পরিচ্ছেদঃ
ذِكْرُ وَصْفِ الْعُلَمَاءِ الَّذِينَ لَهُمُ الْفَضْلُ الَّذِي ذكرنا قبل
আমরা যাদের কথা উল্লেখ করেছি, সেই সকল আলিমগণের মর্যাদার বিবরণ সম্পর্কেঃ
৮৮. কাসীর ইবনু কায়স (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি আবূ দারদা (রাঃ)-এর সঙ্গে দামেশকের মসজিদে বসে ছিলাম। তখন তার নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, হে আবূ দারদা! আমি একটি হাদীসের জন্য সুদূর মদীনাতুর রাসূল থেকে এসেছি। আমি জানতে পেরেছি যে, আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে হাদীস বর্ণনা করেন। আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, তুমি কি কোন প্রয়োজনে এসেছ? কিংবা তুমি কোন ব্যবসা-বানিজ্যের উদ্দেশ্যে এসেছ? নাকি কেবল এ হাদীসটি (শোনার) জন্যই এসেছ? সে বলল, হাঁ (হাদীসটি শোনার জন্য এসেছি)। আবূ দারদা (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি জ্ঞানার্জনের জন্য কোনো পথ অবলম্বন করে, আল্লাহ তার পরিবর্তে তাকে জান্নাতের পথসমূহের মধ্যে কোনো একটি পথে পৌঁছে দেন।
ফিরিশতারা জ্ঞান অন্বেষণকারীর সন্তুষ্টির জন্য নিজেদের ডানা বিছিয়ে দেন। আলিমের (জ্ঞানীর) জন্য আসমান ও যমীনে যারা আছে তারা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমন কি পানির গভীরে বসবাসকারী মাছও। আবেদ (সাধারণ ইবাদাতগুজারী) ব্যক্তির উপর ’আলিমের মর্যাদা হলো যেমন সমস্ত তারকার উপর পূর্ণিমার চাঁদের মর্যাদা। আলিমগণ হলেন নবীগণের ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী)। নবীগণ কোনো দীনার বা দিরহাম মীরাসরূপে রেখে যান না; তারা উত্তরাধিকার সূত্রে রেখে যান শুধু ইলম। সুতরাং যে ইলম অর্জন করেছে সে পূর্ণ অংশ লাভ করেছে।[1]
আবূ হাতিম (ইবনু হিব্বান) রহ. বলেনঃ এ সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে যে, যেসকল উলামাগণের ফযীলত রয়েছে, যাদের কথা আমরা বর্ণনা করে এসেছি, তারা হলেন এমন লোক যারা কেবল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইলম শিক্ষা দান করেন, অন্যান্য জ্ঞান-বিজ্ঞান নয়। তুমি কি তাঁর একথা শোনোনিঃ আলিমগণ হলেন নবীগণের ওয়ারিস (উত্তরাধিকারী)”? আর নাবীগণ তো ইলম ছাড়া কিছুই মীরাস হিসেবে রেখে যাননি। আর আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইলম হলো তাঁর সুন্নাহ। ফলে যে এর পরিচয় লাভ থেকে বঞ্চিত হয়, সে কখনো নবীগণের ওয়ারিস হতে পারে না।
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ الثَّقَفِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ الْخُرَيْبِيُّ قَالَ: سَمِعْتُ عَاصِمَ بْنَ رَجَاءِ بْنِ حَيْوَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ جَمِيلٍ عَنْ كَثِيرِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ:
كُنْتُ جَالِسًا مَعَ أَبِي الدَّرْدَاءِ فِي مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَأَتَاهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا الدَّرْدَاءِ إِنِّي أَتَيْتُكَ مِنْ مَدِينَةِ الرَّسُولِ فِي حَدِيثٍ بَلَغَنِي أَنَّكَ تحدِّثه عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فقال أبو الدرادء: أَمَا جِئْتَ لِحَاجَةٍ أَمَا جِئْتَ لِتِجَارَةٍ أَمَا جِئْتَ إِلَّا لِهَذَا الْحَدِيثِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:
(مَنْ سَلَكَ طَرِيقًا يَطْلُبُ فِيهِ عِلْمًا سَلَكَ اللَّهُ بِهِ طَرِيقًا مِنْ طُرُقِ الْجَنَّةِ [ص: 204] وَالْمَلَائِكَةُ تَضَعُ أَجْنِحَتَهَا رِضًا لِطَالِبِ الْعِلْمِ وَإِنَّ الْعَالِمَ يَسْتَغْفِرُ لَهُ مَنْ فِي السَّمَاوَاتِ وَمَنْ فِي الْأَرْضِ وَالْحِيتَانُ فِي الْمَاءِ وَفَضْلُ الْعَالِمِ عَلَى الْعَابِدِ كَفَضْلِ الْقَمَرِ لَيْلَةَ الْبَدْرِ عَلَى سَائِرِ الْكَوَاكِبِ إِنَّ الْعُلَمَاءَ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ إِنَّ الْأَنْبِيَاءَ لَمْ يُوَرِّثُوا دِينَارًا وَلَا دِرْهَمًا وَأَوْرَثُوا الْعِلْمَ فَمَنْ أَخَذَهُ أَخَذَ بِحَظٍّ وَافِرٍ)
= [2: 1]
[تعليق الشيخ الألباني]
حسن – ((التعليق الرغيب)) (1/ 53).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: فِي هَذَا الْحَدِيثِ بَيَانٌ وَاضِحٌ أَنَّ الْعُلَمَاءَ الَّذِينَ لَهُمُ الْفَضْلُ الَّذِي ذَكَرْنَا: هُمُ الَّذِينَ يُعَلِّمُونَ عِلْمَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دُونَ غَيْرِهِ مِنْ سَائِرِ الْعُلُومِ أَلَا تَرَاهُ يَقُولُ: (الْعُلَمَاءُ وَرَثَةُ الْأَنْبِيَاءِ) وَالْأَنْبِيَاءُ لَمْ يُوَرِّثُوا إِلَّا الْعِلْمَ وعلمُ نَبِيِّنَا صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُنَّتُه فَمَنْ تعرَّى عَنْ مَعْرِفَتِهَا لَمْ يَكُنْ مِنْ وَرَثَةِ الْأَنْبِيَاءِ
الحديث: 88 ¦ الجزء: 1 ¦ الصفحة: 203
আরনাউত্ব: হাসান।
তাখরীজ: আবূ দাউদ ৩৬৪১; ইবনু মাজাহ ২২৩; তিরমিযী ২৬৮২; আহমাদ ৫/১৯৬।