পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - নবী (সা.) -এর পরিবার-পরিজনদের মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬১৭৮-[৪৪] ’উকবাহ্ ইবনুল হারিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ বকর সিদ্দীক (তাঁর খিলাফতকালে) একদিন আসরের সালাতের পর বের হয়ে হাঁটছিলেন, তাঁর সাথে ’আলী (রাঃ)-ও ছিলেন। আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) দেখলেন, হাসান অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলাধুলা করছেন, তখন তিনি তাঁকে তুলে স্বীয় কাঁধে নিয়ে বললেন, আমার পিতা কুরবান হোন, ইনি তো নবী (সা.) -এর অবিকল সদৃশ, ’আলীর সাথে কোন সাদৃশ্য নেই, তখন ’আলী (রাঃ) হাসছিলেন। (বুখারী)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابِ مَنَاقِبِ أَهْلِ)
عَن عقبةَ بن الْحَارِث قَالَ: صَلَّى أَبُو بَكْرٍ الْعَصْرَ ثُمَّ خَرَجَ يَمْشِي وَمَعَهُ عَلِيٌّ فَرَأَى الْحَسَنَ يَلْعَبُ مَعَ الصِّبْيَانِ فَحَمَلَهُ عَلَى عَاتِقِهِ. وَقَالَ: بِأَبِي شَبِيهٌ بِالنَّبِيِّ لَيْسَ شَبِيهًا بِعَلِيٍّ وَعَلِيٌّ يَضْحَكُ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
رواہ البخاری (3750) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: অন্য বর্ণনায় আছে, এ হাদীসের রাবী ‘উবাহ্ ইবনুল হারিস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর মৃত্যুর পর একবার ‘আসরের সালাতের পর আমি আবূ বাকর (রাঃ)-এর সাথে বের হলাম। আর ‘আলী (রাঃ) ও আবূ বাকর (রাঃ)-এর পাশে হাঁটছিলেন। সে সময় আবূ বাকর (রাঃ) হাসান (রাঃ)-এর পাশ দিয়ে অতিক্রমকালে হাসান (রাঃ) শিশুদের সাথে খেলছিল। আবূ বাকর (রাঃ) তাকে দেখে ঘাড়ে তুলে নিয়ে বললেন, হাসান তো নবী (সা.)-এর সাথেই বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ। আলীর সাথে তো তার তেমন সাদৃশ্য নেই। এ কথা শুনে ‘আলী (রাঃ) হাসলেন।
মিরক্বাতুল মাফাতীহ প্রণেতা বলেন, এ হাদীসের মাধ্যমে রাফিযীদের দাবীকে প্রত্যাখান করা হয়েছে। কারণ তারা এই দাবী করে থাকে যে, মুহাম্মাদ (সা.) আলীর সাথে একেবারে পরিপূর্ণ সাদৃশ্যপূর্ণ ছিলেন। যেমন একটি কাক আরেকটি কাকের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ হয়ে থাকে। তাই আল্লাহ যখন জিবরীলকে ওয়াহী দিয়ে ‘আলী (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন তখন সে ভুল করে মুহাম্মাদ (সা.) -এর কাছে চলে যায় বলে তারা বিশ্বাস করে থাকে। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।