২২৪

পরিচ্ছেদঃ পবিত্র মাটি মুসলিমদের জন্য অযুর পানির হুকুম রাখে

২২৪) ইমরান বিন হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমরা এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ছিলাম। আমরা সারা রাত পথ চললাম। সারা রাত পথ চলার পর আমরা শেষ রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম। মুসাফিরের জন্য শেষ রাতের ঘুমের চেয়ে অধিক আরামদায়ক ঘুম আর হতে পারেনা। সূর্যের তাপ ব্যতীত অন্য কিছু আমাদেরকে জাগ্রত করেনি। অর্থাৎ সূর্যের তাপ শরীরে লাগার পর আমরা ঘুম থেকে জাগ্রত হলাম। সর্বপ্রথম অমুক ব্যক্তি জাগ্রত হলেন তারপর অমুক তারপর অমুক। চতুর্থ ব্যক্তি ছিলেন উমার বিন খাত্তাব। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ঘুমাতেন তখন আমরা তাঁকে জাগাতাম না যতক্ষণ না তিনি নিজেই জাগ্রত হতেন। কেননা আমরা জানতাম না ঘুমের মধ্যে তাঁর কী ঘটছে? উমার (রাঃ) ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে মানুষের অবস্থা দেখতে পেলেন। তিনি ছিলেন কঠোর প্রকৃতির লোক। তিনি উঁচু আওয়াজে তাকবীর পাঠ করলেন। তাঁর তাকবীরের আওয়াজ শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘুম হতে জাগ্রত হলেন। জাগ্রত হলে লোকেরা তাঁর নিকট তাদের সমস্যা তুলে ধরল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ কোন দোষ নেই অথবা তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি হবেনা। তোমরা সামনে চল। কিছু দূর গিয়ে যাত্রা বিরতি করে অযুর পানি আনতে বললেন। পানি আনা হলে তিনি অযু করলেন। অতঃপর নামাযের আযান দেয়া হল। অতঃপর লোকদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। নামায শেষে দেখলেন একজন লোক দূরে অবস্থান করছে। সে লোকদের সাথে নামায পড়েনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ হে অমুক! লোকদের সাথে নামায পড়তে তোমাকে কিসে বারণ করল। সে বললঃ আমি নাপাক হয়ে গেছি অথচ পানি নেই। তিনি বললেনঃ তুমি পবিত্র মাটি নিয়ে তা দ্বারা তায়াম্মুম করো। এটিই তোমার জন্য যথেষ্ট।

 অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যাত্রা শুরু করলেন। লোকেরা তাঁর নিকট পিপাসার অভিযোগ করল। যাত্রা বিরতি করে তিনি আলী (রাঃ) এবং অপর এক ব্যক্তিকে ডাকলেন। তাদেরকে বললেনঃ তোমরা যাও এবং পানি তালাশ কর। তারা উভয়ে পানির তালাশে বের হলেন। পথিমধ্যে তাঁরা জনৈক মহিলাকে দেখতে পেলেন। সে উটের পিঠে পানি ভর্তি দু’টি মশক রেখে মশক দু’টির মাঝখানে বসে আছে। তাঁরা মহিলাটিকে বললেনঃ পানি কোথায়? সে বললঃ গতকাল আমি এই সময়ে পানির কাছে ছিলাম। আমাদের লোকেরা পিছনে রয়ে গেছে। তাঁরা বললেনঃ তাহলে তুমি আমাদের সাথে চল। সে বললঃ কোথায়? তাঁরা বললেনঃ আল্লাহর রাসূলের কাছে। মহিলাটি বললঃ যাকে সাবী বা বেদ্বীন বলা হয় তার নিকটে? তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, তুমি যাকে উদ্দেশ্য করেছ, তার কাছেই চল। তাঁরা তাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট নিয়ে আসলেন এবং ঘটনা খুলে বললেন। সাহাবীগণ তাকে উট থেকে নামালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটি পাত্র নিয়ে আসতে বললেন। তিনি মশক দু’টির উপরের মুখ খুলে তা থেকে সামান্য পানি নিয়ে মশকদ্বয়ের মুখ বন্ধ করে দিলেন। তবে নিচের মুখ খোলা রাখলেন। তখন মানুষের মাঝে ঘোষণা করে দিলেনঃ তোমরা পানি পান কর এবং পশুকেও পান করাও। সুতরাং যার ইচ্ছা নিজে পান করলেন এবং যার ইচ্ছা নিজের পশুকে পান করালেন। সর্বশেষে যে লোকটি অপবিত্র হয়েছিল তাকে এক পাত্র পানি দিয়ে বললেনঃ যাও এবং তোমার শরীরে পানি ঢেলে গোসল কর। মহিলাটি দাঁড়িয়ে দেখছিল যে, তার পানি দিয়ে কি করা হচ্ছে। আল্লাহর শপথ! লোকেরা যখন তাকে ছেড়ে চলে গেল তখন আমাদের ধারণা হল পানি নেয়া শুরু করার সময়ের তুলনায় পানি নেয়া শেষ হওয়ার সময়ই মশক অধিক ভরা ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ তোমরা মহিলাটির জন্য কিছু সংগ্রহ কর। তাঁরা তার জন্য খেজুর, আটা এবং ছাতু সংগ্রহ করলেন। সুতরাং মহিলার জন্য তাঁরা কিছু খাদ্যদ্রব্য একত্রিত করে একটি কাপড়ে রাখলেন। তারপর মহিলাটিকে উটের উপর বসিয়ে দিয়ে খাদ্যের পুটলাটি মহিলার সামনে রেখে দিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহিলাকে বললেনঃ দেখলে তো? আমরা তোমার পানি হতে মোটেই কমাইনি; বরং আল্লাহই আমাদেরকে পান করিয়েছেন। মহিলাটি যখন বিলম্বে তার পরিবারের লোকদের কাছে পৌঁছল তখন তার পরিবারের লোকেরা তাকে জিজ্ঞেস করলঃ কিসে তোমাকে আটকিয়ে রেখেছিল? সে বললঃ আশ্চর্য্য ব্যাপার! দু’জন লোকের সাথে দেখা হল। তারা আমাকে ঐ লোকটির নিকট নিয়ে গেল, যাকে বেদ্বীন বলা হয়। তিনি আমার সাথে এরূপ এরূপ আচরণ করেছেন। আল্লাহর শপথ! আসমান-যমীনের সকল অধিবাসীর মধ্যে এই ব্যক্তি সবচেয়ে বড় যাদুকর। এ কথা বলে সে মধ্যমা এবং শাহাদাত অঙ্গুলী দ্বারা আকাশের দিকে ইঙ্গিত করে দেখাল। অথবা সে আল্লাহর সত্য রাসূল।

 পরবর্তীতে মুসলমানেরা উক্ত মহিলার আশেপাশের এলাকার মুশরিকদের উপর আক্রমণ করতেন। কিন্তু মহিলাটি যে সমাজের লোক ছিল তাদের কোন ক্ষতি করতেন না। এক দিন সে তার গোত্রের লোকদেরকে বললঃ আমার মনে হচ্ছেনা যে, এই লোকেরা ইচ্ছা করে তোমাদেরকে ছেড়ে দিচ্ছে। তোমাদের কি ইসলাম গ্রহণ করার আগ্রহ আছে? গোত্রের লোকেরা তাঁর কথা মেনে নিয়ে ইসলামে প্রবেশ করল।

باب الصَّعِيدُ الطَّيِّبُ وَضُوءُ الْمُسْلِمِ ، يَكْفِيهِ مِنَ الْمَاءِ

২২৪ـ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ الْخُزَاعِيِّ قَالَ: كُنَّا فِي سَفَرٍ مَعَ النَّبِيِّ وَإِنَّا أَسْرَيْنَا، حَتَّى كُنَّا فِي آخِرِ اللَّيْلِ، وَقَعْنَا وَقْعَةً، وَلا وَقْعَةَ أَحْلَى عِنْدَ الْمُسَافِرِ مِنْهَا، فَمَا أَيْقَظَنَا إِلا حَرُّ الشَّمْسِ، وَكَانَ أَوَّلَ مَنِ اسْتَيْقَظَ فُلانٌ، ثُمَّ فُلانٌ، ثُمَّ فُلَانٌ، ثُمَّ عُمَرُ ابْنُ الْخَطَّابِ الرَّابِعُ، وَكَانَ النَّبِيُّ إِذَا نَامَ لَمْ يُوقَظْ حَتَّى يَكُونَ هُوَ يَسْتَيْقِظُ، لأَنَّا لا نَدْرِي مَا يَحْدُثُ لَهُ فِي نَوْمِهِ، فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ عُمَرُ وَرَأَى مَا أَصَابَ النَّاسَ، وَكَانَ رَجُلا جَلِيدًا، فَكَبَّرَ وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ، فَمَا زَالَ يُكَبِّرُ وَيَرْفَعُ صَوْتَهُ بِالتَّكْبِيرِ حَتَّى اسْتَيْقَظَ بِصَوْتِهِ النَّبِيُّ فَلَمَّا اسْتَيْقَظَ شَكَوْا إِلَيْهِ الَّذِي أَصَابَهُمْ، قَالَ لا ضَيْرَ أَوْ لا يَضِيرُ ارْتَحِلُوا فَارْتَحَلَ فَسَارَ غَيْرَ بَعِيدٍ، ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِالْوَضُوءِ، فَتَوَضَّأَ وَنُودِيَ بِالصَّلاةِ فَصَلَّى بِالنَّاس، فَلَمَّا انْفَتَلَ مِنْ صَلاتِهِ، إِذَا هُوَ بِرَجُلٍ مُعْتَزِلٍ لَمْ يُصَلِّ مَعَ الْقَوْمِ، قَالَ مَا مَنَعَكَ يَا فُلانُ أَنْ تُصَلِّيَ مَعَ الْقَوْمِ؟ قَالَ: أَصَابَتْنِي جَنَابَةٌ وَلا مَاءَ، قَالَ عَلَيْكَ بِالصَّعِيدِ فَإِنَّهُ يَكْفِيكَ. ثُمَّ سَارَ النَّبِيُّ فَاشْتَكَى إِلَيْهِ النَّاسُ مِنَ الْعَطَشِ، فَنَزَلَ فَدَعَا فُلانًا وَدَعَا عَلِيًّا فَقَالَ اذْهَبَا فَابْتَغِيَا الْمَاءَ فَانْطَلَقَا فَتَلَقَّيَا امْرَأَةً بَيْنَ مَزَادَتَيْنِ أَوْ سَطِيحَتَيْنِ مِنْ مَاءٍ عَلَى بَعِيرٍ لَهَا، فَقَالا لَهَا: أَيْنَ الْمَاءُ، قَالَتْ: عَهْدِي بِالْمَاءِ أَمْسِ هَذِهِ السَّاعَةَ، وَنَفَرُنَا خُلُوفًا، قَالا لَهَا: انْطَلِقِي إِذًا، قَالَتْ: إِلَى أَيْنَ؟ قَالا: إِلَى رَسُولِ اللَّهِ . قَالَتْ: الَّذِي يُقَالُ لَهُ الصَّابِئُ، قَالا: هُوَ الَّذِي تَعْنِينَ، فَانْطَلِقِي فَجَاءَا بِهَا إِلَى النَّبِيِّ وَحَدَّثَاهُ الْحَدِيثَ، قَالَ فَاسْتَنْزَلُوهَا عَنْ بَعِيرِهَا. وَدَعَا النَّبِيُّ بِإِنَاءٍ فَفَرَّغَ فِيهِ مِنْ أَفْوَاهِ الْمَزَادَتَيْنِ أَوْ سَطِيحَتَيْنِ وَأَوْكَأَ أَفْوَاهَهُمَا، وَأَطْلَقَ الْعَزَالِيَ وَنُودِيَ فِي النَّاسِ اسْقُوا وَاسْتَقُوا، فَسَقَى مَنْ شَاءَ وَاسْتَقَى مَنْ شَاءَ، وَكَانَ آخِرُ ذَاكَ أَنْ أَعْطَى الَّذِي أَصَابَتْهُ الْجَنَابَةُ إِنَاءً مِنْ مَاءٍ، قَالَ: اذْهَبْ فَأَفْرِغْهُ عَلَيْكَ وَهِيَ قَائِمَةٌ تَنْظُرُ إِلَى مَا يُفْعَلُ بِمَائِهَا وَايْمُ اللَّهِ لَقَدْ أُقْلِعَ عَنْهَا، وَإِنَّهُ لَيُخَيَّلُ إِلَيْنَا أَنَّهَا أَشَدُّ مِلأَةً مِنْهَا حِينَ ابْتَدَأَ فِيهَا، فَقَالَ النَّبِيُّ اجْمَعُوا لَهَا. فَجَمَعُوا لَهَا مِنْ بَيْنِ عَجْوَةٍ وَدَقِيقَةٍ وَسَوِيقَةٍ، حَتَّى جَمَعُوا لَهَا فَجَعَلُوهَا فِي ثَوْبٍ، وَحَمَلُوهَا عَلَى بَعِيرِهَا، وَوَضَعُوا الثَّوْبَ بَيْنَ يَدَيْهَا، قَالَ لَهَا تَعْلَمِينَ مَا رَزِئْنَا مِنْ مَائِكِ شَيْئًا وَلَكِنَّ اللَّهَ هُوَ الَّذِي أَسْقَانَا. فَأَتَتْ أَهْلَهَا وَقَدِ احْتَبَسَتْ عَنْهُمْ، قَالُوا: مَا حَبَسَكِ يَا فُلَانَةُ؟ قَالَتْ: الْعَجَبُ، لَقِيَنِي رَجُلانِ، فَذَهَبَا بِي إِلَى هَذَا الَّذِي يُقَالُ لَهُ الصَّابِئُ، فَفَعَلَ كَذَا وَكَذَا، فَوَاللَّهِ إِنَّهُ لأَسْحَرُ النَّاسِ مِنْ بَيْنِ هَذِهِ وَهَذِهِ وَقَالَتْ بِإِصْبَعَيْهَا الْوُسْطَى وَالسَّبَّابَةِ فَرَفَعَتْهُمَا إِلَى السَّمَاءِ تَعْنِي السَّمَاءَ وَالأَرْضَ أَوْ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللَّهِ حَقًّا. فَكَانَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَ ذَلِكَ، يُغِيرُونَ عَلَى مَنْ حَوْلَهَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ، وَلا يُصِيبُونَ الصِّرْمَ الَّذِي هِيَ مِنْهُ، فَقَالَتْ يَوْمًا لِقَوْمِهَا: مَا أُرَى أَنَّ هَؤُلاءِ الْقَوْمَ يَدْعُونَكُمْ عَمْدًا، فَهَلْ لَكُمْ فِي الإِسْلامِ؟ فَأَطَاعُوهَا فَدَخَلُوا فِي الإِسْلاَمِ. (بخارى:৩৪৪)

২২৪ـ عن عمران بن حصين الخزاعي قال: كنا في سفر مع النبي وانا اسرينا، حتى كنا في اخر الليل، وقعنا وقعة، ولا وقعة احلى عند المسافر منها، فما ايقظنا الا حر الشمس، وكان اول من استيقظ فلان، ثم فلان، ثم فلان، ثم عمر ابن الخطاب الرابع، وكان النبي اذا نام لم يوقظ حتى يكون هو يستيقظ، لانا لا ندري ما يحدث له في نومه، فلما استيقظ عمر وراى ما اصاب الناس، وكان رجلا جليدا، فكبر ورفع صوته بالتكبير، فما زال يكبر ويرفع صوته بالتكبير حتى استيقظ بصوته النبي فلما استيقظ شكوا اليه الذي اصابهم، قال لا ضير او لا يضير ارتحلوا فارتحل فسار غير بعيد، ثم نزل فدعا بالوضوء، فتوضا ونودي بالصلاة فصلى بالناس، فلما انفتل من صلاته، اذا هو برجل معتزل لم يصل مع القوم، قال ما منعك يا فلان ان تصلي مع القوم؟ قال: اصابتني جنابة ولا ماء، قال عليك بالصعيد فانه يكفيك. ثم سار النبي فاشتكى اليه الناس من العطش، فنزل فدعا فلانا ودعا عليا فقال اذهبا فابتغيا الماء فانطلقا فتلقيا امراة بين مزادتين او سطيحتين من ماء على بعير لها، فقالا لها: اين الماء، قالت: عهدي بالماء امس هذه الساعة، ونفرنا خلوفا، قالا لها: انطلقي اذا، قالت: الى اين؟ قالا: الى رسول الله . قالت: الذي يقال له الصابى، قالا: هو الذي تعنين، فانطلقي فجاءا بها الى النبي وحدثاه الحديث، قال فاستنزلوها عن بعيرها. ودعا النبي باناء ففرغ فيه من افواه المزادتين او سطيحتين واوكا افواههما، واطلق العزالي ونودي في الناس اسقوا واستقوا، فسقى من شاء واستقى من شاء، وكان اخر ذاك ان اعطى الذي اصابته الجنابة اناء من ماء، قال: اذهب فافرغه عليك وهي قاىمة تنظر الى ما يفعل بماىها وايم الله لقد اقلع عنها، وانه ليخيل الينا انها اشد ملاة منها حين ابتدا فيها، فقال النبي اجمعوا لها. فجمعوا لها من بين عجوة ودقيقة وسويقة، حتى جمعوا لها فجعلوها في ثوب، وحملوها على بعيرها، ووضعوا الثوب بين يديها، قال لها تعلمين ما رزىنا من ماىك شيىا ولكن الله هو الذي اسقانا. فاتت اهلها وقد احتبست عنهم، قالوا: ما حبسك يا فلانة؟ قالت: العجب، لقيني رجلان، فذهبا بي الى هذا الذي يقال له الصابى، ففعل كذا وكذا، فوالله انه لاسحر الناس من بين هذه وهذه وقالت باصبعيها الوسطى والسبابة فرفعتهما الى السماء تعني السماء والارض او انه لرسول الله حقا. فكان المسلمون بعد ذلك، يغيرون على من حولها من المشركين، ولا يصيبون الصرم الذي هي منه، فقالت يوما لقومها: ما ارى ان هولاء القوم يدعونكم عمدا، فهل لكم في الاسلام؟ فاطاعوها فدخلوا في الاسلام. (بخارى:৩৪৪)

Clean earth is sufficient for a Muslim as a substitute for water for ablution (if he does not find water)


Narrated `Imran:

Once we were traveling with the Prophet (ﷺ) and we carried on traveling till the last part of the night and then we (halted at a place) and slept (deeply). There is nothing sweeter than sleep for a traveler in the last part of the night. So it was only the heat of the sun that made us to wake up and the first to wake up was so and so, then so and so and then so and so (the narrator `Auf said that Abu Raja' had told him their names but he had forgotten them) and the fourth person to wake up was `Umar bin Al- Khattab. And whenever the Prophet (ﷺ) used to sleep, nobody would wake up him till he himself used to get up as we did not know what was happening (being revealed) to him in his sleep. So, `Umar got up and saw the condition of the people, and he was a strict man, so he said, "Allahu Akbar" and raised his voice with Takbir, and kept on saying loudly till the Prophet (ﷺ) got up because of it. When he got up, the people informed him about what had happened to them. He said, "There is no harm (or it will not be harmful). Depart!" So they departed from that place, and after covering some distance the Prophet (ﷺ) stopped and asked for some water to perform the ablution. So he performed the ablution and the call for the prayer was pronounced and he led the people in prayer. After he finished from the prayer, he saw a man sitting aloof who had not prayed with the people. He asked, "O so and so! What has prevented you from praying with us?" He replied, "I am Junub and there is no water. " The Prophet (ﷺ) said, "Perform Tayammum with (clean) earth and that is sufficient for you."

Then the Prophet (ﷺ) proceeded on and the people complained to him of thirst. Thereupon he got down and called a person (the narrator `Auf added that Abu Raja' had named him but he had forgotten) and `Ali, and ordered them to go and bring water. So they went in search of water and met a woman who was sitting on her camel between two bags of water. They asked, "Where can we find water?" She replied, "I was there (at the place of water) this hour yesterday and my people are behind me." They requested her to accompany them. She asked, "Where?" They said, "To Allah's Messenger (ﷺ) ." She said, "Do you mean the man who is called the Sabi, (with a new religion)?" They replied, "Yes, the same person. So come along." They brought her to the Prophet (ﷺ) and narrated the whole story. He said, "Help her to dismount." The Prophet (ﷺ) asked for a pot, then he opened the mouths of the bags and poured some water into the pot. Then he closed the big openings of the bags and opened the small ones and the people were called upon to drink and water their animals. So they all watered their animals and they (too) all quenched their thirst and also gave water to others and last of all the Prophet (ﷺ) gave a pot full of water to the person who was Junub and told him to pour it over his body.
The woman was standing and watching all that which they were doing with her water. By Allah, when her water bags were returned the looked like as if they were more full (of water) than they had been before (Miracle of Allah's Messenger (ﷺ)) Then the Prophet (ﷺ) ordered us to collect something for her; so dates, flour and Sawiq were collected which amounted to a good meal that was put in a piece of cloth. She was helped to ride on her camel and that cloth full of foodstuff was also placed in front of her and then the Prophet (ﷺ) said to her, "We have not taken your water but Allah has given water to us." She returned home late. Her relatives asked her: "O so and so what has delayed you?" She said, "A strange thing! Two men met me and took me to the man who is called the Sabi' and he did such and such a thing. By Allah, he is either the greatest magician between this and this (gesturing with her index and middle fingers raising them towards the sky indicating the heaven and the earth) or he is Allah's true Apostle." Afterwards the Muslims used to attack the pagans around her abode but never touched her village. One day she said to her people, "I think that these people leave you purposely. Have you got any inclination to Islam?" They obeyed her and all of them embraced Islam. Abu `Abdullah said: The word Saba'a means "The one who has deserted his old religion and embraced a new religion." Abul 'Ailya [??] said, "The S`Abis are a sect of people of the Scripture who recite the Book of Psalms."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মুখতাসার সহীহ আল-বুখারী
৭. কিতাবুত তায়াম্মুম (كتاب التيمم)