পরিচ্ছেদঃ আলেমকে যখন প্রশ্ন করা হবে, মানুষের মধ্যে কে বড় আলেম তখন তিনি কি বলবেন?
১০৩) উবাই ইবনে কা’ব হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা মূসা (আঃ) বনী ইসরাঈলের এক সভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলঃ বর্তমানে মানুষের মধ্যে সবচেয়ে অধিক জ্ঞানী কে? (মূসা (আঃ)এর জানা মতে তাঁর চেয়ে অধিক জ্ঞানী ব্যক্তি আর কেউ ছিলনা) তাই তিনি বললেনঃ আমিই বর্তমানে সকলের চেয়ে অধিক জ্ঞানী। আল্লাহ তাআলা তাঁর এই কথাকে অপছন্দ করলেন। কারণ তিনি এ কথা বলেন নি যে, আল্লাহই ভাল জানেন কে অধিক জ্ঞানী। আল্লাহ বললেনঃ হে মূসা! দুই সাগরের মিলনস্থলে অবস্থানকারী আমার এক বান্দা তোমার চেয়ে অধিক জ্ঞানী। মূসা বললেনঃ হে আমার প্রতিপালক! কিভাবে আমি তাঁর কাছে যেতে পারবো? আল্লাহ্ তাআলা বললেনঃ থলের মধ্যে একটি মাছ নিয়ে ভ্রমণ শুরু কর। যেখানে পৌঁছে মাছটি হারিয়ে যাবে সেখানে তাঁর সন্ধান পাবে। আল্লাহর কথা অনুযায়ী মূসা (আঃ) থলের ভিতর একটি (ভাজা) মাছ নিয়ে বের হলেন। সাথে ছিল তাঁর খাদেম ইউসা ইবনে নূন। পথিমধ্যে একটি পাথরের উপর মাথা রেখে তারা ঘুমিয়ে পড়লেন। হঠাৎ মাছটি লাফিয়ে উঠল এবং থলের ভিতর থেকে বের হয়ে সমুদ্রে চলে গেল। মাছটি সমুদ্রের যে পথ দিয়ে চলে গেল আল্লাহ তাআলা সে পথে পানির স্রোত বন্ধ করে দিলেন। ফলে সেখানে পানির মধ্যে একটি সুড়ঙ্গের মত হয়ে গেল। (ইউশা ইবনে নূন এই আশ্চর্যজনক ঘটনা দেখছিলেন। মূসা (আঃ) তখন ঘুমন্ত ছিলেন। জাগ্রত হলে ইউশা ইবনে নূন এই ঘটনা মূসাকে বলতে ভুলে গেলেন) তাঁরা সেখান থেকে পুনরায় রওয়ানা হলেন। পূর্ণ একদিন একরাত সফর করার পর সকাল বেলা মূসা (আঃ) তাঁর সঙ্গীকে বললেনঃ আমাদের নাস্তা আন। এই সফরে যথেষ্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। যে স্থানে যাওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে সে স্থান অতিক্রম করার পূর্বে মূসা (আঃ) ক্লান্তি বোধ করেন নি। (নাস্তা চাওয়ার পর ইউশা ইবনে নূন মাছের ঘটনা স্বরণ করলেন) তিনি বললেনঃ আমরা যে পাথরের উপর মাথা রেখে ঘুমিয়েছিলাম, সেখানে মাছটি আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্রে চলে গেছে। আর আমি আপনাকে এই সংবাদটি দিতে ভুলে গিয়েছি। শয়তানই আমাকে আপনাকে বলতে ভুলিয়ে দিয়েছে। মাছটি চলে যাওয়ার পথে একটি ছিদ্র ছিল এবং মুসা (আঃ) এবং ইউসা ইবনে নূনের জন্য ছিল এটি একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা।
তখন মূসা (আঃ) বললেনঃ সে স্থানটিই তো আমাদের লক্ষ্য ছিল। তখন তাঁরা ফিরে চললেন এবং স্থানটি পাওয়ার জন্যে পূর্বের পথ ধরেই অগ্রসর হতে লাগলেন। প্রস্তর খন্ডের নিকট পৌঁছে দেখলেন, একজন লোক আপাদমস্তক চাদরে আবৃত হয়ে শুয়ে আছেন। মূসা (আঃ) তাঁকে সালাম দিলেন। খিযির (আঃ) সালামের উত্তর দিলেন এবং বললেনঃ এই জনমানবহীন প্রান্তরে সালাম কোথা থেকে এল? মূসা (আঃ) বললেনঃ আমি মূসা। খিযির প্রশ্ন করলেনঃ বনী ইসরাঈলের মূসা? তিনি জবাব দিলেনঃ হ্যাঁ, আমি বনী ইসরাঈলের মূসা। আল্লাহ্ আপনাকে যেই জ্ঞান শিখিয়েছেন, তা থেকে কিছু শেখার জন্য আমি আপনার কাছে এসেছি।
খিযির (আঃ) বললেনঃ হে মূসা! আল্লাহ তাআলা আমাকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন, যা আপনার কাছে নেই। পক্ষান্তরে আপনাকে এমন জ্ঞান দিয়েছেন যা আমি জানিনা। মূসা (আঃ) বললেনঃ আমি কি আপনার কাছ থেকে তা শেখার জন্য আপনার সাথে চলতে পারি? খিযির (আঃ) বললেনঃ আপনি আমার সাথে কিছুতেই ধৈর্যধারণ করে থাকতে পারবেন না। যে বিষয় বুঝা আপনার আয়ত্তাধীন নয়, তা দেখে আপনি ধৈর্যধারণ করবেন কেমন করে? মূসা বললেনঃ আল্লাহ্ চাহেন তো আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন এবং আমি আপনার কোন আদেশ অমান্য করবোনা। কোন কাজে আমি আপনার বিরোধিতা করবোনা। খিযির (আঃ) বললেনঃ আপনি যদি আমার সাথে থাকতে চান, তবে কোন বিষয়ে আমাকে প্রশ্ন করবেন না, যে পর্যন্ত না আমি নিজে তা আপনার কাছে ব্যক্ত করি।
এ কথা বলার পর উভয়ে সমুদ্রের কুল ধরে চলতে থাকলেন। ঘটনাক্রমে একটি নৌকা এসে সাগরের তীরে থামল। তাঁরা নৌকায় আরোহনের ব্যাপারে কথা বললেন। মাঝিরা খিযিরকে চিনে ফেলল এবং কোন রকম পারিশ্রমিক ছাড়াই তাঁদেরকে নৌকায় তুলে নিল। তারা যখন নৌকায় আরোহন করলেন তখন একটি চড়ুই পাখি এসে নৌকার কিনারায় বসল এবং সাগর থেকে এক ঠোকর বা দুই ঠোকর পানি পান করল। খিযির (আঃ) বললেনঃ এই পাখিটি তার ঠোঁট দিয়ে বিশাল সাগর থেকে যে পরিমাণ পানি পান করেছে আমি এবং আপনি আল্লাহর জ্ঞানের সমুদ্র থেকে ঠিক ততটুকু জ্ঞানই অর্জন করেছি। নৌকায় উঠেই খিযির কুড়ালের সাহায্যে নৌকার একটি তক্তা তুলে ফেললেন। এতে মূসা স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি বললেনঃ আপনি কি করলেন? তারা আমাদেরকে বিনা ভাড়ায় (পয়সায়) নৌকায় তুলে নিয়েছে আর আপনি তাদের নৌকা ভেঙ্গে দিলেন, যাতে সবাই ডুবে যায়। আপনি অতি মন্দ কাজ করলেন। খিযির বললেনঃ আমি কি পূর্বেই আপনাকে বলি নি যে, আপনি আমার সাথে ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না? তখন মূসা (আঃ) যুক্তি পেশ করে বললেনঃ আমার ভুলের কারণে আপনি আমাকে দোষারোপ করবেন না। আমার প্রতি কঠোরতা প্রদর্শন করবেন না। প্রথম সমস্যাটি হয়েছিল মূসা (আঃ)এর ভুলের কারণে।
তাঁরা নৌকা থেকে নেমে সমুদ্রের কুল ধরে চলতে লাগলেন। হঠাৎ খিযির একটি বালককে অন্যান্য বালকের সাথে খেলা করতে দেখলেন। খিযির স্ব-হস্তে বালকটির মস্তক তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেললেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ আপনি একটি নিষ্পাপ প্রাণকে বিনা অপরাধে হত্যা করেছেন। আপনি নিঃসন্দেহে একটি অপছন্দনীয় কাজ করেছেন। খিযির বললেনঃ আমি পূর্বেই বলেছিলামঃ আপনি ধৈর্য ধারণ করতে পারবেন না। (মূসা (আঃ) দেখলেন, এব্যাপারটি পূর্বাপেক্ষা গুরুতর) তাই বললেনঃ এরপর যদি কোন প্রশ্ন করি, তবে আপনি আমাকে পৃথক করে দিবেন। আমার আপত্তি চূড়ান্ত হয়ে গেছে।
অতঃপর তাঁরা আবার চলতে লাগলেন। এক গ্রামের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁরা গ্রামবাসীর কাছে খাবার চাইলেন। ওরা মেহমানদারী করতে সোজা অস্বীকার করল। খিযির এই গ্রামে একটি পুরাতন প্রাচীর দেখলেন, যা উল্টে পড়ার উপক্রম হয়ে গিয়েছিল। তিনি নিজ হাতে প্রাচীরটিকে সোজা করে দিলেন। মূসা (আঃ) বললেনঃ আমরা তাদের কাছে খাবার চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করল। অথচ আপনি তাদের বড় একটি কাজ করে দিলেন। ইচ্ছা করলে আপনি এর পারিশ্রমিক তাদের কাছ থেকে আদায় করতে পারতেন। খিযির বললেনঃ এখন শর্ত পূরণ হয়ে গেছে। এটাই আমার ও আপনার মাঝে বিচ্ছেদের সময়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা মূসার উপর রহমত নাযিল করুন। আমাদের আকাঙ্খা ছিল, তিনি যদি ধৈর্য ধারণ করে আরো কিছু সময় থাকতে পারতেন, তাহলে তাদের আরও কিছু ঘটনা আল্লাহ আমাদের কাছে বর্ণনা করতেন।
টিকাঃ সূরা কাহাফে ঘটনার বিবরণ এভাবে এসেছে যে, নৌকাটির ব্যাপার, সেটি ছিল কয়েকজন দরিদ্র ব্যক্তির। তারা সমুদ্রে জীবিকা অন্বেষণ করত। আমি ইচ্ছা করলাম যে, সেটিকে ত্রুটিযুক্ত করে দেই। তাদের অপরদিকে ছিল এক বাদশাহ। সে বল প্রয়োগে প্রত্যেকটি নৌকা ছিনিয়ে নিত। বালকটির ব্যাপার - তার পিতা-মাতা ছিল ঈমানদার। আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে অবাধ্যতা ও কুফর দ্বারা তাদেরকে প্রভাবিত করবে। অতঃপর আমি ইচ্ছা করলাম যে, তাদের প্রতিপালক তাদেরকে তার চাইতে পবিত্রতায় ও ভালবাসায় ঘনিষ্ঠতর একটি শ্রেষ্ঠ সন্তান দান করুক। প্রাচীরের ব্যাপার- সেটি ছিল নগরের দু’জন পিতৃহীন বালকের। এর নীচে ছিল তাদের গুপ্তধন এবং তাদের পিতা ছিল সৎকর্মপরায়ণ। সুতরাং আপনার প্রতিপালক দয়াবশতঃ ইচ্ছা করলেন যে, তারা যৌবনে পদার্পণ করুক এবং নিজেদের গুপ্তধন নিজেরাই উদ্ধার করুক। আমি নিজ মতে এটা করিনি। আপনি যে বিষয়ে ধৈর্যধারণ করতে অক্ষম হয়েছিলেন, এই হল তার ব্যাখ্যা।
باب مَا يُسْتَحَبُّ لِلْعَالِمِ إِذَا سُئِلَ أَىُّ النَّاسِ أَعْلَمُ فَيَكِلُ الْعِلْمَ إِلَى اللَّهِ
১০৩ـ عن أُبَيِّ ابْنِ كَعْبٍ أَنَّ مُوسَى قَامَ خَطِيبًا فِى بَنِى إِسْرَائِيلَ ، فَسُئِلَ أَىُّ النَّاسِ أَعْلَمُ فَقَالَ أَنَا فَعَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِ إِذْ لَمْ يَرُدَّ الْعِلْمَ إِلَيْهِ . فَقَالَ لَهُ بَلَى لِى عَبْدٌ بِمَجْمَعِ الْبَحْرَيْنِ هُوَ أَعْلَمُ مِنْكَ . قَالَ أَىْ رَبِّ وَمَنْ لِى بِهِ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ أَىْ رَبِّ وَكَيْفَ لِى بِهِ قَالَ تَأْخُذُ حُوتًا ، فَتَجْعَلُهُ فِى مِكْتَلٍ حَيْثُمَا فَقَدْتَ الْحُوتَ فَهْوَ ثَمَّ وَرُبَّمَا قَالَ فَهْوَ ثَمَّهْ وَأَخَذَ حُوتًا فَجَعَلَهُ فِى مِكْتَلٍ ثُمَّ انْطَلَقَ هُوَ وَفَتَاهُ يُوشَعُ بْنُ نُونٍ حَتَّى أَتَيَا الصَّخْرَةَ وَضَعَا رُءُوسَهُمَا فَرَقَدَ مُوسَى وَاضْطَرَبَ الْحُوتُ فَخَرَجَ فَسَقَطَ فِى الْبَحْرِ فَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِى الْبَحْرِ سَرَبًا فَأَمْسَكَ اللَّهُ عَنِ الْحُوتِ جِرْيَةَ الْمَاءِ فَصَارَ مِثْلَ الطَّاقِ فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ بَقِيَّةَ لَيْلَتِهِمَا وَيَوْمَهُمَا ، حَتَّى إِذَا كَانَ مِنَ الْغَدِ قَالَ لِفَتَاهُ آتِنَا غَدَاءَنَا لَقَدْ لَقِينَا مِنْ سَفَرِنَا هَذَا نَصَبًا .وَلَمْ يَجِدْ مُوسَى النَّصَبَ حَتَّى جَاوَزَ حَيْثُ أَمَرَهُ اللَّهُ قَالَ لَهُ فَتَاهُ أَرَأَيْتَ إِذْ أَوَيْنَا إِلَى الصَّخْرَةِ فَإِنِّى نَسِيتُ الْحُوتَ وَمَا أَنْسَانِيهِ إِلاَّ الشَّيْطَانُ أَنْ أَذْكُرَهُ وَاتَّخَذَ سَبِيلَهُ فِى الْبَحْرِ عَجَبًا فَكَانَ لِلْحُوتِ سَرَبًا وَلَهُمَا عَجَبًا . قَالَ لَهُ مُوسَى ذَلِكَ مَا كُنَّا نَبْغِى ، فَارْتَدَّا عَلَى آثَارِهِمَا قَصَصًا ، رَجَعَا يَقُصَّانِ آثَارَهُمَا حَتَّى انْتَهَيَا إِلَى الصَّخْرَةِ ، فَإِذَا رَجُلٌ مُسَجًّى بِثَوْبٍ ، فَسَلَّمَ مُوسَى ، فَرَدَّ عَلَيْهِ فَقَالَ وَأَنَّى بِأَرْضِكَ السَّلاَمُ . قَالَ أَنَا مُوسَى . قَالَ مُوسَى بَنِى إِسْرَائِيلَ قَالَ نَعَمْ ، أَتَيْتُكَ لِتُعَلِّمَنِى مِمَّا عُلِّمْتَ رَشَدًا . قَالَ يَا مُوسَى إِنِّى عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ ، عَلَّمَنِيهِ اللَّهُ لاَ تَعْلَمُهُ وَأَنْتَ عَلَى عِلْمٍ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ عَلَّمَكَهُ اللَّهُ لاَ أَعْلَمُهُ قَالَ هَلْ أَتَّبِعُكَ قَالَ (قَالَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِيَ صَبْرًا وَكَيْفَ تَصْبِرُ عَلَى مَا لَمْ تُحِطْ بِهِ خُبْرًا قَالَ سَتَجِدُنِي إِنْ شَاءَ اللَّهُ صَابِرًا وَلا أَعْصِي لَكَ أَمْرًا قَالَ فَإِنِ اتَّبَعْتَنِي فَلا تَسْأَلْنِي عَنْ شَيْءٍ حَتَّى أُحْدِثَ لَكَ مِنْهُ ذِكْرًا) فَانْطَلَقَا يَمْشِيَانِ عَلَى سَاحِلِ الْبَحْرِ فَمَرَّتْ بِهِمَا سَفِينَةٌ كَلَّمُوهُمْ أَنْ يَحْمِلُوهُمْ ، فَعَرَفُوا الْخَضِرَ فَحَمَلُوهُ بِغَيْرِ نَوْلٍ ، فَلَمَّا رَكِبَا فِى السَّفِينَةِ جَاءَ عُصْفُورٌ ، فَوَقَعَ عَلَى حَرْفِ السَّفِينَةِ ، فَنَقَرَ فِى الْبَحْرِ نَقْرَةً أَوْ نَقْرَتَيْنِ ، قَالَ لَهُ الْخَضِرُ يَا مُوسَى مَا نَقَصَ عِلْمِى وَعِلْمُكَ مِنْ عِلْمِ اللَّهِ إِلاَّ مِثْلَ مَا نَقَصَ هَذَا الْعُصْفُورُ بِمِنْقَارِهِ مِنَ الْبَحْرِ إِذْ أَخَذَ الْفَأْسَ فَنَزَعَ لَوْحًا ، قَالَ فَلَمْ يَفْجَأْ مُوسَى إِلاَّ وَقَدْ قَلَعَ لَوْحًا بِالْقَدُّومِ . فَقَالَ لَهُ مُوسَى مَا صَنَعْتَ قَوْمٌ حَمَلُونَا بِغَيْرِ نَوْلٍ ، عَمَدْتَ إِلَى سَفِينَتِهِمْ فَخَرَقْتَهَا لِتُغْرِقَ أَهْلَهَا ، لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا إِمْرًا . قَالَ أَلَمْ أَقُلْ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِىَ صَبْرًا قَالَ لاَ تُؤَاخِذْنِى بِمَا نَسِيتُ وَلاَ تُرْهِقْنِى مِنْ أَمْرِى عُسْرًا فَكَانَتِ الأُولَى مِنْ مُوسَى نِسْيَانًا فَلَمَّا خَرَجَا مِنَ الْبَحْرِ مَرُّوا بِغُلاَمٍ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ ، فَأَخَذَ الْخَضِرُ بِرَأْسِهِ فَقَلَعَهُ بِيَدِهِ فَقَالَ لَهُ مُوسَى أَقَتَلْتَ نَفْسًا زَكِيَّةً بِغَيْرِ نَفْسٍ لَقَدْ جِئْتَ شَيْئًا نُكْرًا قَالَ أَلَمْ أَقُلْ لَكَ إِنَّكَ لَنْ تَسْتَطِيعَ مَعِىَ صَبْرًا . قَالَ إِنْ سَأَلْتُكَ عَنْ شَىْءٍ بَعْدَهَا فَلاَ تُصَاحِبْنِى ، قَدْ بَلَغْتَ مِنْ لَدُنِّى عُذْرًا فَانْطَلَقَا حَتَّى إِذَا أَتَيَا أَهْلَ قَرْيَةٍ اسْتَطْعَمَا أَهْلَهَا فَأَبَوْا أَنْ يُضَيِّفُوهُمَا فَوَجَدَا فِيهَا جِدَارًا يُرِيدُ أَنْ يَنْقَضَّ فَأقَامَهُ بِيَدِهِ قَالَ قَوْمٌ أَتَيْنَاهُمْ فَلَمْ يُطْعِمُونَا وَلَمْ يُضَيِّفُونَا عَمَدْتَ إِلَى حَائِطِهِمْ لَوْ شِئْتَ لاَتَّخَذْتَ عَلَيْهِ أَجْرًا قَالَ هَذَا فِرَاقُ بَيْنِى وَبَيْنِكَ سَأُنَبِّئُكَ بِتَأْوِيلِ مَا لَمْ تَسْتَطِعْ عَلَيْهِ صَبْرًا قَالَ النَّبِىُّ صلى الله عليه وسلم্র وَدِدْنَا أَنَّ مُوسَى كَانَ صَبَرَ فَقَصَّ اللَّهُ عَلَيْنَا مِنْ خَبَرِهِمَ
ইসলামিক সেন্টারঃ ১২০
When a religious learned man is asked, "Who is the most learned person." it is better for him to attribute or entrust absolute knowledge to Allah 'Azza wa Jall and to say. "Allah is the Most Learned (than anybody else)"
Narrated Ubai bin Ka`b:
The Prophet (ﷺ) said, "Once the Prophet (ﷺ) Moses stood up and addressed Bani Israel. He was asked, "Who is the most learned man amongst the people. He said, "I am the most learned." Allah admonished Moses as he did not attribute absolute knowledge to Him (Allah). So Allah inspired to him "At the junction of the two seas there is a slave amongst my slaves who is more learned than you." Moses said, "O my Lord! How can I meet him?" Allah said: Take a fish in a large basket (and proceed) and you will find him at the place where you will lose the fish. So Moses set out along with his (servant) boy, Yusha` bin Noon and carried a fish in a large basket till they reached a rock, where they laid their heads (i.e. lay down) and slept. The fish came out of the basket and it took its way into the sea as in a tunnel. So it was an amazing thing for both Moses and his (servant) boy. They proceeded for the rest of that night and the following day. When the day broke, Moses said to his (servant) boy: "Bring us our early meal. No doubt, we have suffered much fatigue in this journey." Moses did not get tired till he passed the place about which he was told. There the (servant) boy told Moses, "Do you remember when we betook ourselves to the rock, I indeed forgot the fish." Moses remarked, "That is what we have been seeking. So they went back retracing their footsteps, till they reached the rock. There they saw a man covered with a garment (or covering himself with his own garment). Moses greeted him. Al-Khadir replied saying, "How do people greet each other in your land?" Moses said, "I am Moses." He asked, "The Moses of Bani Israel?" Moses replied in the affirmative and added, "May I follow you so that you teach me of that knowledge which you have been taught." Al-Khadir replied, "Verily! You will not be able to remain patient with me, O Moses! I have some of the knowledge of Allah which He has taught me and which you do not know, while you have some knowledge which Allah has taught you which I do not know." Moses said, "Allah willing, you will find me patient and I will disobey no order of yours. So both of them set out walking along the seashore, as they did not have a boat. In the meantime a boat passed by them and they requested the crew of the boat to take them on board. The crew recognized Al-Khadir and took them on board without fare. Then a sparrow came and stood on the edge of the boat and dipped its beak once or twice in the sea. Al-Khadir said: "O Moses! My knowledge and your knowledge have not decreased Allah's knowledge except as much as this sparrow has decreased the water of the sea with its beak." Al- Khadir went to one of the planks of the boat and plucked it out. Moses said, "These people gave us a free lift but you have broken their boat and scuttled it so as to drown its people." Al-Khadir replied, "Didn't I tell you that you will not be able to remain patient with me." Moses said, "Call me not to account for what I forgot." The first (excuse) of Moses was that he had forgotten. Then they proceeded further and found a boy playing with other boys. Al-Khadir took hold of the boy's head from the top and plucked it out with his hands (i.e. killed him). Moses said, "Have you killed an innocent soul who has killed none." Al-Khadir replied, "Did I not tell you that you cannot remain patient with me?" Then they both proceeded till when they came to the people of a town, they asked them for food, but they refused to entertain them. Then they found there a wall on the point of collapsing. Al-Khadir repaired it with his own hands. Moses said, "If you had wished, surely you could have taken wages for it." Al-Khadir replied, "This is the parting between you and me." The Prophet added, "May Allah be Merciful to Moses! Would that he could have been more patient to learn more about his story with Al-Khadir. "