৫৯৮১

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - কুরায়শ ও অন্যান্য গোত্রসমূহের গুণাবলি

৫৯৮১-[৩] ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: এ দায়িত্ব (শাসন-কর্তৃত্ব) কুরায়শদের মাঝে থাকবে, যতদিন (দুনিয়াতে) তাদের দু’জন লোকও অবশিষ্ট থাকে। (বুখারী ও মুসলিম)

الفصل الاول (بَابُ مَنَاقِبِ قُرَيْشٍ وَذِكْرِ الْقَبَائِلِ)

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «لَا يَزَالُ هَذَا الْأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنْهُمُ اثْنَان» . مُتَّفق عَلَيْهِ

متفق علیہ ، رواہ البخاری (3501) و مسلم (4 / 1820)، (4704) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)

وعن ابن عمر ان النبي صلى الله عليه وسلم قال لا يزال هذا الامر في قريش ما بقي منهم اثنان متفق عليهمتفق علیہ رواہ البخاری 3501 و مسلم 4 1820 4704 ۔متفق عليه

ব্যাখ্যা: সর্বদা এই বিষয় তথা খিলাফাতের বিষয়টি মানুষের মধ্যে বাকী থাকবে। যদি তাদের মাঝে দু’জন বাকী থাকে তবে একজন খলীফাহ্ হবে আর একজন তার অনুসারী হবে। ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, এ হাদীস ছাড়াও এই জাতীয় যত হাদীস আছে তা স্পষ্টভাবে দলীল যে, খিলাফাত কুরায়শদের সাথে নির্দিষ্ট। অতএব তা অন্যদের জন্য গ্রহণ করা জায়িয হবে না। আর এ বিষয়টির উপর সাহাবীদের এবং তাদের পরবর্তীদের মাঝে ইজমা হয়েছিল। আর যারা এ মতের বিরোধিতা করেছিল তারা হলো বিদআতপন্থী। তারা সাহাবীদের ইজমা'-এর বিরোধী কাজ সম্পন্নকারী। আর নবী (সা.) বলেছেন, এ বিষয়টি চলতে থাকবে শেষ যুগ পর্যন্ত যতদিন দু’জন লোকও বাকী থাকবে। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ হুকুম বর্তমানেও বলবৎ আছে। আর এটা এমন সংবাদ যা আদেশের অর্থে। অর্থাৎ যারা মুসলিম তারা তাদের অনুসরণ করবে তাদের অনুসরণ থেকে বের হবে না। আর তারা তাদের অনুসরণ না করলে এ আদেশ থেকে বের হয়ে যাবে। ইমাম সুয়ূত্নী (রহিমাহুল্লাহ) উল্লেখ করেছেন, যতদিন দীন প্রতিষ্ঠিত থাকে ততদিন এ হুকুম জারি থাকবে। কথিত আছে যে, এ হাদীসের অর্থ বাহ্যিকভাবে গ্রহণ করতে হবে। আর এখানে নাস তথা মানুষ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো কতিপয় মানুষ। অর্থাৎ সকল আরব। এটা ইবনু হাজার আল আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন। (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৩০: মান-মর্যাদা (كتاب المناقب)