১৩ সূরাঃ আর-রাদ | Ar-Ra'd | سورة الرعد - আয়াত নং - ৪৩ মাদানী
আর যারা কুফরী করে, তারা বলে, ‘তুমি রাসূল নও’। বল, ‘আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট এবং যার নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে সেও‘। আল-বায়ান
কাফিররা বলে, ‘তুমি আল্লাহর প্রেরিত নও।’ বল, ‘আমার ও তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট এবং যাদের কিতাবের জ্ঞান আছে তারাও।’ তাইসিরুল
যারা কুফরী করেছে তারা বলেঃ তুমি (আল্লাহর) প্রেরিত নও; তুমি বলঃ আল্লাহ এবং যাদের নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে তারা আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট। মুজিবুর রহমান
And those who have disbelieved say, "You are not a messenger." Say, [O Muhammad], "Sufficient is Allah as Witness between me and you, and [the witness of] whoever has knowledge of the Scripture." Sahih International
৪৩. আর যারা কুফরী করেছে তারা বলে, তুমি আল্লাহর পাঠানো নও। বলুন, আল্লাহ্ এবং যাদের কাছে কিতাবের জ্ঞান আছে, তারা আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসেবে যথেষ্ট।(১)
(১) অর্থাৎ আসমানী কিতাবের জ্ঞান রাখে এমন প্রত্যেক ব্যক্তি একথার সাক্ষ্য দেবে যে, যা কিছু আমি পেশ করেছি তা ইতিপূর্বে আগত নবীগণের শিক্ষার পুনরাবৃত্তি ছাড়া আর কিছুই নয় এবং আমি আল্লাহরই রাসূল। পবিত্র কুরআনের অন্যান্য স্থানেও আল্লাহ তা'আলা আহলে কিতাব তথা ইয়াহুদী ও নাসারাদের মধ্যে যা সত্যনিষ্ঠ তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সত্যয়নকারীরূপে উল্লেখ করেছেন। যেমন কুরআনে এসেছেঃ আল্লাহ বললেন, আমার শাস্তি যাকে ইচ্ছে দিয়ে থাকি আর আমার দয়া—তা তো প্রত্যেক বস্তুকে ঘিরে রয়েছে। কাজেই আমি তা নির্ধারিত করব তাদের জন্য যারা তাকওয়া অবলম্বন করে, যাকাত দেয় ও আমার নিদর্শনে ঈমান আনে। যারা অনুসরণ করে বার্তাবাহক উম্মী নবীর, যার উল্লেখ তাওরাত ও ইনজীল, যা তাদের কাছে আছে তাতে লিখিত পায়। ডসূরা আল-আরাফঃ ১৫৬–১৫৭] আরও এসেছে, বনী ইসরাঈলের পণ্ডিতগণ এ সম্পর্কে জানে—এটা কি তাদের জন্য নিদর্শন নয়? [সূরা আস-শু'আরাঃ ১৯৭]
তাফসীরে জাকারিয়া(৪৩) যারা অবিশ্বাস করেছে তারা বলে, ‘তুমি আল্লাহর প্রেরিত নও। তুমি বল, ‘আল্লাহ আমার ও তোমাদের মধ্যে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট[1] এবং তারা যাদের নিকট কিতাবের জ্ঞান আছে।’[2]
[1] সুতরাং তিনি জানেন যে, আমি তাঁর সত্য রসূল ও তাঁর বার্তা প্রচারক। আর তোমরা হলে মিথ্যাবাদী।
[2] কিতাবের অর্থ কিতাবের শ্রেণীকে বুঝানো হয়েছে; উদ্দেশ্য তাওরাত ও ইঞ্জীলের জ্ঞান। অর্থাৎ ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানদের মধ্যে যারা মুসলমান হয়েছে; যেমন আব্দুল্লাহ বিন সালাম, সালমান ফারসী এবং তামীম দারী ইত্যাদি (রাঃ), এরাও জানত যে, আমি আল্লাহর রসূল। আরবের মুশরিকরা বিশেষ সমস্যার সময় ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানদের নিকট রুজু করত এবং তাদেরকে সমাধান জিজ্ঞাসা করত। আল্লাহ তাআলা তাদেরকে পথ দেখালেন যে, ইয়াহুদ ও খ্রিষ্টানরা জানে, তাদেরকে তোমরা জিজ্ঞাসা করে নাও। কিছু উলামা বলেন যে, কিতাব থেকে কুরআনকে এবং কিতাবের জ্ঞানী থেকে মুসলিমদেরকে বুঝানো হয়েছে। আবার কোন কোন আলেম কিতাবের অর্থ ‘লাওহে মাহফূয’ (সংরক্ষিত ফলক) নিয়েছেন, অর্থাৎ যার কাছে সংরক্ষিত ফলকের জ্ঞান রয়েছে অর্থাৎ মহান আল্লাহ। তবে প্রথম অর্থটাই বেশি উপযুক্ত।
তাফসীরে আহসানুল বায়ান