৬১৮৪

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পবিত্র স্ত্রীগণের মর্যাদা

৬১৮৪-[১] ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, মারইয়াম বিনতু ’ইমরান ছিলেন সকল নারীর মাঝে শ্রেষ্ঠ। আর খাদীজাহ্ বিনতু খুওয়াইলিদ (রাঃ) হলেন (বর্তমান উম্মতের) সমগ্র নারী সমাজের মধ্যে শ্রেয়। (বুখারী ও মুসলিম)
অপর এক বর্ণনাতে আছে- আবূ কুরায়ব (রাঃ) বলেন, বর্ণনাকারী ওয়াকী আকাশ ও জমিনের দিকে ইঙ্গিত করেন।

الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ أَزْوَاجِ)

وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «خَيْرُ نِسَائِهَا مَرْيَمُ بِنْتُ عِمْرَانَ وَخَيْرُ نِسَائِهَا خَدِيجَةُ بِنْتُ خُوَيْلِدٍ» مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَفِي رِوَايَةٍ قَالَ أَبُو كُرَيْبٍ: وَأَشَارَ وَكِيعٌ إِلَى السَّمَاء وَالْأَرْض

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3432) و مسلم (69 / 2430)، (6271) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن علي رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «خير نساىها مريم بنت عمران وخير نساىها خديجة بنت خويلد» متفق عليه وفي رواية قال ابو كريب: واشار وكيع الى السماء والارض متفق علیہ ، رواہ البخاری (3432) و مسلم (69 / 2430)، (6271) ۔ (متفق عليه)

ব্যাখ্যা: উক্ত বিষয়ে হারিস ‘উরওয়াহ্ থেকে মুরসাল সূত্রে আরো একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন। সেটি হলো যে, খাদীজাহ্ (রাঃ) তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ মহিলা। মারইয়াম তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ মহিলা। ফাতিমাহ্ তাঁর যুগের শ্রেষ্ঠ মহিলা।
ওয়াকী' এ হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, তারা আসমান জমিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ। কিন্তু অনেক ব্যাখ্যাকারী তার এই বক্তব্য সমর্থন করেননি। কারণ হলো যে, তারা জমিনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হতে পারে কিন্তু আসমানে কিভাবে শ্রেষ্ঠ হয়?
অন্যদিকে ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) তার এই ব্যাখ্যাকে সমর্থন করে বলেন, হ্যাঁ, এটিও হতে পারে। কারণ ‘আরবীতে এরূপ ব্যবহার আছে। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, (اِنَّ اللّٰهَ لَا یَخۡفٰی عَلَیۡهِ شَیۡءٌ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَا فِی السَّمَآءِ) “নিশ্চয় ভূমণ্ডলের ও নভোমণ্ডলের কোন জিনিসই আল্লাহর নিকট গোপন থাকে না”- (সূরাহ্ আ-লি ইমরান ৩: ৫)। অর্থাৎ আল্লাহর কাছে বিশ্বের কোন কিছুই গোপন থাকে না। এখানে আল্লাহর কাছে বিশ্বের কোন কিছুই গোপন থাকে না, অর্থাৎ আল্লাহ জমিনের সাথে আসমান শব্দ ব্যবহার করেছেন।
ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তারা প্রত্যেকেই তাদের সময়ের শ্রেষ্ঠ মহিলা ছিলেন। তবে তাদের মাঝে কার তুলনায় কার মর্যাদা বেশি তা জানা যায়নি। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

ফাতহুল বারীতে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে সহীহ সনদে নাসায়ীর বরাতে এ সম্পর্কে আরো একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। সেটি হলো জান্নাতবাসীদের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম মহিলা হলো খাদীজাহ্, ফাতিমাহ্, মারইয়াম ও ‘আসিয়াহ্। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খণ্ড, ৫৩০ পৃ., হা. ৩৪৩২)।

শারহুন নাবাবীতেও বলা হয়ে তারা প্রত্যেকেই ছিলেন তাদের যুগের শ্রেষ্ঠ মহিলা। তাতে এই প্রসঙ্গে আরো একটি হাদীস বর্ণনা করা হয়েছে। তা হলো রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, পুরুষের মধ্যে অনেকেই পরিপূর্ণতা লাভ করেছে, কিন্তু মহিলাদের মধ্যে শুধু মারইয়াম বিনতু ‘ইমরান এবং ফির'আওনের স্ত্রীই পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।
এ হাদীসটিকে কেন্দ্র করে কিছু লোক বলে যে, মারইয়াম এবং ‘আসিয়াহ্ নবী ছিলেন। কিন্তু না তারা কোন নবী ছিলেন না। এটি জমহুর ‘উলামার মত। (শারহুন নাবাবী ১৫শ খণ্ড, ১৭৮ পৃ., হা, ২৪৩০)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)