৬০৪৬

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - উমার ফারূক (রাঃ)-এর মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬০৪৬-[১২] জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন ’উমার (রাঃ) আবূ বকর (রাঃ)-কে ডেকে বললেন, হে সর্বোত্তম মানুষ রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর পর। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, যদি তুমি আমার সম্পর্কে এ কথা বল, তবে তুমি জেনে রাখ যে, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ’উমার অপেক্ষা উত্তম কোন লোকের ওপর সূর্য উদিত হয়নি।
[ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ ( بَاب مَنَاقِب عمر)

وَعَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ عُمَرُ لِأَبِي بَكْرٍ: يَا خَيْرَ النَّاسِ بَعْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَمَا إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ ذَلِكَ فَلَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ عَلَى رَجُلٍ خَيْرٍ مِنْ عُمَرَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3684) * فیہ عبداللہ الواسطی : ضعیف و شیخہ : مجھول و الحدیث ضعفہ الذھبی جدًا بقولہ :’’ و الحدیث شبہ الموضوع ‘‘ ۔
(بَاطِل)

وعن جابر قال: قال عمر لابي بكر: يا خير الناس بعد رسول الله صلى الله عليه وسلم. فقال ابو بكر: اما انك ان قلت ذلك فلقد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: «ما طلعت الشمس على رجل خير من عمر» رواه الترمذي وقال: هذا حديث غريب اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (3684) * فیہ عبداللہ الواسطی : ضعیف و شیخہ : مجھول و الحدیث ضعفہ الذھبی جدا بقولہ :’’ و الحدیث شبہ الموضوع ‘‘ ۔ (باطل)

ব্যাখ্যা: (إِنَّكَ إِنْ قُلْتَ ذَلِكَ) আবূ বাকর (রাঃ) বললেন, যখন তুমি আমাকে এরূপ কথা বললে এবং সমস্ত মানুষের মধ্যে আমার শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরলে তখন আমিও তোমাকে অনুরূপ প্রতিদান দিব, অর্থাৎ সুসংবাদ দিয়ে যে, আমিও রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি যে, এমন কোন লোকের ওপর সূর্য উদিত হয়নি। যে, সে ‘উমার (রাঃ) থেকে উত্তম হবে।
ইমাম মানাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, অচিরেই তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ হবেন আগত কিছু সময়ের জন্য। সে সময় হলো খিলাফত অধিষ্ঠিত হওয়া থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত, কেননা তখন তিনিই হবেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব।
(مَا طَلَعَتِ الشَّمْسُ عَلَى رَجُلٍ خَيْرٍ مِنْ عُمَرَ) মুল্লা ‘আলী আল ক্বারী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এটা হতে পারে যে, তিনি তার খিলাফতকালে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি হবেন। এটাও সম্ভব যে, এখানে শর্ত করা হয়েছে আবূ বাকর (রাঃ)-এর পরে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি অথবা এর দ্বারা উদ্দেশ্য ন্যায়পরায়ণতা বা রাজনীতির ক্ষেত্রে তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ।
একই সাথে সংবাদ ও অস্বীকার এ ব্যাপারে তিনি কুরআন হতে একটি উদাহরণ পেশ করেছেন। আল্লাহ বলেন, (وَ مَا بِکُمۡ مِّنۡ نِّعۡمَۃٍ فَمِنَ اللّٰهِ) “যে নি'আমাতই তোমরা পেয়েছ তাতো আল্লাহর নিকট হতেই”- (সূরাহ আন্ নাহল ১৬: ৫৩)।
লুম'আতে তিনি বলেন, শ্রেষ্ঠ হওয়ার দিক বিভিন্ন ধরনের ও প্রকারের হয়ে থাকে, আবূ বাকর (রাঃ) এর সাওয়াব বেশি হওয়ার দিক থেকে শ্রেষ্ঠ; তাই এর অর্থ এই নয় যে, তারা উভয়ে শ্রেষ্ঠ নয় বরং প্রত্যেকে স্ব স্ব স্থানে শ্রেষ্ঠ। (তুহফাতুল আহওয়াযী হা. ৩৬৯৩, মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)