পরিচ্ছেদঃ মানুষের জন্য আবশ্যক হলো অন্যকে ক্ষমা করা; মন্দ এর প্রতিদানে মন্দ না করা
باب العفو
ক্ষমা করা
৪৮৭. উবাই বিন কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “উহুদ যুদ্ধের দিন আনসারদের মধ্য হতে ৭৪ জন এবং মুহাজিরদের মধ্য হতে ৬ জন শাহাদাহ বরণ করেন। তাঁদের মাঝে হামযা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু ও ছিলেন। মক্কার মুশরিকরা মুসলিম শহীদদের লাশের অঙ্গ বিকৃতি করে। তখন আনসারগণ বলেন যে, “যদি আমরা তাদের কোন লোকদের মারতে পারি, তবে আমরাও তাদের বদলা নিবো।” অতঃপর যখন মক্কা বিজয়ের দিন হলো তখন মহান আল্লাহ আয়াত নাযিল করলেন: “যদি তোমরা তাদের শাস্তি দাও, তবে তারা তোমাদের যেরূপ শাস্তি দিয়েছে, তোমরাও অনুরূপ শাস্তি দাও। আর যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, তবে ধৈর্যশীলদের জন্য এটাই উত্তম।” (সূরা নাহল: ১২৬) তখন এক ব্যক্তি বললেন: “আজকের দিন পর আর কোন কুরাইশ বংশের লোক অবশিষ্ট থাকবে না।” তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “চারজন লোক ব্যতিত তোমরা অন্য লোকদের হত্যা করা থেকে বিরত থাকো।”[1]
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يَجِبُ عَلَى الْمَرْءِ مِنَ اسْتِعْمَالِ الْعَفْوِ وَتَرْكِ الْمُجَازَاةِ عَلَى الشَّرِّ بالشَّرِّ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ الْأَزْدِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ: أَخْبَرَنَا الْفَضْلُ بْنُ مُوسَى قَالَ: حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ عُبَيْدٍ عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَبِي الْعَالِيَةِ قَالَ: حَدَّثَنِي أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ قَالَ: لَمَّا كَانَ يَوْمُ أُحُدٍ أُصِيبَ مِنَ الْأَنْصَارِ أَرْبَعَةٌ وَسَبْعُونَ وَمِنْهُمْ سِتَّةٌ فِيهِمْ حَمْزَةُ فمثَّلوا بِهِمْ فَقَالَتِ الْأَنْصَارُ: لَئِنْ أَصَبْنَا مِنْهُمْ يَوْمًا لَنُرْبيَنَّ عَلَيْهِمْ فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ فَتْحِ مَكَّةَ أَنْزَلَ اللَّهُ: {وَإِنْ عَاقَبْتُمْ فَعَاقِبُوا بِمِثْلِ مَا عُوقِبْتُمْ بِهِ وَلَئِنْ صَبَرْتُمْ لَهُوَ خَيْرٌ لِلصَّابِرِينَ} [النحل: 126] فقَالَ رَجُلٌ: لَا قُرَيْشَ بَعْدَ الْيَوْمِ فقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (كُفُّوا عن القوم غير أربعة.)
الراوي : أَبو الْعَالِيَةِ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 487 | خلاصة حكم المحدث: صحيح .
হাদীসটিকে আল্লামা শু‘আইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাসান বলেছেন। আল্লামা নাসির উদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (আয য‘ঈফাহ: ৫৫০।)