পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২৪১-[৪৬] হুযায়ফাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবায়ি কিরামগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যদি (আপনার জীবদ্দশায় কাউকে) একজন খলীফাহ্ নিযুক্ত করতেন। তিনি (সা.) বললেন, আমি যদি কাউকে তোমাদের ওপর খলীফাহ্ নিযুক্ত করি আর তোমরা তার বিরুদ্ধাচরণ কর, তাহলে তোমরা শাস্তি ভোগ করবে। হুযায়ফাহ্ তোমাদেরকে যা বলে, তা সত্য মনে করো এবং আবদুল্লাহ (ইবনু মাউদ) যা কিছু তোমাদেরকে পড়ায় তোমরা তা পড়। (তিরমিযী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)
وَعَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوِ اسْتَخْلَفْتَ؟ قَالَ: «إِنِ اسْتَخْلَفْتُ عَلَيْكُمْ فَعَصَيْتُمُوهُ عُذِّبْتُمْ وَلَكِنْ مَا حَدَّثَكُمْ حُذَيْفَةُ فَصَدِّقُوهُ وَمَا أقرأكم عبد الله فاقرؤوه» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3812 وقال : حسن) * فیہ ابو الیقظان عثمان بن عمیر : ضعیف و شریک القاضی مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা: (لَوِ اسْتَخْلَفْتَ) ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (لَوِ) হরফটি আকাঙ্ক্ষা অর্থে ব্যবহার হয়েছে। অর্থাৎ (ليتنا) (যদি আমাদের জন্য হত)। অথবা (امْتِنَاعِيَّة) বিরত থাকা অর্থে ব্যবহৃত। যেন নবী (সা.) বলেছেন যে, গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরী হলো, তোমরা আমার নিকট খলীফাহ্ নির্বাচনের আবেদন করো না। কারণ তা তোমাদের সম্মতি ও ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে। এর জবাব উহ্য রয়েছে। যথা- (لَكَانَ خَيْرًا)
(عُذِّبْتُمْ) التَّعْذِيبِ মাসদার থেকে মাজহূলের সীগাহ। ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, (عُذِّبْتُمْ) হচ্ছে শর্তের জবাব। তখন জবাব হবে (فَعَصَيْتُمُوهُ)। তবে প্রথম নীতি ঠিক হবে যেমনটি দ্বিতীয়টি দাবী করে। আর তা হলো খলীফাহ্ নির্বাচন করাটা গুনাহের কারণ হবে। এর অর্থ হলো, খলীফাহ্ নির্বাচনের পরে গুনাহ হয়ে গেলে সেটা শাস্তির কারণ হবে। (وَلَكِنْ مَا حَدَّثَكُمْ حُذَيْفَةُ فَصَدِّقُوهُ وَمَا أقرأكم عبد الله فاقرؤوه) অর্থাৎ, জ্ঞানগর্ভ নীতি। কারণ তিনি জবাব দানে অধিক অভিজ্ঞ ছিলেন। যেন এ কথা বলা যে, আমার খলীফাহ্ নির্বাচনের বিষয়টি তোমাদেরকে চিন্তায় না ফেলে। অতএব এটা ছাড়ো। তবে তোমাদেরকে যেন কিতাব ও সুন্নাতের প্রতি আমল চিন্তিত করে। অতএব এ দুটোকে মজবুতভাবে ধারণ কর। আর বিশেষভাবে হুযায়ফাহ্ (রাঃ) উল্লেখ করেছেন, কারণ তিনি রাসূল (সা.) -এর সহস্যবিদ এবং দুনিয়াবী ফিতনাহ্ থেকে ভীতি প্রদর্শনকারী। আবদুল্লাহ ইবনু মা'উদ (রাঃ) হলেন পরকালের অবস্থা সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শনকারী।
কারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অধিক স্পষ্ট ব্যাপার হলো, এটা পূর্বের অর্থের সংশোধনী। যার অর্থ এ রকম (مَا أَسْتَخْلِفُ عَلَيْكُمْ أَحَدًا وَلَكِنْ إِلَخْ)। এখানে উক্ত দু’জন সাহাবীকে বিশেষভাবে উল্লেখের কারণ হলো তাঁরা দু’জন আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফতের সাক্ষী। এতে খিলাফতের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে, ইবাদাতের প্রতি নয়। যাতে করে শাস্তি ওয়াজিবকারী গুনাহ দ্বিতীয়টির সাথে সাব্যস্ত না হয়। যা প্রথমটির বিপরীত। কারণ সেটা ইজতিহাদের অবকাশ বাকী রাখে। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৮২৪, মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৭৭)