৬০৬৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - আবূ বাকর সিদ্দীক ও ‘উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৬৬-[১১] আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলল, আমি স্বপ্নে দেখেছি, আকাশ হতে যেন একটি পাল্লা অবতীর্ণ হলো। তাতে আপনাকে ও আবূ বকর (রাঃ) -কে ওযন করা হলো, এতে আপনার দিক ভারী হলো। এরপর আবূ বকর (রাঃ) এবং ’উমার (রাঃ)-কে ওযন করা হলো, এতে আবূ বকর-এর দিক ভারী হলো। এরপর ’উমার এবং উসমান (রাঃ)-কে ওযন করা হলো, এতে ’উমার -এর পাল্লা ভারী হলো। অতঃপর পাল্লাটি উঠিয়ে নেয়া হলো। (বর্ণনাকারী বলেন) এ কথাটি শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) চিন্তিত হয়ে পড়লেন। অর্থাৎ এ স্বপ্নের ঘটনা রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে দুশ্চিন্তায় ফেলে দিল। অতঃপর তিনি (সা.) বললেন, এটা খিলাফতে নুবুওয়্যাত, তারপর আল্লাহ তা’আলা যাকে চাবেন, রাজত্ব দান করবেন। (তিরমিযী ও আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابِ مَنَاقِبِ أَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا)

إِن سلم من عنعنة الْحسن الْبَصْرِيّ) وَعَن أبي بكرَة أَنَّ رَجُلًا قَالَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَأَيْتُ كَأَنَّ مِيزَانًا نَزَلَ مِنَ السَّمَاءِ فَوُزِنْتَ أَنْتَ وَأَبُو بَكْرٍ فَرَجَحْتَ أَنْتَ وَوُزِنَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ فَرَجَحَ أَبُو بَكْرٍ وَوُزِنَ عُمَرُ وَعُثْمَانُ فَرَجَحَ عُمَرُ ثُمَّ رُفِعَ الْمِيزَانُ فَاسْتَاءَ لَهَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَعْنِي فَسَاءَهُ ذَلِكَ. فَقَالَ: «خِلَافَةُ نُبُوَّةٍ ثُمَّ يُؤْتِي اللَّهُ الْمُلْكَ مَنْ يَشَاءُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2287 وقال : حسن صحیح) و ابوداؤد (4634) * الحسن البصری مدلس و عنعن

ان سلم من عنعنة الحسن البصري) وعن ابي بكرة ان رجلا قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: رايت كان ميزانا نزل من السماء فوزنت انت وابو بكر فرجحت انت ووزن ابو بكر وعمر فرجح ابو بكر ووزن عمر وعثمان فرجح عمر ثم رفع الميزان فاستاء لها رسول الله صلى الله عليه وسلم يعني فساءه ذلك. فقال: «خلافة نبوة ثم يوتي الله الملك من يشاء» . رواه الترمذي وابو داود سندہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2287 وقال : حسن صحیح) و ابوداؤد (4634) * الحسن البصری مدلس و عنعن

ব্যাখ্যা: (فَرَجَحَ عُمَرُ ثُمَّ رُفِعَ الْمِيزَانُ) দাড়িপাল্লা উঠিয়ে নেয়ার ব্যাখ্যা হলো ধারাবাহিক বিষয়ের অবনতি ঘটার জন্য এবং ‘উমার (রাঃ)-এর খিলাফতকালের পর হতে ফিতনার আবির্ভাব ঘটার প্রতি ইঙ্গিত। উসমান ও ‘আলী (রাঃ) মাপা হয়নি, কেননা আলী (রাঃ) -এর খিলাফত নিয়ে সাহাবীরা দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কেউ ছিলেন আলী (রাঃ)-এর সাথে, আবার কেউ মু'আবিয়াহ্ (রাঃ)-এর সাথে, অর্থাৎ খিলাফতের কোন স্থিরতা ছিল না। ইবনু মালিক (রহিমাহুল্লাহ) উক্ত কথাগুলো তুলে ধরেন। তূরিবিশতী (রহিমাহুল্লাহ)-ও এরূপ বলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)