পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইয়ামান ও শাম (সিরিয়া) দেশের বর্ণনা এবং উওয়াইস করানী-এর আলোচনা
৬২৮১-[১৬] আবূদ দারদা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: (দাজ্জাল ও তার বাহিনীর সাথে) যুদ্ধের দিন মুসলিমদের সমবেত স্থান (দুর্গ) হবে ’গূত্বাহ্। তা দামিশক শহরের এক কিনারায় অবস্থিত। মূলত সিরিয়ার শহরসমূহের মাঝে দিমাশকই সর্বোত্তম শহর। (আবূ দাউদ)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ ( بَاب تَسْمِيَة من سمي من أهل الْبَدْر فِي «الْجَامِعِ لِلْبُخَارِيِّ» )
وَعَنْ أَبِي الدَّرْدَاءِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ فُسْطَاطَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَ الْمَلْحَمَةِ بِالْغُوطَةِ إِلَى جَانِبِ مَدِينَةٍ يُقَالُ لَهَا: دِمَشْقُ مِنْ خَيْرِ مَدَائِنِ الشَّامِ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
اسنادہ صحیح ، رواہ ابوداؤد (4298) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: (بِالْغُوطَةِ) যেখানে অনেক গাছপালা ও পানি বিদ্যমান রয়েছে। আলকামী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীসের শেষ যামানায় দিমাশকের মর্যাদা ও তথাকার অধিবাসীর মর্যাদা প্রমাণিত হয়েছে। এ স্থান ফিতনাহ্ থেকে রক্ষা পাওয়ার দুর্গ স্বরূপ।
‘আযীযী শরহে জামিউস্ সগীর গ্রন্থে উল্লেখ করেন, ইবনু আসাকির বলেন, এর অন্যতম ফযীলত হলো যে, এখানে দশ হাজার প্রহরী প্রবেশ করবেন, যারা নবী (সা.) -কে দেখেছেন। নবী (সা.) সেখানে নুবুওয়্যাতের আগে প্রবেশ করেছেন। আর পরে তাবুক যুদ্ধের সময় মিরাজের রাত্রিতে প্রবেশ করেন। (আওনুল মাবুদ হা. ২৪৯৮, “জামিউল কিতাবিত্ তিস্'আহ্” এ্যাপ)
(يَوْمَ الْمَلْحَمَةِ) বলতে দাজ্জালের সাথে যুদ্ধকে বুঝানো হয়েছে। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৯৬)