তো তারা কাজ করে। আল-বায়ান
তিনি কথা বলার আগেই তারা (অর্থাৎ সম্মানিত বান্দারা) কথা বলে না, তারা তাঁর নির্দেশেই কাজ করে। তাইসিরুল
তারা তাঁর আগে বেড়ে কথা বলে না; তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে। মুজিবুর রহমান
They cannot precede Him in word, and they act by His command. Sahih International
২৭. তারা তাঁর আগে বেড়ে কথা বলে না(১); তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে থাকে।
(১) অধিকাংশ মুফাসসিরের মতে, এখানে ফেরেশতাদের কথাই বলা হয়েছে। আরবের মুশরিকরা তাদেরকে আল্লাহর মেয়ে গণ্য করতো। আর মনে করতো যে, এরা আল্লাহর দরবারে এদের জন্য সুপারিশ করবে। [কুরতুবী; ইবন কাসীর] পরবর্তী ভাষণ থেকে একথা স্বতস্ফূৰ্তভাবে প্রকাশ হয়ে যায়। বলা হচ্ছে, ফেরেশতারা আল্লাহর সন্তান হওয়া তো দূরের কথা, তারা আল্লাহর সামনে এমন ভীত ও বিনীত থাকে যে, আগে বেড়ে কোন কথাও বলে না এবং তার আদেশের খেলাফ কখনও কোন কাজ করে না। কথায় আগে না বাড়ার অর্থ এই যে, যে পর্যন্ত আল্লাহ তা'আলার পক্ষ থেকে কোন কথা না বলা হয় তারা নিজেরা আগে বেড়ে কথা বলার সাহস করে না।
তাফসীরে জাকারিয়া(২৭) তারা তাঁর আগে বেড়ে কথা বলে না এবং তারা তো তাঁর আদেশ অনুসারেই কাজ করে। [1]
[1] এখানে মুশরিকদের এক ধারণার খন্ডন করা হয়েছে। তাদের ধারণা, ফিরিশতারা আল্লাহর কন্যা। কিন্তু আল্লাহ বলেন, তারা আমার কন্যা নয়; বরং তারা আমার সম্মানিত ও আজ্ঞাবহ দাস। তাছাড়া পুত্র-কন্যার প্রয়োজন তখন পড়ে, যখন কেউ বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখনই সন্তান সাহারা ও সাহায্যকারী হয়। আর এই কারণেই সন্তানদেরকে ‘বার্ধক্যের লাঠি’ বলা হয়। কিন্তু বার্ধক্য, দুর্বলতা, স্থবিরতা এ সব এমন জিনিস, যা মানুষের সাথে সম্পর্কিত, আল্লাহর সত্তা এ সকল দুর্বলতা ও ত্রুটি হতে পাক ও পবিত্র। সেই জন্য তাঁর সন্তান বা কোন প্রকার সাহারার প্রয়োজন নেই। আর ঠিক এই কারণেই কুরআনে বারবার এ বিষয়টিকে পরিষ্কার করা হয়েছে যে, তাঁর কোন সন্তানাদি নেই।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান