৬২৭৫

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইয়ামান ও শাম (সিরিয়া) দেশের বর্ণনা এবং উওয়াইস করানী-এর আলোচনা

৬২৭৫-[১০] আবদুল্লাহ ইবনু ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, অদূর ভবিষ্যতে এক হিজরতের পর আরেকটি হিজরত সংঘটিত হবে। তখন উত্তম মানুষ তারাই হবে, যারা ঐ স্থানে হিজরত করবে, যে স্থানে (সিরিয়ায়) ইবরাহীম (আঃ) হিজরত করেছিলেন। অপর এক বর্ণনাতে আছে, এ ধরাপৃষ্ঠে তারাই সর্বোত্তম যারা ইবরাহীম (আঃ)-এর হিজরতের স্থানকে নিজেদের হিজরত স্থান বানাবে। এ সময় ধরাপৃষ্ঠে শুধুমাত্র খারাপ লোকেরাই অবশিষ্ট থাকবে। তাদেরকে তাদের দেশ বিতাড়িত করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে অপছন্দ করবেন। (অতঃপর) একটি আগুন তাদেরকে বানর ও শূকরের দলসহ হাঁকিয়ে নিয়ে যাবে। তারা যেখানে রাত্রিযাপন করবে, আগুনও সেখানে রাত্র কাটাবে এবং তারা যেখানে দ্বিপ্রহরে বিশ্রাম নিবে, আগুনও সেখানে বিশ্রাম নিবে। (আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ ( بَاب تَسْمِيَة من سمي من أهل الْبَدْر فِي «الْجَامِعِ لِلْبُخَارِيِّ» )

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهَا سَتَكُونُ هِجْرَةٌ بَعْدَ هِجْرَةٍ فَخِيَارُ النَّاسِ إِلَى مُهَاجَرِ إِبْرَاهِيمَ» . وَفِي رِوَايَةٍ: «فَخِيَارُ أَهْلِ الْأَرْضِ أَلْزَمُهُمْ مُهَاجَرَ إِبْرَاهِيمَ وَيَبْقَى فِي الْأَرْضِ شِرَارُ أَهْلِهَا تَلْفِظُهُمْ أَرَضُوهُمْ تَقْذَرُهُمْ نَفْسُ الله تَحْشُرهُمْ النَّارُ مَعَ الْقِرَدَةِ وَالْخَنَازِيرِ تَبِيتُ مَعَهُمْ إِذَا بَاتُوا وَتَقِيلُ مَعَهُمْ إِذَا قَالُوا» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد

حسن ، رواہ ابوداؤد (2482)

وعن عبد الله بن عمرو بن العاص قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «انها ستكون هجرة بعد هجرة فخيار الناس الى مهاجر ابراهيم» . وفي رواية: «فخيار اهل الارض الزمهم مهاجر ابراهيم ويبقى في الارض شرار اهلها تلفظهم ارضوهم تقذرهم نفس الله تحشرهم النار مع القردة والخنازير تبيت معهم اذا باتوا وتقيل معهم اذا قالوا» . رواه ابو داود حسن ، رواہ ابوداؤد (2482)

ব্যাখ্যা: (هِجْرَةٌ بَعْدَ هِجْرَةٍ) খত্তাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, দ্বিতীয় হিজরত থেকে উদ্দেশ্য হলো শামের হিজরত করা। শাম দেশে অবস্থান করার জন্য এখানে উৎসাহ দেয়া হয়েছে। এটা ইবরাহীম (আঃ)-এর হিজরতের স্থান।
(تَقْذَرُهُمْ نَفْسُ الله) খত্তাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এর ব্যাখ্যা হলো, আল্লাহ তা'আলা তাদের সেখানে যাওয়ার উদ্দেশ্য বের হওয়া এবং তথায় অবস্থান করাকে অপছন্দ করেন। সে কারণে আল্লাহ তাদেরকে সে ক্ষমতা দেন না। এতে তারা মানুষ যা অপছন্দ করে এবং বিরত থাকে তা গ্রহণ না করার উপযুক্ত হয়ে যায় ও বাদ পড়ে যায়।
নিহায়ায় রয়েছে, যখন কোন বস্তুকে অপছন্দ করা হয় এবং তা থেকে বিরত থাকে তখন বলা হয় ()। ('আওনুল মা'বুদ - “জামিউল কিতাবিত্ তিস্'আহ” এ্যাপ, হা. ২৪৮২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)