৪০৮

পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি লোক দেখানো আমল করবে, কিয়ামতের দিন সে প্রথম জাহান্নামে যাবে। আল্লাহর কাছে এমনটা হওয়া থেকে পানাহ চাই!

৪০৮. শুফাই আল আসবাহী রহিমাহুল্লাহ বলেন, তিনি মাদীনার মসজিদে যান সেখানে একজন ব্যক্তিকে দেখতে পান যার কাছে লোকজন জমা হয়েছেন, তখন তিনি বলেন: “ইনি কে?” তারা জবাব দেন: “আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু।” তিনি বলেন, আমি তার কাছাকাছি গেলাম এমনটি তাঁর সামনে বসলাম, এসময় তিনি মানুষকে হাদীস বর্ণনা করছিলেন। যখন তিনি চুপ হলেন এবং একাকী হলেন, তখন আমি তাঁকে বললাম: “আমি আপনাকে আমার হকের মাধ্যমে শপথ দিয়ে বলছি, আপনি অবশ্যই আমাকে একটি হাদীস বর্ণনা করবেন, যা আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছ থেকে শুনেছেন, বুঝেছেন এবং শিখেছেন।” তখন আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “আমি তাই করবো। আমি তোমাকে অবশ্যই একটি হাদীস বর্ণনা করবো, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করেছেন।” তারপর  আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে পান। তারপর তিনি বলেন: “আমি তোমাকে অবশ্যই একটি হাদীস বর্ণনা করবো, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করেছেন। সেসময় আমি এবং তিনি এই ঘরে ছিলাম। এখানে আমি আর তিনি ছাড়া আর কেউ ছিল না।” তারপর আবারও তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারপর জ্ঞান ফিরে পান। তিনি তাঁর মুখ মুছেন। তারপর বলেন: “আমি তাই করবো। আমি তোমাকে অবশ্যই একটি হাদীস বর্ণনা করবো, যা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে বর্ণনা করেছেন। সেসময় আমি এবং তিনি এই ঘরে ছিলাম। এখানে আমি আর তিনি ছাড়া আর কেউ ছিল না।” তারপর আবারও তিনি প্রবলভাবে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তারপর তিনি মুখ থুবড়ে পড়ে যান। এভাবে দীর্ঘ সময় থাকেন। তারপর জ্ঞান ফিরে পান এবং বলেন, আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদীস বর্ণনা করেছেন: “নিশ্চয়ই যখন কিয়ামতের দিন হবে, আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা তখন বান্দাদের মাঝে ফায়সালা করার জন্য তাদের কাছে অবতরণ করবেন। এসময় প্রতিটি উম্মত হাঁটু গেড়ে বসে থাকবে।

মহান আল্লাহ প্রথম যাদের ডাকবেন তারা হলো: যে ব্যক্তি কুরআন একত্রিত করেছে। (অর্থাৎ কুরআনের জ্ঞান অর্জন করেছে।), যে ব্যক্তি যিনি আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়েছে, যে ব্যক্তি প্রচুর সম্পদশালী ছিল। মহান আল্লাহ কুরআনের পাঠককে বলবেন: “আমি আমার রাসূলের উপর যা অবতীর্ণ করেছি, আমি কি তোমাকে সে জ্ঞান শিক্ষা দেইনি?” সে বলবে: “জ্বী, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক।” মহান আল্লাহ বলবেন: “ তুমি যা জেনেছো, তার কি আমল করেছো?” সে বলবে: “আমি কুরআন দিয়ে দিবারাত্রি কিয়াম করেছি।” আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তা‘আলা তাকে বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” ফেরেস্তাগণও বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” আল্লাহ বলবেন: “তোমার তো বরং উদ্দেশ্য ছিল এটা যে, মানুষ তোমাকে ক্বারী বলবে। তোমাকে এমনটা বলা হয়েছেও বটে।” তারপর সম্পদশালী ব্যক্তিকে আনা হবে। মহান আল্লাহ তাকে বলবেন: “আমি কি তোমাকে প্রশস্ততা দান করিনি, এমনকি আমি তোমাকে এমনভাবে রাখিনি যে তুমি কারো মুখাপেক্ষী হবে?” সে বলবে: “জ্বী, হ্যাঁ, হে আমার প্রতিপালক।” মহান আল্লাহ বলবেন: “ আমি তোমাকে যা দিয়েছিলাম, তাতে তুমি কি আমল করেছো?”

সে বলবে: “আমি আত্নীয়তার সম্পর্ক বজায় রেখেছি এবং সাদাকা করেছি।” মহান আল্লাহ তাকে বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” ফেরেস্তাগণও বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” আল্লাহ বলবেন: “তোমার তো বরং উদ্দেশ্য ছিল এটা যে, মানুষ তোমাকে বড় দানশীল বলবে। তোমাকে এমনটা বলা হয়েছেও বটে।” তারপর আল্লাহর রাস্তায় যিনি শহীদ হয়েছে, তাকে আনা হবে। তাকে বলা হবে: “তুমি কি জন্য নিহত হয়েছো?” সে জবাবে বলবে: “আমাকে তোমার পথে জিহাদ করার জন্য আদেশ করা হয়েছিল। ফলে আমি জিহাদ করে শাহাদাত বরণ করেছি।” মহান আল্লাহ তাকে বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” ফেরেস্তাগণও বলবেন: “তুমি মিথ্যা বলেছো।” আল্লাহ বলবেন: “তোমার তো বরং উদ্দেশ্য ছিল এটা যে, মানুষ তোমাকে দুঃসাহসিক বলবে। তোমাকে এমনটা বলা হয়েছেও বটে।”

তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমার হাঁটুতে তাঁর হাত মারেন এবং বলেন: হে আবু হুরাইরা, আল্লাহর সৃষ্টিজীবের মাঝে এই তিন শ্রেণির মানুষ দ্বারা কিয়ামতের দিন জাহান্নামকে প্রথম প্রজ্জ্বলিত করা হবে!”[1]

ওয়ালিদ বিন ওয়ালীদ বলেন, “আমাকে উকবাহ এই মর্মে খবর দিয়েছেন যে, নিশ্চয়ই এই শুফাই-ই মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর কাছে গিয়ে এই হাদীস বর্ণনা করেন।” আবু উসমান আল ওয়ালীদ বলেছেন, “আমাকে হাদীসটি আরো বর্ণনা করেছেন ‘আলা বিন আবু হাকীম মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর জাল্লাদ ছিলেন। তিনি বলেন, “অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর কাছে প্রবেশ করে আবু হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর সূত্রে এই হাদীসটি বর্ণনা করেন। তখন মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন: “এই এদের সাথে এমন আচরণ করা হবে, তাহলে অন্যান্য লোকের সাথে কেমন আচরণ করা হবে?” তারপর মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এতো বেশি কান্না করেন যে, আমাদের মনে হলো যে, হয়তো তিনি মারা যাবেন। আমরা বললাম, “এই লোক তো খারাপ জিনিস নিয়ে এসেছে!” তারপর মু‘আবিয়া রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু জ্ঞান ফিরে পান এবং তার মুখ মুছেন। তিনি বলেন: আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যথার্থই বলেছেন, তিনি বলেছেন: “যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবন ও তার চাকচিক্যতা কামনা করে, দুনিয়াতে তাদের কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেই; এখানে মোটেও কম দেওয়া হয়না। এদের জন্য পরকালে জাহান্নাম ছাড়া আর কিছু নেই, দুনিয়াতে যা তারা আমল করেছে, তা বিনষ্ট হয়ে গেছে, আর যা তারা করবে সেসবও বাতিল হিসেবে গণ্য হবে।” (সূরা হুদ: ১৫-১৬।)

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ رَضِيَ اللَّهُ تعالى عَنْهُ أَلْفَاظُ الْوَعِيدِ فِي الْكِتَابِ وَالسُّنَنِ كُلُّهَا مَقْرُونَةٌ بِشَرْطٍ وَهُوَ إِلَّا أَنْ يَتَفَضَّلَ اللَّهُ جَلَّ وَعَلَا عَلَى مُرْتَكِبِ تِلْكَ الْخِصَالِ بِالْعَفْوِ وَغُفْرَانِ تِلْكَ الْخِصَالِ دُونَ الْعُقُوبَةِ عَلَيْهَا وَكُلُّ مَا فِي الْكِتَابِ وَالسُّنَنِ مِنْ أَلْفَاظِ الْوَعْدِ مَقْرُونَةٌ بِشَرْطٍ وَهُوَ إِلَّا أَنْ يَرْتَكِبَ عَامِلُهَا مَا يَسْتَوْجِبُ بِهِ الْعُقُوبَةَ عَلَى ذَلِكَ الْفِعْلِ حَتَّى يُعَاقَبَ إِنْ لَمْ يَتَفَضَّلَ عَلَيْهِ بِالْعَفْوِ ثُمَّ يُعْطَى ذَلِكَ الثَّوَابَ الَّذِي وُعِدَ بِهِ مِنْ أَجْلِ ذَلِكَ الْفِعْلِ.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “কুরআন ও হাদীসে শাস্তির সমস্ত শব্দ একটি শর্তের সাথে সংযুক্ত। সেটি হলো: “(তার উপর সেই শাস্তি কার্যকর হবে) যদি সেসব পাপ ও পাপীকে মহান আল্লাহ শাস্তি না দিয়ে ক্ষমা না করেন। অনুরুপভাবে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত প্রতিটি প্রতিশ্রুটির শব্দগুলো একটি শর্তের সাথে যুক্ত। সেটি হলো: “(প্রতিশ্রুতি মাফিক ফলাফল পাবে) যদি আমলকারী সেই ব্যক্তি এমন কিছু না করে যার কারণে তার উপর শাস্তি অবধারিত হয়ে যায়। তখন তাকে শাস্তি দেওয়া হবে, যদি মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমার মাধ্যমে অনুগ্রহ না করেন। এরপর তাকে তার কর্মের জন্য প্রতিশ্রুত সাওয়াব দেওয়া হবে।”

ذِكْرُ الْبَيَانِ بِأَنَّ مَنْ رَاءَى فِي عَمَلِهِ يَكُونُ فِي الْقِيَامَةِ مِنْ أَوَّلِ مَنْ يَدْخُلُ النَّارَ نَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْهَا

أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ سُفْيَانَ قَالَ حَدَّثَنَا حِبَّانُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ قَالَ أَنْبَأَنَا حيوة بن شريح قال حدثني الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ أَبُو عُثْمَانَ الْمَدَنِيُّ أَنَّ عُقْبَةَ بْنَ مُسْلِمٍ حَدَّثَهُ أَنَّ شُفَيًّا الْأَصْبَحِيَّ حَدَّثَهُ أَنَّهُ دَخَلَ مَسْجِدَ الْمَدِينَةِ فَإِذَا هُوَ بِرَجُلٍ قَدِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِ النَّاسُ فقَالَ مَنْ هَذَا قَالُوا أَبُو هُرَيْرَةَ قَالَ فَدَنَوْتُ مِنْهُ حَتَّى قَعَدْتُ بَيْنَ يَدَيْهِ وَهُوَ يُحَدِّثُ النَّاسَ فَلَمَّا سَكَتَ وَخَلَا قُلْتُ لَهُ أَنْشُدُكَ بِحَقِّي لَمَا حَدَّثْتَنِي حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عقلته وعلمته فقَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ أَفْعَلُ لَأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رسول الله صلى الله عليه وسلم عقلته وَعَلِمْتُهُ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً فَمَكَثَ قَلِيلًا ثُمَّ أَفَاقَ فقَالَ لَأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رسول لله صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَنَا أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ ثُمَّ نَشَغَ أَبُو هُرَيْرَةَ نَشْغَةً أُخْرَى فَمَكَثَ كَذَلِكَ ثُمَّ أَفَاقَ فَمَسَحَ عَنْ وَجْهِهِ فقَالَ أَفْعَلُ لَأُحَدِّثَنَّكَ حَدِيثًا حَدَّثَنِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا وَهُوَ فِي هَذَا الْبَيْتِ مَا مَعَهُ أَحَدٌ غَيْرِي وَغَيْرُهُ ثُمَّ نَشَغَ نَشْغَةً شَدِيدَةً ثُمَّ مَالَ خَارًّا عَلَى وَجْهِهِ وَاشْتَدَّ بِهِ طَوِيلًا ثُمَّ أَفَاقَ فقَالَ حَدَّثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ " أَنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ يَنْزِلُ إِلَى الْعِبَادِ لِيَقْضِيَ بَيْنَهُمْ وَكُلُّ أُمَّةٍ جَاثِيَةٌ فَأَوَّلُ مَنْ يَدْعُو بِهِ رَجُلٌ جَمَعَ الْقُرْآنَ وَرَجُلٌ يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَرَجُلٌ كَثِيرُ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى للقارىء أَلَمْ أُعَلِّمْكَ مَا أَنْزَلْتُ عَلَى رَسُولِي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بَلَى يَا رَبِّ قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا عَلِمْتَ قَالَ كُنْتُ أَقُومُ بِهِ آنَاءَ اللَّيْلِ وَآنَاءَ النَّهَارِ فَيَقُولُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ بَلْ أَرَدْتَ أن يقال فلان قارىء فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ. وَيُؤْتَى بِصَاحِبِ الْمَالِ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ أَلَمْ أُوَسِّعْ عَلَيْكَ حَتَّى لَمْ أَدَعْكَ تَحْتَاجُ إِلَى أَحَدٍ قَالَ بَلَى يَا رَبِّ قَالَ فَمَاذَا عَمِلْتَ فِيمَا آتَيْتُكَ قَالَ كُنْتُ أَصِلُ الرَّحِمَ وَأَتَصَدَّقُ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ الْمَلَائِكَةُ لَهُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ بل إنما أردت أن يقال فُلَانٌ جَوَادٌ فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ. وَيُؤْتَى بِالَّذِي قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَيُقَالُ لَهُ فِي مَاذَا قُتِلْتَ فَيَقُولُ أُمِرْتُ بِالْجِهَادِ فِي سَبِيلِكَ فَقَاتَلْتُ حَتَّى قُتِلْتُ فَيَقُولُ اللَّهُ لَهُ كَذَبْتَ وَتَقُولُ لَهُ الْمَلَائِكَةُ كَذَبْتَ وَيَقُولُ اللَّهُ بَلْ أردت أن يقال فلان جريء فَقَدْ قِيلَ ذَاكَ ثُمَّ ضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رُكْبَتِي فقَالَ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ أُولَئِكَ الثَّلَاثَةُ أَوَّلُ خَلْقِ اللَّهِ تسعر بهم النار يوم القيامة."
قَالَ الْوَلِيدُ بْنُ أَبِي الْوَلِيدِ فَأَخْبَرَنِي عُقْبَةُ أَنَّ شُفَيًّا هُوَ الَّذِي دَخَلَ عَلَى مُعَاوِيَةَ فَأَخْبَرَهُ بِهَذَا الْخَبَرِ.
قَالَ أَبُو عُثْمَانَ الْوَلِيدُ وَحَدَّثَنِي الْعَلَاءُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ أَنَّهُ كَانَ سَيَّافًا لِمُعَاوِيَةَ قَالَ فَدَخَلَ عَلَيْهِ رَجُلٌ فَحَدَّثَهُ بِهَذَا عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ فقَالَ مُعَاوِيَةُ قَدْ فُعِلَ بِهَؤُلَاءِ مِثْلُ هَذَا فَكَيْفَ بِمَنْ بَقِيَ مِنَ النَّاسِ ثُمَّ بَكَى مُعَاوِيَةُ بُكَاءً شَدِيدًا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ هَالِكٌ وَقُلْنَا قَدْ جَاءَنَا هَذَا الرَّجُلُ بِشَرٍّ ثُمَّ أَفَاقَ مُعَاوِيَةُ وَمَسَحَ عَنْ وَجْهِهِ فقَالَ صَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ: {مَنْ كَانَ يُرِيدُ الْحَيَاةَ الدُّنْيَا وَزِينَتَهَا نُوَفِّ إِلَيْهِمْ أَعْمَالَهُمْ فِيهَا وَهُمْ فِيهَا لَا يُبْخَسُونَ أُولَئِكَ الَّذِينَ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْآخِرَةِ إِلَّا النَّارُ وَحَبِطَ مَا صَنَعُوا فِيهَا وَبَاطِلٌ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ} [هود: 15، 16] .
الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 408 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

اخبرنا الحسن بن سفيان قال حدثنا حبان بن موسى قال انبانا عبد الله بن المبارك قال انبانا حيوة بن شريح قال حدثني الوليد بن ابي الوليد ابو عثمان المدني ان عقبة بن مسلم حدثه ان شفيا الاصبحي حدثه انه دخل مسجد المدينة فاذا هو برجل قد اجتمع عليه الناس فقال من هذا قالوا ابو هريرة قال فدنوت منه حتى قعدت بين يديه وهو يحدث الناس فلما سكت وخلا قلت له انشدك بحقي لما حدثتني حديثا سمعته من رسول الله صلى الله عليه وسلم عقلته وعلمته فقال ابو هريرة افعل لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم عقلته وعلمته ثم نشغ ابو هريرة نشغة فمكث قليلا ثم افاق فقال لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول لله صلى الله عليه وسلم وانا وهو في هذا البيت ما معنا احد غيري وغيره ثم نشغ ابو هريرة نشغة اخرى فمكث كذلك ثم افاق فمسح عن وجهه فقال افعل لاحدثنك حديثا حدثنيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا وهو في هذا البيت ما معه احد غيري وغيره ثم نشغ نشغة شديدة ثم مال خارا على وجهه واشتد به طويلا ثم افاق فقال حدثني رسول الله صلى الله عليه وسلم " ان الله تبارك وتعالى اذا كان يوم القيامة ينزل الى العباد ليقضي بينهم وكل امة جاثية فاول من يدعو به رجل جمع القران ورجل يقتل في سبيل الله ورجل كثير المال فيقول الله تبارك وتعالى للقارىء الم اعلمك ما انزلت على رسولي صلى الله عليه وسلم قال بلى يا رب قال فماذا عملت فيما علمت قال كنت اقوم به اناء الليل واناء النهار فيقول الله تبارك وتعالى له كذبت وتقول له الملاىكة كذبت ويقول الله بل اردت ان يقال فلان قارىء فقد قيل ذاك. ويوتى بصاحب المال فيقول الله له الم اوسع عليك حتى لم ادعك تحتاج الى احد قال بلى يا رب قال فماذا عملت فيما اتيتك قال كنت اصل الرحم واتصدق فيقول الله له كذبت وتقول الملاىكة له كذبت ويقول الله بل انما اردت ان يقال فلان جواد فقد قيل ذاك. ويوتى بالذي قتل في سبيل الله فيقال له في ماذا قتلت فيقول امرت بالجهاد في سبيلك فقاتلت حتى قتلت فيقول الله له كذبت وتقول له الملاىكة كذبت ويقول الله بل اردت ان يقال فلان جريء فقد قيل ذاك ثم ضرب رسول الله صلى الله عليه وسلم ركبتي فقال يا ابا هريرة اولىك الثلاثة اول خلق الله تسعر بهم النار يوم القيامة." قال الوليد بن ابي الوليد فاخبرني عقبة ان شفيا هو الذي دخل على معاوية فاخبره بهذا الخبر. قال ابو عثمان الوليد وحدثني العلاء بن ابي حكيم انه كان سيافا لمعاوية قال فدخل عليه رجل فحدثه بهذا عن ابي هريرة فقال معاوية قد فعل بهولاء مثل هذا فكيف بمن بقي من الناس ثم بكى معاوية بكاء شديدا حتى ظننا انه هالك وقلنا قد جاءنا هذا الرجل بشر ثم افاق معاوية ومسح عن وجهه فقال صدق الله ورسوله: {من كان يريد الحياة الدنيا وزينتها نوف اليهم اعمالهم فيها وهم فيها لا يبخسون اولىك الذين ليس لهم في الاخرة الا النار وحبط ما صنعوا فيها وباطل ما كانوا يعملون} [هود: 15، 16] . الراوي : ابو هريرة | المحدث : العلامة ناصر الدين الالباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة او الرقم: 408 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ ইবনু হিব্বান (হাদিসবিডি)
৬. সদাচারণ ও ন্যায়নিষ্ঠতা সংশ্লিষ্ট কিতাব (كِتَابُ الْبِرِّ وَالْإِحْسَانِ)